হাদিস নম্বরঃ ৫৯০৯ | 5909 | ۵۹۰۹
পরিচ্ছদঃ ২৬৪৩. মুত্যু এবং জীবনের জন্য দু’আ করা
৫৯০৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খব্বাব (রাঃ) এর কাছে এলাম। তিনি লোহা গরম করে শয়ীরে সাতবার দাগ দিয়েছিলেন। তিনি বললেনঃ যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মৃত্যুর জন্য দু’আ করতে নিষেধ না করতেন, তাহলে আমি এর জন্য দু’আ করতাম।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১০ | 5910 | ۵۹۱۰
পরিচ্ছদঃ ২৬৪৩. মুত্যু এবং জীবনের জন্য দু’আ করা
৫৯১০। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) … কায়স (রহঃ) বলেন, আমি খাব্বাব (রাঃ) এর নিকট গেলাম তিনি তার পেটে সাতবার দাগ দিয়েছিলেন। তখন আমি তাকে বলতে শুনলাম যদি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মৃত্যুর জন্য দুআ করতে নিষেধ না করতেন, তবে আমি এর জন্য দু’আ করতাম।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১১ | 5911 | ۵۹۱۱
পরিচ্ছদঃ ২৬৪৩. মুত্যু এবং জীবনের জন্য দু’আ করা
৫৯১১। ইবনু সালাম (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কোন বিপদের কারণে মৃত্যু কামনা করবে না। আর যদি কেউ এমন অবস্থাতে পতিত হয় যে, তাকে মৃত্যু কামনা করতেই হয় তবে সে (মৃত্যু কামনা না করে) দু’আ করবেঃ ইয়া আল্লাহ! যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা আমার জন্য মঙ্গলজনক হয় ততদিন আমাকে জীবিত রাখো, আর যখন আমার জন্য মৃত্যু মঙ্গলজনক হয় তখন আমার মৃত্যু দাও।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১২ | 5912 | ۵۹۱۲
পরিচ্ছদঃ ২৬৪৪. শিশুদের জন্য বরকতের দু’আ করা এবং তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া। আবু মুসা (রাঃ) বলেন, আমার এক ছেলে হলে নবী (সাঃ) তার জন্য বরকতের দু’আ করলেন
৫৯১২। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) … সায়িব ইবনু ইয়াযীদ (রাঃ) বর্ণনা করেন। আমার খালা আমাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলেন এবং বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার এ ভাগ্নেটি অসুস্থ। তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আমার জন্য বরকতের দু’আ করলেন। এরপর তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলে, আমি তার উযূ (ওজু/অজু/অযু)র পানি থেকে কিছুটা পান করলাম। তারপর আমি তার পিঠের দিকে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন আমি তার উভয় কাঁধের মাঝে মোহরে নবুওয়াত দেখতে পেলাম। সেটা ছিল খাটের চাঁদোয়ার ঝালরের মত।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১৩ | 5913 | ۵۹۱۳
পরিচ্ছদঃ ২৬৪৪. শিশুদের জন্য বরকতের দু’আ করা এবং তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া। আবু মুসা (রাঃ) বলেন, আমার এক ছেলে হলে নবী (সাঃ) তার জন্য বরকতের দু’আ করলেন
৫৯১৩। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আবূ আকীল বর্ণনা করেন। তার দাদা আবদুল্লাহ ইবনু হিশাম (রাঃ) তাকে নিয়ে তিনি বাজারের দিকে বের হতেন। সেখান থেকে খাদ্রদ্রব্য কিনে নিতেন। তখন পথে ইবনু যুবায়র (রাঃ) ও ইবনু উমর (রাঃ) এর দেখা হলে, তারা তাকে বলতেন যে, এর মধ্যে আপনি আমাদেরও শরীক করে নিন। কারণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার জন্য বরকতের দুআ করেছেন। তখন তিনি তাঁদের শরীক করে নিতেন। তিনি বাহনের পিঠে লাভের শস্যাদি পুরোপুরি পেতেন, আর তা ঘরে পাঠিয়ে দিতেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১৪ | 5914 | ۵۹۱٤
পরিচ্ছদঃ ২৬৪৪. শিশুদের জন্য বরকতের দু’আ করা এবং তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া। আবু মুসা (রাঃ) বলেন, আমার এক ছেলে হলে নবী (সাঃ) তার জন্য বরকতের দু’আ করলেন
৫৯১৪। আব্দুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … ইবনু শিহাব (রহঃ) বর্ণনা করেন। মাহমুদ ইবনু রাবী বর্ণনা করেছেন যে, তিনই ছিলেন সে ব্যাক্তি, শিশুকালে তাদেরই কুপ থেকে পানি মুখে নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার চেহারার উপর ছিটে দিয়েছিলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১৫ | 5915 | ۵۹۱۵
পরিচ্ছদঃ ২৬৪৪. শিশুদের জন্য বরকতের দু’আ করা এবং তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া। আবু মুসা (রাঃ) বলেন, আমার এক ছেলে হলে নবী (সাঃ) তার জন্য বরকতের দু’আ করলেন
৫৯১৫। আবদান (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে শিশুদের নিয়ে আসা হতো। তিনি তাদের জন্য দুআ করতেন। একবার একটি শিশুকে আনা হালা। শিশুটি তার কাপড়ের উপর পেশাব করে দিল। তিনি কিছু পানি আনালেন এবং তা তিনি কাপড়ের উপর ছিটিয়ে দিলেন আর তিনি কাপড় ধুলেন না।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১৬ | 5916 | ۵۹۱٦
পরিচ্ছদঃ ২৬৪৪. শিশুদের জন্য বরকতের দু’আ করা এবং তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া। আবু মুসা (রাঃ) বলেন, আমার এক ছেলে হলে নবী (সাঃ) তার জন্য বরকতের দু’আ করলেন
৫৯১৬। আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু সা’আলাবা ইবনু সুয়ায়র (রাঃ), যার মাথায় (শৈশবে) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত বুলিয়েছিলেন, তিনি বর্ননা করেন যে, তিনি সা’দ ইবনু আবূ ওক্কাসকে বিতরের সালাত (নামায/নামাজ) এক রাকা’আত আদায় করতে দেখেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯১৭ | 5917 | ۵۹۱۷
পরিচ্ছদঃ ২৬৪৫. নাবী (সাঃ) এর উপর দুরুদ পড়া
৫৯১৭। আদম (রহঃ) … আবদুর রাহমান ইবনু আবূ লায়লা (রহঃ) বর্ণনা করেন, একবার আমার সঙ্গে কাব ইবনু উজরাহ (রাঃ) এর সাক্ষাত হলো। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে একটি হাদিয়া দেবো না। তা হল এইঃ একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন, তখন আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা আপনাকে কেমন করে সালাম দেব, আমরা আপনার উপর দরুদ কিভাবে পড়বো? তিনি বললেনঃ তোমরা বলবে, ইয়া আল্লাহ আপনি মুহাম্মাদের উপর ও তার পরিবারবর্গের উপর খাস রহমত বর্ষণ করুন, যেমন আপনি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর পরিবারের উপর খাস রহমাত বর্ষণ করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, উচ্চ মর্যাদাশীল। ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদের উপর ও তার পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযিল করুন, যেমন আপনি ইববাহীম (আলাইহিস সালাম) এর পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযীল করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত উচ্চ মর্যাদাশীল।