হাদিস নম্বরঃ ৭০২২ | 7022 | ۷۰۲۲
পরিচ্ছদঃ ৩১৪৮. আল্লাহ্র বাণীঃ হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের নিটক হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি বার্তা প্রচার করলে না (৫ঃ৬৭)। যুহরী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হচ্ছে বার্তা প্রেরণ আর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর দায়িত্ব হলো পৌঁছানো, আর আমাদের কর্তব্য হলো মেনে নেয়া। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ রাসূলগণ তাঁদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন কিনা তা জানার জন্য (৭২ঃ ২৮)। তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের কাছে আল্লাহ্র বার্তাসমূহ পৌঁছে দিচ্ছি। কা’ব ইবন মালিক (রাঃ) যখন নবী (সাঃ) এর সঙ্গে (তাবুক যুদ্ধে শরীক হওয়া) থেকে পিছনে রয়ে গেলেন, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আল্লাহ্ তো তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন এবং তাঁর রাসূল ও মু’মিনগণও (৯ঃ ১০৫)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, কারো ভালো কাজে তোমাকে আনন্দিত করলে বলো, আমল কর, তোমার এ আমল আল্লাহ্, আল্লাহ্র রাসূল, সমস্ত মু’মিন দেখবেন। আর তোমাকে কেউ যেন বিচলিত করতে না পারে। মা’মার (র) বলেন, ذَلِكَ الْكِتَابُ এর অর্থ হচ্ছে এ কুরআন, هُدًى لِلْمُتَّقِينَ এর অর্থ বর্ণনা ও পথ প্রদর্শন। আল্লাহ্র এ বাণীর মত ذَلِكُمْ حُكْمُ اللَّهِ এর অর্থ এটি আল্লাহ্র হুকুম। لاَ رَيْبَ এর অর্থ এতে কোন সন্দেহ নেই। تِلْكَ آيَاتُ অর্থাৎ এগুলো কুরআনের নিদর্শন। এর উদাহরণ আল্লাহ্রই বাণীঃ যখন তোমরা নৌকায় অবস্থান করো আর চলতে থাকে সেগুলো তাদের নিয়ে। এখানে بِهِمْ এর অর্থ بِكُمْ অর্থাৎ তোমাদের নিয়ে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) তাঁর মামা হারমকে তাঁর গোত্রের কাছে পাঠালেন। তিনি সেখানে গিয়ে বললেন, তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর কি? আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাঃ) এর বার্তা পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। এই বলে তিনি তাদের সাথে আলাপ করতে লাগলেন
৭০২২। ফাযল ইবনু ইয়াকুব (রহঃ) … মুগীরা (রাঃ) বলেন। আমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে আমাদের প্রতিপালকের বার্তা সম্পর্কে অবহিত করেছেন যে আমাদের মধ্য থেকে যাকে হত্যা (শহীদ) করা হবে, সে জান্নাতে চলে যাবে।
হাদিস নম্বরঃ ৭০২৩ | 7023 | ۷۰۲۳
পরিচ্ছদঃ ৩১৪৮. আল্লাহ্র বাণীঃ হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের নিটক হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি বার্তা প্রচার করলে না (৫ঃ৬৭)। যুহরী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হচ্ছে বার্তা প্রেরণ আর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর দায়িত্ব হলো পৌঁছানো, আর আমাদের কর্তব্য হলো মেনে নেয়া। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ রাসূলগণ তাঁদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন কিনা তা জানার জন্য (৭২ঃ ২৮)। তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের কাছে আল্লাহ্র বার্তাসমূহ পৌঁছে দিচ্ছি। কা’ব ইবন মালিক (রাঃ) যখন নবী (সাঃ) এর সঙ্গে (তাবুক যুদ্ধে শরীক হওয়া) থেকে পিছনে রয়ে গেলেন, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আল্লাহ্ তো তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন এবং তাঁর রাসূল ও মু’মিনগণও (৯ঃ ১০৫)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, কারো ভালো কাজে তোমাকে আনন্দিত করলে বলো, আমল কর, তোমার এ আমল আল্লাহ্, আল্লাহ্র রাসূল, সমস্ত মু’মিন দেখবেন। আর তোমাকে কেউ যেন বিচলিত করতে না পারে। মা’মার (র) বলেন, ذَلِكَ الْكِتَابُ এর অর্থ হচ্ছে এ কুরআন, هُدًى لِلْمُتَّقِينَ এর অর্থ বর্ণনা ও পথ প্রদর্শন। আল্লাহ্র এ বাণীর মত ذَلِكُمْ حُكْمُ اللَّهِ এর অর্থ এটি আল্লাহ্র হুকুম। لاَ رَيْبَ এর অর্থ এতে কোন সন্দেহ নেই। تِلْكَ آيَاتُ অর্থাৎ এগুলো কুরআনের নিদর্শন। এর উদাহরণ আল্লাহ্রই বাণীঃ যখন তোমরা নৌকায় অবস্থান করো আর চলতে থাকে সেগুলো তাদের নিয়ে। এখানে بِهِمْ এর অর্থ بِكُمْ অর্থাৎ তোমাদের নিয়ে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) তাঁর মামা হারমকে তাঁর গোত্রের কাছে পাঠালেন। তিনি সেখানে গিয়ে বললেন, তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর কি? আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাঃ) এর বার্তা পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। এই বলে তিনি তাদের সাথে আলাপ করতে লাগলেন
