হাদিস নম্বরঃ ৬৯৯৯ | 6999 | ٦۹۹۹
পরিচ্ছদঃ ৩১৩৭. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তারা আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি পরিবর্তন করতে চায় (৪৮ঃ ১৫) لَقَوْلٌ فَصْلٌ অর্থাৎ চিরসত্য। وَمَا هُوَ بِالْهَزْلِ এর অর্থ কুরআন খেল-তামাশার বস্তু নয়
৬৯৯৯। আবদুল্লাহ ইবনু আবুল আসওয়াদ (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতীত যুগের এক ব্যাক্তি সম্পর্কে আলোচনা করলেন। অথবা তিনি বলেছেনঃ তোমাদের পূর্বে যারা ছিলেন তাদের এক ব্যাক্তি তিনি তার সম্পর্কে বললেন, অর্থাৎ আল্লাহ তাকে সম্পদ ও সন্তান দান করলেন। যখন তার মৃত্যু উপস্থিত হল তখন সে তার সন্তানদেরকে বলল, আমি তোমাদের জন্য কেমন পিতা ছিলাম? তারা বলল, উত্তম পিতা। তখন সে বলল, সে যে আল্লাহর কাছে কোন প্রকার নেক আমল রেখে যেতে পারেনি। এখান لَمْ يَبْتَئِرْ কিংবা لَمْ يَبْتَئِزْ বলেছেন। অতএব, আল্লাহ (তার উপর) সমর্থ হলে, অবশ্যই তাকে আযাব দিবেন। অতএব তোমরা লক্ষ্য রাখবে, আমার মৃত্যু হলে তোমরা আমাকে আগুনে পুড়িয়ে দেবে। এরপর যখন আমি কয়লা হয়ে যাব, তখন ছাই করে ফেলবে। বর্ণনাকারী এখানে فَاسْحَقُونِي কিংবা فَاسْحَكُونِي বলেছেন। তারপর যেদিন প্রচুর বাতাসের দিন হবে সেদিন বাতাসে উড়িয়ে দেবে।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ পিতা এ বিষয়ে সন্তানদের থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করল। আমার প্রতিপালকের কসম! সন্তানরা তাই করল। এক প্রচণ্ড বাতাসের দিনে তাকে ছড়িয়ে দিল। তারপর মহান আল্লাহ নির্দেশ দিলেন। তুমি অতিতে এসে যাও। তৎক্ষণাৎ সে উঠে দাঁড়াল। মহান আল্লাহ তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আমার বান্দাহ তুমি যা করেছ তা কেন করলে? সে উত্তর করল, তোমার ভয়ে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এর বিনিময়ে তাকে মাফ করে দিলেন। রাবী আবার অন্য বর্ণনায় বলেছেন, আল্লাহ ক্ষমা দ্বারাই এর বিনিময় দিলেন। বর্ননাকারী বলেন, আমি এ হাদীস আবূ উসমানের কাছে বর্ণনা করলে তিনি বললেন, আমি হাদীসটি সালমান (রাঃ) থেকে শুনেছি। তবে তিনি এটুকু সংযোগ করেছেন, أَذْرُونِي فِي الْبَحْرِ আমাকে সমুদ্রে ছড়িয়ে দাও। রাবী বলেন, কিংবা তিনি বলেছেন, অথবা যেরূপ তিনি বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৭০০০ | 7000 | ۷۰۰۰
পরিচ্ছদঃ ৩১৩৭. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তারা আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি পরিবর্তন করতে চায় (৪৮ঃ ১৫) لَقَوْلٌ فَصْلٌ অর্থাৎ চিরসত্য। وَمَا هُوَ بِالْهَزْلِ এর অর্থ কুরআন খেল-তামাশার বস্তু নয়
৭০০০। মূসা (রহঃ) … মুতামির (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি لَمْ يَبْتَئِرْ বর্ণনা করেছেন। খালীফা (রহঃ) মূতামির থেকে لَمْ يَبْتَئِزْ বর্ণনা করেছেন। কাতাদা (রহঃ) এ সবের বিশ্লেষণ করেছেন لَمْ يَدَّخِرْ অর্থাৎ ‘সঞ্চয় করেনি’ দ্বারা।
হাদিস নম্বরঃ ৭০০১ | 7001 | ۷۰۰۱
পরিচ্ছদঃ ৩১৩৮. কিয়ামতের দিনে নবী ও অপরাপরের সাথে মহান আল্লাহ্র কথাবার্তা
৭০০১। ইউসুফ ইবনু রাশিদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন যখন আমাকে সুপারিশ করার অনুমতি দেওয়া হবে তখন আমি বলব, হে আমার প্রতিপালক! যার অন্তরে এক সরিষা পরিমাণ ঈমান আছে, তাকে তুমি জান্নাতে দাখিল করো। তারপর তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করা হবে। তারপর আমি বলব, তাকেও জান্নাতে প্রবেশ করাও, যার অন্তরে সামান্য ঈমানও আছে। আনাস (রাঃ) বলেনঃ আমি যেন এখনো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতের আঙুলগুলো দেখছি।
হাদিস নম্বরঃ ৭০০২ | 7002 | ۷۰۰۲
পরিচ্ছদঃ ৩১৩৮. কিয়ামতের দিনে নবী ও অপরাপরের সাথে মহান আল্লাহ্র কথাবার্তা
৭০০২। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … মাবাদ ইবনু হিলাল আল আনাযী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা বসরার অধিবাসী কিছু লোক একত্রিত হয়ে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এর কাছে গেলাম। আমাদের সাথে সাবিত (রাঃ) কে নিলাম, যাতে তিনি আমাদের কাছে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত শাফাআত সম্পর্কে হাদীস জিজ্ঞাসা করেন। আমরা তাকে তার মহলেই চাশতের সালাত (নামায/নামাজ) আদায়রত পেলাম। তার কাছে প্রবেশের অনুমতি চাইলে তিনি আমাদেরকে অনুমতি দিলেন। তখন তিনি তার বিছানায় বসা অবস্থায় আছেন। অতঃপর আমরা সাবিত (রাঃ) কে অনুরোধ করলাম, তিনি যেন শাফাআতের হাদীসটি জিজ্ঞাসার পূর্বে অন্য কিছু জিজ্ঞাসা না করেন। তখন সাবিত (রাঃ) বললেন, হে আবূ হামযা! এরা বসরাবাসী আপনার ভাই, তারা শাফাআতের হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে এসেছে।
তারপর আনাস (রাঃ) বললেন, আমাদের কাছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, কিয়ামতের দিন মানুষ সমুদ্রের ঢেউয়ের মত ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। তাই তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এসে বলবে, আমাদের জন্য আপনার প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করুন। তিনি বলবেনঃ এ কাজের জন্য আমি নই। বরং তোমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। কেননা, তিনি হলেন আল্লাহর খলীল।
তখন তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি এ কাজের জন্য নই। তবে তোমরা মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। কারণ তিনি আল্লাহর সাথে বাক্যালাপ করেছেন। তখন তারা মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে তিনি বলবেনঃ আমি তো এ কাজের জন্য নই। তোমরা বরং ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। যেহেতু তিনি আল্লাহর রুহ ও বাণী।