তারপর তৃতীয়বারের মত ফিরে আসব এবং আমার রবের নিকটে প্রবেশ করার অনুমতি চাইব। আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে। আমি তাকে দেখার পর সিজদায় পড়ে যাব। আল্লাহ আমাকে সে অবস্থায় রাখবেন, যতক্ষন তিনি চাইবেন। তারপর আল্লাহ বলবেন, মুহাম্মাদ! মাথা উঠান এবং বলুন, শোনা হবে, সুপারিশ করুন, তা কবুল করা হবে, চান, দেওয়া হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি মাথা উঠিয়ে আমার রবের এমন শ্রুতি ও প্রশংসা (হামদ ও সানা) করব, যা আমাকে শিখিয়ে দেবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এরপর আমি শাফাআত করব, আমার জন্য একটা সীমা নির্ধারন করা হবে। তারপর আমি বের হয়ে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাব।
বর্ণনাকারী কাতাদা (রহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি সেখান থেকে বের হয়ে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করাব। পরিশেষে জাহান্নামে অবশিষ্ট থাকবে একমাত্র তারা। কুরআন যাদেরকে আটকে রেখেছে। অর্থাৎ যাদের ওপর জাহান্নামের স্থায়ীবাস অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আনাস (রাঃ) বলেন, তিনি কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন। (মহান আল্লাহর বাণীঃ) আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে (১৭ঃ ৭৯) এবং তিনি বললেন, তোমাদের নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য প্রতিশ্রুতি ‘মাকামে মাহমুদ’ হচ্ছে এটিই।
হাদিস নম্বরঃ ৬৯৩৩ | 6933 | ٦۹۳۳
পরিচ্ছদঃ ৩১২৬. মহান আল্লাহ্র বাণীঃ সেদিন কোন কোন মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে; তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে
৬৯৩৩। উবায়দুল্লাহ ইবনু সা’দ ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের কাছে (লোক) পাঠালেন। তাদেরকে একটা তাঁবুর মধ্যে সমবেত করলেন এবং তাদের বললেনঃ তোমরা আল্লাহ ও তার রাসুলের সঙ্গে মুলাকাত পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করবে। আমি হাওযের (কাওসারের) কাছে থাকব।
হাদিস নম্বরঃ ৬৯৩৪ | 6934 | ٦۹۳٤
পরিচ্ছদঃ ৩১২৬. মহান আল্লাহ্র বাণীঃ সেদিন কোন কোন মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে; তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে
৬৯৩৪। সাবিত ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে যখন তাহাজ্জুদের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন, তখন বলতেনঃ হে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ! সব প্রশংসা একমাত্র আপনারই, আসমান ও যমীনের তত্ত্বাবধায়ক আপনিই এবং আপনারই জন্য সব স্তুতি। আসমান ও যমীন এবং এসবের মধ্যকার সবকিছুর প্রতিপালক আপনিই এবং আপনার জন্য সব প্রশংসা আসমান যমীন ও এগুলোর মধ্যকার সব কিছুর নূর আপনিই। আপনি হক, আপনার বান্দা হক, আপনার ওয়াদা হক, আপনার সাক্ষাৎ হক, জান্নাত হক, জাহান্নাম হক এবং কিয়ামত হক। ইয়া আল্লাহ! আপনারই উদ্দেশ্যে আমি ইসলাম কবুল করেছি এবং আপনারই প্রতি ঈমান এনেছি, তাওয়াক্কুল করেছি আপনারই ওপর, আপনারই কাছে বিবাদ হাওয়ালা করেছি; আপনারই কাছে ফায়সালা চেয়েছি। তাই আপনি আমার পূর্বের ও পরের গুপ্ত ও প্রকাশ্য এবং যা আপনি আমার চাইতে বেশি জ্ঞাত তা সবই মাফ করে দিন। আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। বর্ণনাকারী তাঊস (রহঃ) থেকে কায়স ইবনু সা’দ (রহঃ) এবং আবূ যুবায়র (রহঃ) قيم এর এর স্থলে قيام বর্ণনা করেছেন। বর্ণনাকারী মুজাহিদ বলেনঃ قيوم সবকিছু পরিচালককে বলা হয়ে থাকে। উমর (রাঃ) قيام পড়েছেন। মূলত শব্দ উভয়টই প্রশংসার জন্য ব্যবহত হয়।
হাদিস নম্বরঃ ৬৯৩৫ | 6935 | ٦۹۳۵
পরিচ্ছদঃ ৩১২৬. মহান আল্লাহ্র বাণীঃ সেদিন কোন কোন মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে; তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে
৬৯৩৫। ইউসুফ ইবনু মূসা (রহঃ) … আদী ইবনু হাতিম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকের সাথে অচিরেই তার প্রতিপালক আলাপ করবেন তখন প্রতিপালক ও তার মাঝখানে কোন দোভাষী ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী পর্দাও থাকবে না।
হাদিস নম্বরঃ ৬৯৩৬ | 6936 | ٦۹۳٦
পরিচ্ছদঃ ৩১২৬. মহান আল্লাহ্র বাণীঃ সেদিন কোন কোন মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে; তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে
৬৯৩৬। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুটি জান্নাত এমন হবে, সেগুলোর পানপাত্র ও অভ্যন্তরস্থ সব কিছুই হবে রুপার। আর দুটি জান্নাত এমন হবে, সেগুলোর পানপাত্র ও অভ্যন্তরস্থ সবকিছুই হবে স্বর্ণের। জান্নাতে আদনে তাদের ও তাদের প্রতিপালকের দর্শনের মধ্যে তার চেহারার গর্বের চাদর ছাড়া আর কোন কিছু অন্তরায় থাকবে না।
হাদিস নম্বরঃ ৬৯৩৭ | 6937 | ٦۹۳۷
পরিচ্ছদঃ ৩১২৬. মহান আল্লাহ্র বাণীঃ সেদিন কোন কোন মুখমন্ডল উজ্জ্বল হবে; তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে
৬৯৩৭। হুমায়দী (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি মিথ্যা কসম করে কোন মুসলমানের সম্পদ থেকে আত্মসাৎ করবে, সে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে মিলিত হবে এমতাবস্থায় যে, তিনি তার ওপর রাগান্বিত থাকবেন। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বাণীর সমর্থনে আল্লাহর কিতাবের আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ যারা আল্লাহর সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছমূল্যে বিক্রয় করে, পরকালে তাদের কোন অংশ নেই। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না … (৩ঃ ৭৭)।