হাদিস নম্বরঃ ৬০৬৯ | 6069 | ٦۰٦۹
পরিচ্ছদঃ ২৭২৩. মৃত্যুযন্ত্রনা
৬০৬৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যাক্তি হয়ত মুস্তারীহ (নিজে শান্তিপ্রাপ্ত) হবে অথবা মুস্তারাহ মিনহু (লোকজন) তার থেকে শান্তি লাভ করবে। মুমিন (দুনিয়ার ফিতনা যাতনা থেকে) শান্তি লাভ করে।
হাদিস নম্বরঃ ৬০৭০ | 6070 | ٦۰۷۰
পরিচ্ছদঃ ২৭২৩. মৃত্যুযন্ত্রনা
৬০৭০। হুমায়দী (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি জিনিস মৃত ব্যাক্তির অনুসরণ করে থাকে। দুটি ফিরে আসে, আর একটি তার সাথে থেকে যায়। তার পরিবারবর্গ, তার মাল ও তার আমল তার অনুসরণ করে খাকে। তার পরিবারবর্গ ও তার মাল ফিরে আসে, পক্ষান্তরে তার আমল তার সাথে থেকে যায়।
হাদিস নম্বরঃ ৬০৭১ | 6071 | ٦۰۷۱
পরিচ্ছদঃ ২৭২৩. মৃত্যুযন্ত্রনা
৬০৭১। আবূ নূমান (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) বর্ণনা করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন ব্যাক্তির মৃত্যু হয়, তখন কবরেই প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় তার জান্নাত অথবা জাহান্নামের ঠিকানা তার সামনে পেশ করা হয়। এবং বলা হয় যে, এই হল তোমার ঠিকানা। তোমার পুনরুত্থান পর্যন্ত।
হাদিস নম্বরঃ ৬০৭২ | 6072 | ٦۰۷۲
পরিচ্ছদঃ ২৭২৩. মৃত্যুযন্ত্রনা
৬০৭২। আলী ইবনু জা’দ (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মৃত ব্যাক্তিদেরকে গালি দিও না। কারণ তারা তাদের কৃতকর্মের পরিণাম ফল পর্যন্ত পৌছে গিয়েছে।
হাদিস নম্বরঃ ৬০৭৩ | 6073 | ٦۰۷۳
পরিচ্ছদঃ ২৭২৪. শিঙ্গায় ফুৎকার। মুজাহিদ বলেছেন, শিঙ্গা হচ্ছে ডংকা আকৃতির, ‘যাযরাহ’ মানে চিৎকার, এবং ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, নাকুর মানে শিঙ্গা, ‘রাযিফা’ প্রথম ফুঁৎকার, ‘রাদিফা’ দ্বিতীয় ফুঁৎকার।
৬০৭৩। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দু’ব্যাক্তি পরস্পরে গালাগালি করল। একজন মুসলমান, অপরজন ইহুদী। মুসলমান বলল, শপথ ঐ মহান সত্তার, যিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা কে জগতবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। ইহুদী বলল, শপথ ঐ মহান সত্তার, যিনি মূসা (আলাইহিস সালাম) কে জগতবাসীর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। রাবী বলেনঃ এতে মুসলমান রাগাম্বিত হয়ে গেল এবং ইহুদীর মুখমণ্ডলে একটি চপেটাঘাত করে বসল। এরপর ইহুদী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গিয়ে তার মাঝে এবং মুসলমানের মাঝে যা ঘটেছিল এ সম্পর্কে তাকে অবহিত করল।
