YUSUFALI: “It is from Solomon, and is (as follows): ‘In the name of Allah, Most Gracious, Most Merciful:
PICKTHAL: Lo! it is from Solomon, and lo! it is: In the name of Allah, the Beneficent, the Merciful;
SHAKIR: Surely it is from Sulaiman, and surely it is in the name of Allah, the Beneficent, the Merciful;
KHALIFA: “It is from Solomon, and it is, `In the name of GOD, Most Gracious, Most Merciful.’
২৮। ” আমার এই চিঠি নিয়ে [ সেখানে ] যাও , এবং সেটা তাদের নিকট অর্পন কর। অতঃপর তাদের নিকট থেকে প্রত্যাগমন করে [ অপেক্ষা কর ] এবং দেখ তারা কি প্রত্যুত্তর দেয় ” ……….
২৯। [ রাণী ] বলেছিলো, ” হে পরিষদবর্গ আমাকে এক সম্মানীত পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। ”
৩০। ” এটা এসেছে সুলেমানের পক্ষ থেকে এবং তা এই : ” দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ! ৩২৭০”
৩২৭০। সুলাইমান তাঁর পত্র পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে শুরু করে এ কথাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিনি নূতন সম্প্রদায়কে আল্লাহ্র প্রতি সত্যের প্রতি আহ্বান করেছেন। তাঁর এই আহ্বান সমর শক্তি দ্বারা দেশ জয় করার অভিপ্রায় নয়। এই আহ্বান ছিলো সম্মানজনক আহ্বান আল্লাহ্র হেদায়েতের আলোয়।
আয়াতঃ 027.031
আমার মোকাবেলায় শক্তি প্রদর্শন করো না এবং বশ্যতা স্বীকার করে আমার কাছে উপস্থিত হও।
”Be you not exalted against me, but come to me as Muslims (true believers who submit to Allâh with full submission)’ ”
أَلَّا تَعْلُوا عَلَيَّ وَأْتُونِي مُسْلِمِينَ
Alla taAAloo AAalayya wa/toonee muslimeena
YUSUFALI: “‘Be ye not arrogant against me, but come to me in submission (to the true Religion).’”
PICKTHAL: Exalt not yourselves against me, but come unto me as those who surrender.
SHAKIR: Saying: exalt not yourselves against me and come to me in submission.
KHALIFA: “Proclaiming: `Do not be arrogant; come to me as submitters.’ ”
৩১। ” আমার বিরুদ্ধে উদ্ধত হয়ো না, বরং [ সত্য ধর্মে ] অনুগত হয়ে আমার নিকট উপস্থিত হও।”
আয়াতঃ 027.032
বিলকীস বলল, হে পরিষদবর্গ, আমাকে আমার কাজে পরামর্শ দাও। তোমাদের উপস্থিতি ব্যতিরেকে আমি কোন কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না।
She said: ”O chiefs! Advise me in (this) case of mine. I decide no case till you are present with me.”
قَالَتْ يَا أَيُّهَا المَلَأُ أَفْتُونِي فِي أَمْرِي مَا كُنتُ قَاطِعَةً أَمْرًا حَتَّى تَشْهَدُونِ
Qalat ya ayyuha almalao aftoonee fee amree ma kuntu qatiAAatan amran hatta tashhadoona
YUSUFALI: She said: “Ye chiefs! advise me in (this) my affair: no affair have I decided except in your presence.”
PICKTHAL: She said: O chieftains! Pronounce for me in my case. I decide no case till ye are present with me.
SHAKIR: She said: O chiefs! give me advice respecting my affair: I never decide an affair until you are in my presence.
KHALIFA: She said, “O my advisers, counsel me in this matter. I am not deciding anything until you advise me.”
রুকু – ৩
৩২। সে বলেছিলো, ” হে পরিষদবর্গ ! আমার এই ব্যাপারে আমাকে পরামর্শ দাও। কোন ব্যাপারে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না, তোমাদের উপস্থিতি ছাড়া।”
৩৩। তারা বলেছিলো, ” আমরা তো শক্তিতে সমৃদ্ধ প্রচন্ড যুদ্ধে পারদর্শী। কিন্তু আপনি হুকুম দেয়ার মালিক। সুতারাং ভেবে বলুন আপনি কি হুকুম দেবেন। ”
৩৪। সে বলেছিলো, ” রাজা-বাদশারা যখন কোন দেশে [ বিজয়ী রূপে ] প্রবেশ করে, তখন সে দেশ লুণ্ঠন করে ৩২৭১। সেখানের মর্যদাবান ব্যক্তিদের লাঞ্ছিত করে। এরাও এরূপই করবে।
৩২৭১। এই আয়াতের মাধ্যমে রাণী বিলকিসের চরিত্রের বিশেষ দিক প্রকাশিত করা হয়েছে। রাণী শাসক হিসেবে ক্ষমতা, ঐশ্বর্য্য ,সম্মান , প্রজাদের আনুগত্য সব কিছুই পূর্ণমাত্রায় ভোগ করছিলেন। কিন্তু তিনি পরিষদদের সাথে আলোচনা ব্যতীত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন না। তাঁর পরিষদবর্গ ছিলো তাঁর একান্ত অনুগত এবং তাঁর আদেশ মানার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। তাঁর প্রজাবর্গ ছিলো সাহসী, অনুগত ও তৃপ্ত। যদিও তাঁরা দেশকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত ছিলো। কিন্তু রাণী বিলকিস সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে ছিলেন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ। তিনি তাঁর দেশকে যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত করতে চান নাই। তিনি তাঁর বিচক্ষণতার দ্বারা অনুধাবন করেছিলেন যে, সুলাইমান ঠিক অন্য আর সকল নৃপতির মত অস্ত্রের মাধ্যমে দেশ জয়ের পক্ষপাতি নন। সম্ভবতঃ বিলকিসের হৃদয় ছিলো পবিত্র, তাই আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো পূর্ব থেকেই সে হৃদয়ে প্রবেশ করেছিলো , যার দরুণ সত্য ও মিথ্যাকে প্রভেদ করার ক্ষমতা স্বতঃস্ফুর্তভাবে তাঁর হৃদয়ে তিনি লাভ করেছিলেন ; যদিও তাঁর রাজত্বে তাঁর সকল প্রজা ছিলো মোশরেক। রাণী ছিলেন একজন সুদক্ষ শাসক এবং প্রজাবৎসল। প্রজাদের জন্য তাঁর ছিলো অপরিমেয় স্নেহ ভালোবাসা। সুতারাং প্রজারাও তাদের রাণীকে যৎপরনাস্তি ভালোবাসতো। যে কোন অবস্থাতেই তারা রাণীর পাশে অবস্থান নেবে। সুতারাং যুদ্ধের রাস্তায় না যেয়ে রাণী সিদ্ধান্ত নিলেন যে, উপঢৌকন প্রেরণ করা হোক। সম্ভবতঃ রাণীর হৃদয়ে আধ্যাত্মিক আলোর অনুপ্রবেশ ঘটেছিলো – কারণ তাঁর সিদ্ধান্ত ছিলো মানবিক ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন। রাণী বিলকিসের চরিত্রে দূরদর্শিতা ও নারীর মমত্বের রূপ লক্ষ্য করা যায় কারণ প্রজাদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব সত্বেও তিনি শান্তির পথে তাদের টেনে নিতে সক্ষম ছিলেন।