হাদিস নম্বরঃ ৬৯৫৮ | 6958 | ٦۹۵۸
পরিচ্ছদঃ ৩১৩৩. আল্লাহ্র ইচ্ছা ও চাওয়া। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তোমরা ইচ্ছা করবে না যদি না আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন (৭৬ঃ ৩০)। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর (৩ঃ ২৬)। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ কখনই তুমি কোন বিষয়ে বলবে না, ‘আমি তা আগামী কাল করব, আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে,’ এ কথা না বলে (১৮ঃ ২৩-২৪)। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ্ যাকে চান তাকে সৎপথে আনয়ন করেন। (২৮ঃ ৫৬)। সাঈদ ইব্নুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) তাঁর পিতা মুসাইয়্যাব থেকে বলেন, উপরোক্ত আয়াত আবূ তালিব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না (২ঃ ১৮৫)
৬৯৫৮। মুহাম্মাদ ইবনু সিনান (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানদার শস্যক্ষেতের নরম ডগার মত। জোরে বাতাস এলেই তার পাতা ঝুঁকে পড়ে। যখন বাতাস থেমে যায়, তখন আবার স্থির হয়ে যায়। ঈমানদারদেরকে বালা-মূসিবত দ্বারা এভাবেই ঝুঁকিয়ে রাখা হয়। আর কাফেরের উদাহরণ দেবদারু গাছ, যা একেবারেই কঠিন ও সোজা হয়। যদ্দরুন আল্লাহ যখন ইচ্ছা করেন সেটিকে মুলসহ উপড়ে ফেলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৬৯৫৯ | 6959 | ٦۹۵۹
পরিচ্ছদঃ ৩১৩৩. আল্লাহ্র ইচ্ছা ও চাওয়া। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তোমরা ইচ্ছা করবে না যদি না আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন (৭৬ঃ ৩০)। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর (৩ঃ ২৬)। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ কখনই তুমি কোন বিষয়ে বলবে না, ‘আমি তা আগামী কাল করব, আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে,’ এ কথা না বলে (১৮ঃ ২৩-২৪)। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ্ যাকে চান তাকে সৎপথে আনয়ন করেন। (২৮ঃ ৫৬)। সাঈদ ইব্নুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) তাঁর পিতা মুসাইয়্যাব থেকে বলেন, উপরোক্ত আয়াত আবূ তালিব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না (২ঃ ১৮৫)
৬৯৫৯। আল হাকাম ইবনু নাফি (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যখন তিনি মিম্বরে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের আগের উম্মাতদের তুলনায় তোমাদের অবস্থানকাল আসরের সালাত (নামায/নামাজ) ও সুর্যাস্তের মধ্যবর্তী সময়। তাওরাতের ধারকগণকে তাওরাত প্রদান করা হলে তারা সে অনুযায়ী আমল করল, তবে দুপুর হলে তারা অপারগ হয়ে পড়ল। এ জন্য তাদেরকে এক এক কীরাত করে পারিশ্রমিক হিসাবে দেওয়া হল। অতঃপর ইনজীলের ধারকগণকে ইনজীল প্রদান করা হল, তারা তদনুযারী আমল করল আসরের সালাত (নামায/নামাজ) পর্যন্ত, তারপর তারা অক্ষম হয়ে পড়ায় তাদেরকে দেওয়া হল এক এক কীরাত করে। (সর্বশেষে) তোমাদেরকে কুরআন দেওয়া হল। ফলে এই কুরআন অনুযায়ী তোমরা আসর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমল করেছ। এ জন্য তোমাদেরকে দুই কিরাত দুই কিরাত করে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। তাওরাতের ধারকগণ বললো, হে আমাদের প্রতিপালক! এরাতো আমলে সর্বাপেক্ষা কম আবার পারিশ্রমিকে সবচেয়ে বেশি। আল্লাহ তখন বললেনঃ তোমাদের পারিশ্রমিকে তোমাদেরকে কিছু জুলম করা হয়েছে কি? তারা বলল, না। তখন আল্লাহ বললেনঃ সেটি হচ্ছে আমার অনুগ্রহ আমি যাকে চাই তাকে দিয়ে থাকি।
হাদিস নম্বরঃ ৬৯৬০ | 6960 | ٦۹٦۰
পরিচ্ছদঃ ৩১৩৩. আল্লাহ্র ইচ্ছা ও চাওয়া। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তোমরা ইচ্ছা করবে না যদি না আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন (৭৬ঃ ৩০)। আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান কর (৩ঃ ২৬)। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ কখনই তুমি কোন বিষয়ে বলবে না, ‘আমি তা আগামী কাল করব, আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে,’ এ কথা না বলে (১৮ঃ ২৩-২৪)। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তুমি যাকে ভালবাস, ইচ্ছা করলেই তাকে সৎপথে আনতে পারবে না। তবে আল্লাহ্ যাকে চান তাকে সৎপথে আনয়ন করেন। (২৮ঃ ৫৬)। সাঈদ ইব্নুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) তাঁর পিতা মুসাইয়্যাব থেকে বলেন, উপরোক্ত আয়াত আবূ তালিব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না (২ঃ ১৮৫)
৬৯৬০। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) … উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদল লোকের সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বায়আত করেছি। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের বায়আত এ শর্তে করছি যে, তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কোন কিছুকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না তোমাদের হাত ও পায়ের মধ্যবর্তী লজ্জাস্থানকে কেন্দ্র করে কোন ভিত্তিহীন জিনিস গড়বেনা, কোন ভাল কাজে আমার অবাধ্য হবে না। তোমাদের থেকে যারা ওসব যথাযথ পুরা করবে, আল্লাহর কাছে তার প্রতিদান রয়েছে। আর যারা ওসব নিযিদ্ধ জিনিসের কোনটায় লিপ্ত হয়ে গেলে তাকে যদি সে কারণে দুনিয়ায় শাস্তি প্রদান করা হয়, তা হলে তা হবে তার জন্য কাফফারা এবং পবিত্রতা। আর যাদের দোষ আল্লাহ ঢেকে রাখেন সেটি আল্লাহর ইচ্ছাধীন বিষয়। তিনি ইচ্ছা করলে শাস্তি দিবেন ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন।