হাদিস নম্বরঃ ৫৯৬৭ | 5967 | ۵۹٦۷
পরিচ্ছদঃ ২৬৮০. “লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” বলা
৫৯৬৭। মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল আবূল হাসান (রহঃ) … আবূ মূসা আল আশআরী (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি গিরিপথ দিয়ে অথবা বর্ণনাকারী বলেনঃ একটি চুড়া হয়ে যাচ্ছিলেন, তখন এক ব্যাক্তি এর উগরে উঠে জোরে বললঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াল্লাহু আকবার। আবূ মূসা বলেনঃ তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার খচ্চরে আরোহী ছিলেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তো কোন বধির কিংবা কোন অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আবূ মূসা অথবা বললেনঃ হে আবদুল্লাহ আমি কি তোমাকে জান্নাতের ধনাগারের একটি বাক্য বাতলে দেব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, বাতলে দিন। তিনি বললেনঃ তা হল “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ”।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯৬৮ | 5968 | ۵۹٦۸
পরিচ্ছদঃ ২৬৮১. আল্লাহ ত’লাআর এক কম একশ’ নাম রয়েছে
৫৯৬৮। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তা’আলার নিরানব্বই নাম আছে (এক কম একশ নাম)। যে ব্যাক্তি এগুলোর হিফাযত করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আল্লাহ তা’আলা বেজোড়। তাই তিনি রেজোড়ই পছন্দ করেন।
ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেনঃ “মান আহসাহা” অর্থ যে হিফাযত করল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯৬৯ | 5969 | ۵۹٦۹
পরিচ্ছদঃ ২৬৮২. সময়ের বিরিতি দিয়ে দিয়ে নসীহত করা
৫৯৬৯। উমর ইবনু হাফস (রহঃ) … শাকীক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর (ওয়ায শোনার) জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় হঠাৎ ইয়াযিদ ইবনু মুয়াবিয়া (রাঃ) এসে পড়লেন। তখন আমরা তাঁকে বললাম, আপনি কি বসবেন না? তিনি বললেনঃ না, বরং আমি ভেতরে প্রবেশ করব এবং আপনাদের কাছে আপনাদের সঙ্গীকে নিয়ে আসব। নতূবা আমি ফিরে এসে বসব। সুতরাং আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) তাঁর হাত ধরে বেরিয়ে এলেন। তিনি আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে বললেনঃ আমি তো আপনাদের এখানে উপস্থিতির কথা অবহিত ছিলাম। কিন্তু আপনাদের নিকট বেরিয়ে আসতে আমাকে বাধা দিচ্ছি এ কথাটা যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়ায নসীহত করতে আমাদের অবকাশ দিতেন, যাতে আমাদের বিরক্তির কারণ না হয়।