হাদিস নম্বরঃ ৪৯৩৫ | 4935 | ٤۹۳۵
পরিচ্ছদঃ ২০৭৬. যদি মহিলাকে তিন তালাক দেয় এবং ইদ্দত শেষে সে অন্য স্বামীর কাছে বিয়ে বসে, কিন্তু সে তাকে স্পর্শ (সংগম) না করে থাকে।
৪৯৩৫। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রিফাআ কুরাযী এক মহিলাকে বিয়ে করে পরে তালাক দেয়। এরপর মহিলা অন্য স্বামী গ্রহন করে। পরে সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাকে অবহিত করলো যে সে (স্বামী) তার কাছে আসে না আর তার কাছে কাপড়ের কিনারা সদৃশ বৈ কিছুই নেই। তিনি বললেনঃ তা হবে না, যতক্ষন পর্যন্ত তুমি তার কিছু স্বাদ আস্বাদন না করবে, আর সেও তোমার কিঞ্চিত স্বাদ আস্বাদন না করবে (ততক্ষন প্রথম স্বামীর কাছে যাওয়া যাবে না)।
হাদিস নম্বরঃ ৪৯৩৬ | 4936 | ٤۹۳٦
পরিচ্ছদঃ ২০৭৮. গর্ভবতী মহিলাদের ইদ্দতের সময়সীমা সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত।
بَابُ: {وَاللاَّئِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ}
قَالَ مُجَاهِدٌ إِنْ لَمْ تَعْلَمُوا يَحِضْنَ أَوْ لاَ يَحِضْنَ وَاللاَّئِي قَعَدْنَ عَنِ الْحَيْضِ، وَاللاَّئِي لَمْ يَحِضْنَ، فَعِدَّتُهُنَّ ثَلاَثَةُ أَشْهُرٍ
২০৭৭. পরিচ্ছেদঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের হায়েয বন্ধ হয়ে গেছে …. যদি তোমাদের সন্দেহ দেখা দেয় তাদের ইদ্দত তিন মাস এবং তাদেরও, যাদের এখনও হায়েয আসা আরম্ভ হয়নি। মুজাহিদ বলেনঃ যদিও তোমরা না জান যে, তাদের হায়েয- হবে কি না। যাদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে এবং যাদের এখনো আরম্ভ হয়নি, তাদের ‘ইদ্দত তিন মাস।
৪৯৩৬। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) … নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনা সালামা (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, আসলাম গোত্রের সুবায়-আ নাম্বী এক মহিলাকে তার স্বামী গর্ভাবস্থায় রেখে মারা যায়। এরপর আবূ সানাবিল ইবনু বাকাক (রাঃ) তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মহিলা তার সাথে বিয়ে বসতে অস্বীকার করে। সে (আবূ সানাবিল) বললঃ আল্লাহর শপথ দুটি মেয়াদের মধ্যে দীর্ঘতর মেয়াদ অনুসারে ইদ্দত পালন না করা পর্যন্ত তোমার জন্য অন্যান্য বিয়ে বসা দুরস্ত হবে না। এর প্রায় দশ দিনের মধ্যেই সে সন্তান প্রসব করে। এরপর সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলে তিনি বললেনঃ এখন তুমি বিয়ে করতে পার।
হাদিস নম্বরঃ ৪৯৩৭ | 4937 | ٤۹۳۷
পরিচ্ছদঃ ২০৭৮. গর্ভবতী মহিলাদের ইদ্দতের সময়সীমা সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত।
৪৯৩৭। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্নিত যে তিনি ইবনু আরকামের নিকট (এই মর্মে) একটি পত্র লিখলেন যে তুমি সুবায়-আ আসলামীয়াকে জিজ্ঞাস কর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কি প্রকারের ফতোয়া দিয়েছিলেন? সে উত্তরে বললঃ তিনি আমাকে সন্তান প্রসব করার পর বিয়ে করার ফতোয়া দিয়েছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৯৩৮ | 4938 | ٤۹۳۸
পরিচ্ছদঃ ২০৭৮. গর্ভবতী মহিলাদের ইদ্দতের সময়সীমা সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত।
৪৯৩৮। ইয়াহইয়া ইবনু কাযাআ (রহঃ) … মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, সুবায়’আ আসলামীয়া তার স্বামীর মৃত্যুর কয়েকদিন পর সন্তান প্রসব করে। এরপর সে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বিয়ে করার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি তাকে অনুমতি দেন। তখন সে অন্যত্র বিয়ে করে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৯৩৯ | 4939 | ٤۹۳۹
পরিচ্ছদঃ ২০৮০. ফাতিমা বিনত কায়েসের ঘটনা এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ আর তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্কে ভয় কর, তোমরা তাদের বাসগৃহ থেকে বহিষ্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয়, যদি না তারা স্পষ্ট অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়ে। এসব আল্লাহর বিধান; যে আল্লাহর বিধান লংঘন করে, সে নিজেরই উপর অত্যাচার করে। তুমি জাননা, হয়ত আল্লাহ্ এরপর উপায় করে দেবেন …… আর তোমরা নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী যে স্থানে বাস কর, তাদেরকে সে স্থানে বাস করতে দাও ….. আল্লাহ্ কষ্টের পর শান্তি দিবেন। (সুরা তালাকঃ ১-৭)
২০৭৯. পরিচ্ছদঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ তালাকপ্রাপ্তা মহিলারা তিন কুরু (হায়েয) পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। ইব্রাহীম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ‘ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে করে, এরপর মহিলা তার কাছে তিন হায়েয পর্যন্ত অবস্থান করার পর দ্বিতীয় স্বামীও যদি তাকে তালাক দেয়, তবে সে প্রথম স্বামী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। উক্ত তিন হায়েয তৃতীয় স্বামীর গ্রহণের জন্য যথেষ্ট হবেনা। (বরং তার জন্য নতুনভাবে ‘ইদ্দত পালন করতে হবে।) কিন্তু যুহরী বলেছেনঃ যথেষ্ট হবে। সুফিয়ানও যুহরীর মত গ্রহণ করেছেন। মা’মার বলেন, মহিলা কুরু যুক্ত হয়েছে তখনি বলা হয়, যখন তার হায়েয বা তুহুর আসে। مَا قَرَأَتْ بِسَلًى قَطُّ তখন বলা হয়, যখন মহিলা গর্ভে কোন সন্তান ধারণ না করে। (অর্থাৎ ‘কুরু’ অর্থ ধারণ করা বা একত্রিত করাও হয়)
৪৯৩৯। ইসমাঈল (রহঃ) … কাসিম ইবনু মুহাম্মদ ও সুলায়মান ইবনু ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে ইয়াহইয়া ইবনু সা-ঈদ ইবনু আস (রহঃ) আবদুর রহমান ইবনু হাকাম এর কন্যাকে তালাক দিলে আবদবু রহমান তাকে উম্মুল মূমিনীন আয়িশা (রাঃ) এর কাছে নিয়ে গেলে, তিনি মদিনার শাসনকর্তা মারওয়ানের কাছে বলে পঠোলেনঃ আল্লাহকে ভয় কর, আর তাকে তার ঘরে ফিরিয়ে দাও। মারওয়ান বলেন, সুলায়মানের বর্ণনায় আবদুর রহমান আমাকে যুক্তিতে পরাজিত করেছে। কাসিম ইবনু মুহাম্মদের বর্ণনায় তিনি বলেন, ফাতিমা বিনত কায়েসের ঘটনা কি আপনয়ি কাছে পৌছেনি? তিনি বললেনঃ ফতিমা বিনত কায়েসের ঘটনা স্মরণ না রাখলে তোমার কোন ক্ষতি হবেনা। মারওয়ান বললেনঃ যদি মনে করেন ফাতিমাকে বের করার পিছনে তার দুর্ব্যবহার কাজ করেছে, তবে বলব, এখানে সে দুর্ব্যবহার বিদ্যমান আছে।