قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَقَالَ الأُوَيْسِيُّ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَشَرِيكٍ، سَمِعَا أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ
২৬৩৬. পরিচ্ছেদঃ দু’আর সময় দু’ খানা হাত উঠানো। আবূ মূসা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’খানা হাত এতটুকু তুলে দু‘আ করতেন যে, আমি তাঁর বগলের ফর্সা রং দেখতে পেয়েছি। ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’খানা হাত তুলে দু‘আ করেছেনঃ ইয়া আল্লাহ!খালিদ যা করেছে আমি তা থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করছি। অন্য এক সূত্রে আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয় হাত এতটুকু তুলে দু‘আ করেছেন যে, আমি তাঁর বগলের শুভ্রতা দেখতে পেয়েছি।
৫৯০২। মুহাম্মদ ইবনু মাহবুব (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমুআর দিনে খুতবা দিচ্ছিলেন। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললোঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমাদের উপর বৃষ্টির জন্য দু’আ করুন। (তিনি দুআ করলেন) তখনই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল এবং এমন বৃষ্টি হল যে, মানুষ আপন ঘরে পৌছতে পারলো না এবং পরবর্তী জুমুআ পর্যন্ত একাধারে বৃষ্টি হতে থাকলো। পরবর্তী জুমুআর দিনে সেই ব্যাক্তি অথবা অন্য একব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললোঃ আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করুন; তিনি যেন আমাদের উপর মেঘ সরিয়ে নেন। আমরা তো ড়ুবে গেলাম। তখন তিনি দু’আ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের আশে-পাশে বর্ষণ করুন। আমাদের উপর (আর) বর্ষণ করবেন না। তখন মেঘ বিক্ষিপ্ত হয়ে আশে-পাশে ছড়িয়ে পড়লো। মদিনাবাসীর উপর আর বৃষ্টি হলো না।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯০৩ | 5903 | ۵۹۰۳
পরিচ্ছদঃ ২৬৩৮. কিবলামুখী হয়ে দু’আ করা
৫৯০৩। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসতিসকার (বৃষ্টির) সালাত (নামায/নামাজ) এর উদ্দেশ্যে এ ঈদগাহে গমন করলেন এবং বৃষ্টির জন্য দু’আ করলেন। তারপর কিবলামুখী হয়ে নিজের চাদরখানা উল্টিয়ে গায়ে দিলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯০৪ | 5904 | ۵۹۰٤
পরিচ্ছদঃ ২৬৩৯. আপন খাদিমের দীর্ঘজীবী হওয়া এবং অধিক মালদার হবার জন্য নাবী (সাঃ) এর দু’আ
৫৯০৪। আবদুল্লাহ ইবনু আবূল আসওয়াদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার মা বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! আনাস আপনারই খাদেম। আপনি তার জন্য দু’আ করুন। তিনি দূআ করলেনঃ ইয়া আল্লাহ! আপনি তার সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিন। আর তাকে আপনি যা কিছু দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯০৫ | 5905 | ۵۹۰۵
পরিচ্ছদঃ ২৬৪০. বিপদের সময় দু’আ করা
৫৯০৫। মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিপদের সময় এ দু’আ পড়তেনঃ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। যিনি মহান ও ধৈর্ঘশীল। আল্লাহ ভিন্ন আর কোন ইলাহ নেই। তিনই আসমান যমীনের রব ও মহান আরশের প্রভু।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯০৬ | 5906 | ۵۹۰٦
পরিচ্ছদঃ ২৬৪০. বিপদের সময় দু’আ করা
৫৯০৬। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। সংকটের সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু আ পড়তেনঃ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি অতি উচ্চ মর্যাদাসপন্ন ও অশেষ ধৈর্যশীল আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আরশে আযীমের প্রভূ। আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। আসমান যমীনের প্রতিপালক ও সম্মানিত আরশের মালিক।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯০৭ | 5907 | ۵۹۰۷
পরিচ্ছদঃ ২৬৪১. কঠিন বিপদের কষ্ট থেকে পানাহ চাওয়া
৫৯০৭। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বালামুসীবতের কঠোরতা, দুর্ভাগ্যে নিঃপতিত হওয়া, নিয়তির অশুভ পরিণাম এবং দুশমনের খুশী হওয়া থেকে পানাহ চাইলেন। সুফিয়ান (রহঃ) এর হাদীসে তিনটির কথা বর্ণিত হয়েছে। একটি আমি বৃদ্ধি করেছি। জানিনা তা এগুলোর কোনটি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৯০৮ | 5908 | ۵۹۰۸
পরিচ্ছদঃ ২৬৪২. নাবী (সাঃ) এর দু’আ আল্লাহুম্মা রাফীকাল ‘আলা
৫৯০৮। সাঈদ ইবনু উফায়র (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) বর্ণনা করেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থাবস্থায় বলতেনঃ জান্নাতের স্থান না দেখিয়ে কোন নাবীর জান কবয করা হয় না, যতক্ষণ না তাকে তার ঠিকানা দেখানো হয় এবং তাকে ইখতিয়ার দেওয়া হয় (দুনিয়াতে থাকবেন না আখিরাতকে গ্রহন করবেন)। এরপর যখন তার মৃত্যুকাল উপস্থিত হলো, তখন তার মাথাটা আমার উরুর উপর ছিল। কিছুক্ষন অজ্ঞান থাকার পর তার জ্ঞান ফিরে এলো। তখন তিনি ছাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ “আল্লাহুম্মা রাফীকাল আলা” ইয়া আল্লাহ! আমি রফীকে আলা (শ্রেষ্ট বন্ধু) কে গ্রহন করলাম। আমি বললামঃ এখন থেকে তিনি আর আমাদের পছন্দ করবেন না। আর এটাও বুঝতে পারলাম যে, তিনি সুস্থ অবস্থায় আমাদের কাছে যা বলতেন এটি তাই। আর তা সঠিক। আয়িশা (রাঃ) বলেন, এটি ছিল তার সর্বশেষ বাক্য যা তিনি বললেনঃ ইয়া-আল্লাহ! আমি শ্রেষ্ঠ বন্ধুকে গ্রহণ করলাম।