হাদিস নম্বরঃ ৫৯৫৪ | 5954 | ۵۹۵٤
পরিচ্ছদঃ ২৬৭১. মুশরিকদের উপর বদ দু’আ করা। ইবন মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাকে তাদের মুকাবিলায় সাহায্য করুন। যেমন দুর্ভিক্ষগ্রস্থ সাত বছর দিয়ে ইউসুফ (আঃ) কে সাহায্য করেছেন। ইয়া আল্লাহ! আপনি আবু জেহেলকে শাস্তি দিন। ইবন উমর (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) সালাতে বদ দু’আ করলেন। ইয়া আল্লাহ! অমুককে লা’নত করুন ও অমুককে লা’নত করুন। তখন ওহী নাযিল হলঃ তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদের শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে আপনার করনীয় কিছুই নেই। (৩ঃ ১২৮)
৫৯৫৪। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) … আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! তাদের গৃহ এবং কবরকে আগুন ভর্তি করে দিন। কেননা তারা আমাদের সালাতুল উস্তা থেকে বিরত রেখেছে। এমনকি সূর্য অস্তমিত হয়ে গেল। আর , ‘সালাতুল উস্তা’ হল আসর সালাত (নামায/নামাজ)।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯৫৫ | 5955 | ۵۹۵۵
পরিচ্ছদঃ ২৬৭২. মুশরিকদের জন্য দু’আ
৫৯৫৫। আলী ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তুফাইল ইবনু আমর (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন দাওস গোত্র নাফরমানী করেছে ও অবাধ্য হয়েছে এবং ইসলাম গ্রহন করতে অস্বীকার করেছে। সুতরাং আপনি তাদের উপর বদ দুআ করুন। সাহাবীগণ ধারণা করলেন যে, তিনি তাদের উপর বদ দু’আই করবেন। কিন্তু তিনি (তাদের জন্য) দু’আ করলেন ইয়া আল্লাহ! আপনি দাওস গোত্রকে হিদায়াত করুন। আর তাদের মুসলমান বানিয়ে নিয়ে আসুন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯৫৬ | 5956 | ۵۹۵٦
পরিচ্ছদঃ ২৬৭৩. নাবী (সাঃ) এর দু’আঃ হে আল্লাহ! আমার পূর্বের ও পরের গুনাহসমূহ মাফ করে দিন
৫৯৫৬। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … আবূ মূসা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ দু’আ করতেন হে আল্লাহ! আপনি মাফ করে দিন আমার অনিচ্ছাকৃত গুনাহ, আমার অজ্ঞতা, আমার কাজের সকল বাড়াবাড়ি এবং আমার যেসব গুনাহ আপনি আমার চাইতে বেশী জানেন। ইয়া আল্লাহ আপনি ক্ষমা করে দিন আমার ভুল-ত্রুটি আমার ইচ্ছাকৃত গুনাহ ও আমার অজ্ঞতা এবং আমার উপহাসমূলক গুনাহ আর এ রকম গুনাহ যা আমার মধ্যে আছে। ইয়া আল্লাহ আপনি আমাকে মাফ করে দিন; যেসব গুনাহ আমি আগে করেছি। আপনিই আগে বাড়ান আপনই পশ্চাতে ফেলেন এবং আপনই সব কিছুব উপর সর্বশক্তিমান।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯৫৭ | 5957 | ۵۹۵۷
পরিচ্ছদঃ ২৬৭৩. নাবী (সাঃ) এর দু’আঃ হে আল্লাহ! আমার পূর্বের ও পরের গুনাহসমূহ মাফ করে দিন
৫৯৫৭। মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) … আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’আ করতেন ইয়া আল্লাহ! আপনি মাফ করে দিন আমার ভূল-ক্রটি জনিত গুনাহ, আমার অজ্ঞতা আমার কাজের সকল বাড়াবাড়ি এবং আর যা আপনি আমার চাইতে অধিক জানেন। ইয়া আল্লাহ! আপনি ক্ষমা করে দিন আমার হাসি-তামাশামুলক গুনাহ, আমার অবাধ্যতামূলক গুনাহ, আমার অনিচ্ছাকৃত গুনাহ এবং ইচ্ছাকৃত গুনাহ, আর এসব গুনাহ যে আমার মধ্যে রয়েছে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯৫৮ | 5958 | ۵۹۵۸
পরিচ্ছদঃ ২৬৭৪. জুমুআর দিনে কবুলিয়াতের সময় দু’আ করা
৫৯৫৮। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আবূল কাসিম বলেন, জুমু আর দিনে এমন একটি মুহর্ত আছে যদি সে মুহর্তটিতে কোন মুসলমান দাঁড়িয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে আল্লাহর নিকট কোন কল্যাণের জন্য দুআ করে, তবে তা আল্লাহ তাকে দান করবেন। তিনি এ হাদীস বর্ণনার সময় আপন হাত দিয়ে ইশারা করেন (ইশারাতে) আমরা বুঝলাম যে, তিনি মুহর্তটির সংক্ষিপ্ততার দিকে ইংগিত করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯৫৯ | 5959 | ۵۹۵۹
পরিচ্ছদঃ ২৬৭৫. নাবী (সাঃ) এর বানী : ইয়াহুদীদের ব্যাপারে আমাদের বদ দু’আ কবূল হবে। কিন্তু আমাদের প্রতি তাদের বদ দু’আ কবূল হবে না
৫৯৫৯। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একবার একদল ইয়াহুদী নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে সালাম দিতে গিয়ে বললোঃ আসসামু আলাইকা। তিনি বললেনঃ ওয়াআলাইকুম। কিন্তু আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ “আলসামু আলাইকুম ওয়া লালানাকুমূল্লাহ ওয়া গাযিবা আলাইকুম” (তোমাদের উপর ধংস নাযিল হোক, আল্লাহ তোমাদের উপর লানত করুন আর তোমারদের উপর গযব নাযিল করুন)। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে আয়িশা তুমি থামো! তুমি নম্র ব্যবহার করো, আর তুমি কঠোরতা পরিহার করো। আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ তারা কি বলেছে আপনি কি শুনেন নি? তিনি বললেনঃ আমি যা বললাম, তা কি তুমি শুননি? আমি তো তাদের কথাটা তাদের উপরই ফিরিয়ে দিলাম। সুতরাং তাদের উপর আমার বদ দুআ কবুল হয়ে যাবে। কিন্তু আমার সম্বন্ধে তাদের বদ দুআ কবুল হবে না।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯৬০ | 5960 | ۵۹٦۰
পরিচ্ছদঃ ২৬৭৬. আমীন বলা
৫৯৬০। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কারী (ইমাম) আমীন বলবে তখন তোমরাও আমীন বলবে। কারন এ সময় ফিরিশতাগণ আমীন বলে থাকেন। সুতরাং যার আমীন বলা ফিরিশতাদের আমীন বলার সাথে মিলে যাবে, তার পূর্বের সবগুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।