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা আমাকে মূসা (আলাইহিস সালাম) এর ওপর প্রাধান্য দিও না। কেননা কিয়ামতের দিন সমস্ত মানুষ বেহুশ হয়ে যাবে, আর আমিই হব সেই ব্যাক্তি যে সর্বপ্রথম হুশে আসব। হুশ হয়েই আমি দেখতে পাব যে মূসা (আলাইহিস সালাম) আরশে আযীমের কিনারা ধরে আছেন। আমি জানিনা মূসা (আলাইহিস সালাম) কি সেই লোক যিনি বেহুশ হবেন আর আমার পূর্বেই প্রকৃতিস্থ হয়ে যাবেন। নাকি তিনি সেই লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবেন যাদেরকে আল্লাহ তা’আলা বেহুশ হয়ে যাওয়া থেকে সতন্ত্র রেখেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৬০৭৪ | 6074 | ٦۰۷٤
পরিচ্ছদঃ ২৭২৪. শিঙ্গায় ফুৎকার। মুজাহিদ বলেছেন, শিঙ্গা হচ্ছে ডংকা আকৃতির, ‘যাযরাহ’ মানে চিৎকার, এবং ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, নাকুর মানে শিঙ্গা, ‘রাযিফা’ প্রথম ফুঁৎকার, ‘রাদিফা’ দ্বিতীয় ফুঁৎকার।
৬০৭৪। আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কিয়ামত হবে তখন সমস্ত মানুষ বেহুশ হয়ে যাবে। আর আমিই হব সর্বপ্রথম ব্যাক্তি, যে হুশ হয়ে দাঁড়াবো। আর আমি দেখতে পাব যে, মূসা (আলাইহিস সালাম) আরশে আযীমকে ধরে আছেন। মূলত আমি জানিনা যে, তিনি বেহুশীদের অন্তর্ভুক্ত কি না? এ হাদীস আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৬০৭৫ | 6075 | ٦۰۷۵
পরিচ্ছদঃ ২৭২৫. আল্লাহ তা’আলা যমিনকে মুষ্টিতে ধারণ করবেন। এ কথা নাফী (রহঃ) ইবন উমর (রাঃ) সুত্রে নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন
৬০৭৫। মুহাম্মাদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (কিয়ামতের দিন) আল্লাহ তা’আলা যমীনকে আপন মুঠোয় আবদ্ধ করবেন আর আকাশকে ডান হাত দিয়ে লেপটে দিবেন। এরপর তিনি বলবেনঃ আমিই বাদশাহ, দুনিয়ার বাদশাহরা কোথায়?
হাদিস নম্বরঃ ৬০৭৬ | 6076 | ٦۰۷٦
পরিচ্ছদঃ ২৭২৫. আল্লাহ তা’আলা যমিনকে মুষ্টিতে ধারণ করবেন। এ কথা নাফী (রহঃ) ইবন উমর (রাঃ) সুত্রে নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন
৬০৭৬। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন সমস্ত যমীন একটি রুটি হয়ে যাবে। আর আল্লাহ তা’আলা বেহেশতীদের মেহমানদারীর জন্য তাকে বেহেশতে তুলে নেবেন। যেমন তোমাদের মাঝে কেউ সফরের সময় তার রুটি হাতে তুলে নেয়। এমন সময় একজন ইহুদী এলো এবং বলল, হে আবূল কাসিম! দয়াময় আপনাকে বরকত প্রদান করুন। কিয়ামতের দিন বেহেশতিদের আতিথেয়তা সম্পর্কে আপনাকে কি জানাব না? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি বলল, (সেই দিন) সমস্ত ভূ-মণ্ডল একটি রুটি হয়ে যাবে। যেমন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন (লোকটিও সেইরূপই বলল)। এবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে তাকালেন এবং হাসলেন। এমনকি তার চোয়ালের দাঁতসমূহ প্রকাশ পেল। এরপর তিনি বললেনঃ তবে কি আমি তোমাদেরকে (সেই রুটির) তরকারী সম্পর্কে বলব না? তিনি বললেনঃ তাদের তরকারী হবে বালাম এবং নূন। সাহাবাগগ বললেনঃ সে আবার কি? তিনি বললেনঃ ষাড় এবং মাছ। এদের কলিজার গুরদা থেকে সত্তর হাজার লোক খেতে পারবে।