২৪। ” আমি তাকে ও তার সম্প্রদায়কে দেখলাম আল্লাহ্র পরিবর্তে সূর্যের এবাদত করতে ৩২৬৬। শয়তান তাদের কার্যাবলী তাদের চোখে মনোহর করেছে এবং সে তাদের সঠিক পথ থেকে নিবৃত্ত করেছে – সুতারাং তারা পথ-নির্দ্দেশ লাভ করে না, –
৩২৬৬। সাবার লোকদের [ Himyar or Sabaeans ] প্রাচীন ধর্ম ছিলো নভোমন্ডলের সূর্য, চন্দ্র ও তারকারাজিকে পূঁজা করা। সম্ভবতঃ এই ধর্ম বিশ্বাস হযরত ইব্রাহীমের পিতার দেশ চালদিয়া [ Chaldaea ] থেকে আগত। দেখুন আয়াত [ ৬ : ৭৫ – ৭৯ এবং এর টিকা ]। কারণ আবেসিনিয়া মেসোপটেমিয়া এবং পারস্য উপসাগরে ইয়েমেনবাসীদের অবাধ যাতায়াত ছিলো।
সাবাঈনদের ধর্ম [ Sabaean আরবীতে সিন্ দিয়ে লেখা হয় ] এবং সাবীয়ানদের ধর্মের [ Sabian আরবীতে সোয়াদ দিয়ে লেখা হয় ] মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলা ঠিক নয়। সাবীয়ানদের সম্পর্কে দেখুন আয়াত [ ২ : ৬২ ] এবং টিকা ৭৬।
আয়াতঃ 027.025
তারা আল্লাহকে সেজদা করে না কেন, যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের গোপন বস্তু প্রকাশ করেন এবং জানেন যা তোমরা গোপন কর ও যা প্রকাশ কর।
Al-Lâ (this word has two interpretations) (A) [As Shaitân (Satan) has barred them from Allâh’s Way] so that they do not worship (prostrate before) Allâh, or (B) So that they may worship (prostrate before) Allâh, Who brings to light what is hidden in the heavens and the earth, and knows what you conceal and what you reveal. [Tafsir At-Tabarî, Vol. 19, Page 149]
أَلَّا يَسْجُدُوا لِلَّهِ الَّذِي يُخْرِجُ الْخَبْءَ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَيَعْلَمُ مَا تُخْفُونَ وَمَا تُعْلِنُونَ
Alla yasjudoo lillahi allathee yukhriju alkhabaa fee alssamawati waal-ardi wayaAAlamu ma tukhfoona wama tuAAlinoona
YUSUFALI: “(Kept them away from the Path), that they should not worship Allah, Who brings to light what is hidden in the heavens and the earth, and knows what ye hide and what ye reveal.
PICKTHAL: So that they worship not Allah, Who bringeth forth the hidden in the heavens and the earth, and knoweth what ye hide and what ye proclaim,
SHAKIR: That they do not make obeisance to Allah, Who brings forth what is hidden in the heavens and the earth and knows what you hide and what you make manifest:
KHALIFA: They should have been prostrating before GOD, the One who manifests all the mysteries in the heavens and the earth, and the One who knows everything you conceal and everything you declare.
২৫। ” [ নিবৃত্ত করেছে এজন্য যে ] ,তারা যেনো এবাদত না করে আল্লাহ্র , যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর লুক্কায়িত বস্তুকে প্রকাশ করেন এবং যিনি জানেন যা তোমরা গোপন কর এবং যা তোমরা প্রকাশ কর ৩২৬৭।
৩২৬৭। সাবাঈনদের মিথ্যা উপাস্যের উপাসনাকে তিন ভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে।
১) তারা তাদের নিজেদের সাফল্যে বিমোহিত কারণ শয়তান তাদের কার্যাবলী তাদের চোখে শোভন করে দেয়। তারা সর্ব সাফল্যের জন্য আল্লাহ্র অনুগ্রহকে স্মরণ করতে ভুলে যায়।
২) যে জ্যোতিষ্কমন্ডলীর পূঁজা তারা করে, সে সবের অস্তিত্ব আল্লাহ্র অনুগ্রহের উপরে নির্ভরশীল। স্রষ্টাকে পূঁজা করতে হয়, তাঁর সৃষ্টিকে নয়, এই সহজ সত্য তারা শয়তানের প্ররোচনাতে অনুধাবনে ব্যর্থ।
৩) আল্লাহ্ মানুষের মনের ব্যক্ত অব্যক্ত সকল চিন্তাধারা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। তারা যার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে সে সম্বন্ধেও আল্লাহ্ ওয়াকিবহাল। আসলে তাদের আনুগত্য তাদের আত্ম পূঁজা। নিজেদের মনগড়া মিথ্যা উপাস্য তাদের নিজেদেরই সৃষ্টি। নিজের সৃষ্টির পূঁজার মাধ্যমে তারা আত্মপূঁজাতেই আত্মনিমগ্ন থাকে। স্রষ্টাকে ভয় পায়। কারণ তিনি সব কিছু জানেন। তাদের অন্তরের গোপন পাপের খবরও তিনি জ্ঞাত।
আয়াতঃ 027.026
আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি মহা আরশের মালিক।
Allâh, Lâ ilâha illa Huwa (none has the right to be worshipped but He), the Lord of the Supreme Throne!
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
Allahu la ilaha illa huwa rabbu alAAarshi alAAatheemi
YUSUFALI: “Allah!- there is no god but He!- Lord of the Throne Supreme!”
PICKTHAL: Allah; there is no Allah save Him, the Lord of the Tremendous Throne.
SHAKIR: Allah, there is no god but He: He is the Lord of mighty power.
KHALIFA: GOD: there is no other god beside Him; the Lord with the great dominion.
২৬। ” আল্লাহ্ ! তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই ! – তিনি মহা আরশের অধিপতি ৩২৬৮। ”
৩২৬৮। হুদ্হুদ্ ছিলো হযরত সুলাইমানের উপযুক্ত পূণ্যাত্মা দূত। তার বক্তব্য ছিলো : প্রথমে সাবাঈনের মিথ্যা উপাস্যের উপাসনার উল্লেখ করে সে একত্ববাদের ঘোষণা করে এবং আল্লাহ্কে মহা আরশের অধিপতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করে। কারণ সে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করে যে, মানুষের সিংহাসন যত চমৎকার ও জাঁকজমকপূর্ণ হোক না কেন [ ২৭ : ২৩ ] – সবার উপরে আল্লাহ্র আরশের অবস্থান। এর মানে এই নয় যে, সে সুলাইমানের বিশ্বস্ত ছিলো না, এখানে শুধু সে একত্ববাদের ধর্মকে ব্যাখ্যাদান করে।