YUSUFALI: As to those who believe not in the Hereafter, We have made their deeds pleasing in their eyes; and so they wander about in distraction.
PICKTHAL: Lo! as for those who believe not in the Hereafter, We have made their works fairseeming unto them so that they are all astray.
SHAKIR: As to those who do not believe in the hereafter, We have surely made their deeds fair-seeming to them, but they blindly wander on.
KHALIFA: Those who do not believe in the Hereafter, we adorn their works in their eyes. Thus, they continue to blunder.
০৪। যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, তাদের দৃষ্টিতে আমি তাদের কর্মকে শোভন করেছি ৩২৪২। সুতারাং তারা বিভ্রান্তিতে ঘুরে বেড়ায়।
৩২৪২। যারা আল্লাহ্ প্রদত্ত বিধানকে প্রত্যাখান করে এবং পাপের পথে নিজেকে পরিচালিত করে , তাদের নিজেদের কর্মকে তাদের নিজের চোখে অতিশয় মনোহর বলে মনে হবে এবং তারা আত্মগর্বে বিমোহিত থাকবে। এই হচ্ছে বিধির বিধান। যদিও তাদের কৃতকর্ম অন্য কেউ পছন্দ করবে না, কিন্তু পাপীদের চোখে নিজস্ব পাপকে স্বীয় সাফল্যের মানদন্ডরূপে বিবেচিত হবে। কারণ আল্লাহ্ তা তাদের চোখে শোভন করেন। কারণ যেহেতু তারা আল্লাহ্ প্রদত্ত পথকে প্রত্যাখান করেছে, সেহেতু আল্লাহ্ তাদের গৃহীত পাপের পথকে তাদের দৃষ্টিতে শোভন করে দেন। অন্যায় ও পাপকে তখন আর তাদের ধারণায় অন্যায় ও পাপ বলে বোধ হয় না। ন্যায় ও সত্য তাদের চোখে মনে হবে হাস্যস্কর ব্যাপার মাত্র। আল্লাহ্ তাদের অনুতাপ করার জন্য আরও সুযোগ দান করেন। কিন্তু এসব পাপীরা আর সুপথে ফিরে আসে না , তারা তাদের নিজস্ব কল্পনা ও খেয়ালেরই অনুসরণ করে থাকে। ফলে তারা আধ্যাত্মিক দিক থেকে বিভ্রান্তকর অবস্থায় পৌঁছে যায়। এই বিশ্বচরাচরের সকল কিছুই এক স্রষ্টার আদেশ মান্য করে চলেছে। মানুষকেও সেই একই উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই নশ্বর দেহের মাঝে যে অমর আত্মার বাস তার ধর্মই হচ্ছে এক আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা, আয়াতে (৫১:৫৬) বলা হয়েছে ” আমি জ্বিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি এজন্য যে, তারা শুধু আমারই এবাদত করবে।” যখন সে আল্লাহ্ প্রদত্ত পথ নির্দ্দেশকে উপেক্ষা করে পাপের পথে ধাবিত হয় , তখন সে তার আদি ধর্ম থেকে বিচ্যুত হয়। ফলে আত্মা হয় পথ ভ্রান্ত , বিভ্রান্ত ও স্ব ধর্মচ্যুত। কারণ আত্মার জন্য তখন অনুসরণযোগ্য কোনও নির্দ্দিষ্ট মানদণ্ড তখন থাকে না। আত্মার প্রকৃত গুণাবলী নষ্ট হয়ে যায় , সেই আত্মা বিশ্বস্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের যোগ্যতা হারায়। উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে চেষ্টা করবো : স্বচ্ছ সলিল সে কোনও বস্তুর ময়লাধুয়ে পরিচ্ছন্ন করে দেয়। কিন্তু সেই পানিই যদি ড্রেনের ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি হয়, তবে তা পরিষ্কার করার যোগ্যতা হারায় – যদিও বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সে পানিরও মূল উপাদান ঐ স্বচ্ছ পানির ন্যায়।
সেই রূপ পাপে আসক্ত আত্মা – ঐ ড্রেনের পানির সমতুল্য , যার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে যায় , ফলে সে স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের যোগ্যতা হারায়।
আয়াতঃ 027.005
তাদের জন্যেই রয়েছে মন্দ শাস্তি এবং তারাই পরকালে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত।
They are those for whom there will be an evil torment (in this world). And in the Hereafter they will be the greatest losers.
أُوْلَئِكَ الَّذِينَ لَهُمْ سُوءُ الْعَذَابِ وَهُمْ فِي الْآخِرَةِ هُمُ الْأَخْسَرُونَ
Ola-ika allatheena lahum soo-o alAAathabi wahum fee al-akhirati humu al-akhsaroona
YUSUFALI: Such are they for whom a grievous Penalty is (waiting); and in the Hereafter theirs will be the greatest loss.
PICKTHAL: Those are they for whom is the worst of punishment, and in the Hereafter they will be the greatest losers.
SHAKIR: These are they who shall have an evil punishment, and in the hereafter they shall be the greatest losers.
KHALIFA: It is these who incur the worst retribution, and in the Hereafter, they will be the worst losers.
০৫। এদের জন্যই [ অপেক্ষা করছে ] ভয়াবহ শাস্তি। এবং পরকালে রয়েছে আরও অধিক ক্ষতি ৩২৪৩।
৩২৪৩। সব কাজেরই মূল্যায়ন ঘটে শেষ যোগফলের মাধ্যমে। এ সব পাপী আত্মার শেষ পরিণতি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। পরলোকে যখন হিসাবের জন্য এ সব আত্মাকে উপস্থিত করা হবে, তখন দেখা যাবে তারা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন। পার্থিব জগতের পাপ কাজ তাদের যে আত্মপ্রসাদ ও পরিতৃপ্তি দান করতো তার শেষ পরিণতি হবে সর্বাধিক ক্ষতি।
আয়াতঃ 027.006
এবং আপনাকে কোরআন প্রদত্ত হচ্ছে প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানময় আল্লাহর কাছ থেকে।
And verily, you (O Muhammad SAW) are receiving the Qur’ân from the One, All-Wise, All-Knowing.
وَإِنَّكَ لَتُلَقَّى الْقُرْآنَ مِن لَّدُنْ حَكِيمٍ عَلِيمٍ
Wa-innaka latulaqqa alqur-ana min ladun hakeemin AAaleemin
YUSUFALI: As to thee, the Qur’an is bestowed upon thee from the presence of one who is wise and all-knowing.
PICKTHAL: Lo! as for thee (Muhammad), thou verily receivest the Qur’an from the presence of One Wise, Aware.
SHAKIR: And most surely you are made to receive the Quran from the Wise, the Knowing Allah.
KHALIFA: Surely, you are receiving the Quran from a Most Wise, Omniscient.