৭০২৩। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাকে যে বলবে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ওহীর) কিছু জিনিস গোপন করেছেন। মুহাম্মাদ (রহঃ) … বলেন আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, যে ব্যাক্তি তোমার কাছে বলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহীর কোন কিছু গোপন করেছেন, তাকে তুমি সত্যবাদী মনে করো না। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে রাসুল! তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর (৫ঃ ৬৭)।
হাদিস নম্বরঃ ৭০২৪ | 7024 | ۷۰۲٤
পরিচ্ছদঃ ৩১৪৮. আল্লাহ্র বাণীঃ হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের নিটক হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি বার্তা প্রচার করলে না (৫ঃ৬৭)। যুহরী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হচ্ছে বার্তা প্রেরণ আর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর দায়িত্ব হলো পৌঁছানো, আর আমাদের কর্তব্য হলো মেনে নেয়া। আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ রাসূলগণ তাঁদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন কিনা তা জানার জন্য (৭২ঃ ২৮)। তিনি আরো বলেনঃ আমি তোমাদের কাছে আল্লাহ্র বার্তাসমূহ পৌঁছে দিচ্ছি। কা’ব ইবন মালিক (রাঃ) যখন নবী (সাঃ) এর সঙ্গে (তাবুক যুদ্ধে শরীক হওয়া) থেকে পিছনে রয়ে গেলেন, তখন আল্লাহ্ বলেনঃ আল্লাহ্ তো তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন এবং তাঁর রাসূল ও মু’মিনগণও (৯ঃ ১০৫)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, কারো ভালো কাজে তোমাকে আনন্দিত করলে বলো, আমল কর, তোমার এ আমল আল্লাহ্, আল্লাহ্র রাসূল, সমস্ত মু’মিন দেখবেন। আর তোমাকে কেউ যেন বিচলিত করতে না পারে। মা’মার (র) বলেন, ذَلِكَ الْكِتَابُ এর অর্থ হচ্ছে এ কুরআন, هُدًى لِلْمُتَّقِينَ এর অর্থ বর্ণনা ও পথ প্রদর্শন। আল্লাহ্র এ বাণীর মত ذَلِكُمْ حُكْمُ اللَّهِ এর অর্থ এটি আল্লাহ্র হুকুম। لاَ رَيْبَ এর অর্থ এতে কোন সন্দেহ নেই। تِلْكَ آيَاتُ অর্থাৎ এগুলো কুরআনের নিদর্শন। এর উদাহরণ আল্লাহ্রই বাণীঃ যখন তোমরা নৌকায় অবস্থান করো আর চলতে থাকে সেগুলো তাদের নিয়ে। এখানে بِهِمْ এর অর্থ بِكُمْ অর্থাৎ তোমাদের নিয়ে। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) তাঁর মামা হারমকে তাঁর গোত্রের কাছে পাঠালেন। তিনি সেখানে গিয়ে বললেন, তোমরা আমাকে বিশ্বাস কর কি? আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাঃ) এর বার্তা পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। এই বলে তিনি তাদের সাথে আলাপ করতে লাগলেন
৭০২৪। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি আরয করল হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর কাছে কোন গুনাহটি সব চাইতে বড়? তিনি বললেনঃ আল্লাহর বিপরীত কাউকে আহবান করা অথচ তিনই (আল্লাহ) তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। সে বলল, এরপর কোনটি? তিনি বললেনঃ এর পর তোমার সঙ্গে আহার করবে এই ভয়ে (তোমার) সন্তানকে হত্যা করা। সে বলল, এরপর কোনটি? তিনি বললেনঃ এরপর তোমাদের প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যাভিচার করা। এরই সমর্থনে আল্লাহ অবতীর্ণ করলেন এবং তারা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহকে ডাকে না। আল্লাহ যার হত্যা হারাম করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্য করে না এবং ব্যাভিচার করে না। যে এগুলো করে সে শাস্তি ভোগ করবে (২৫ঃ ৬৮)।