তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাকে শাদীর জন্য প্রস্তাব পাঠালেন এবং হাফসাকে আমি তার সাথে শাদী দিলাম। এরপর আবূ বকর (রাঃ) আমার সঙ্গে সাক্ষাত করে বললেন, সম্ভবত আপনি আমার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আপনি যখন হাফসাকে আমার জন্য পেশ করেন তখন আমি কোন উত্তর দেইনি। উমর (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হাঁ। আব বকর (রাঃ) বললেন, আপনার প্রস্তাবে সাড়া না দিতে কোন কিছুই আমাকে বিরত করেনি, বরং আমি জানি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসার বিষয় উল্লেখ করেছেন, কখনও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর গোপন ভেদ প্রকাশ আমার পক্ষক্ষ সম্ভব নয়। যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রত্যাহার করতেন তাহলে আমি হাফসাকে গ্রহণ করতাম।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৪৮ | 4748 | ٤۷٤۸
পরিচ্ছদঃ ২৪৫৯. নিজের কন্যা অথবা বোনকে শাদীর জন্য কোন নেক্কার পরহেজগার ব্যক্তির সামনে পেশ করা
৪৭৪৮। কুতায়বা (রহঃ) … ইরাক ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, যয়নাব বিনতে আবূ সালামা (রাঃ) তাঁর কাছে বর্ণনা করেছেন যে, উম্মে হাবীবা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বলেছেন, আপনি দুররাহ্ বিনত আবূ সালামাকে শাদী করতে যাচ্ছেন- এ কথা আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি উম্মে সালামা থাকতে তাকে শাদী করব? যদি আমি উম্মে সালামাকে শাদী নাও করতাম, তবুও সে আমার জন্য হালাল হত না। কেননা তার পিতা আমার দুধভাই।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৪৯ | 4749 | ٤۷٤۹
পরিচ্ছদঃ ২৪৬১. শাদী করার পূর্বে মেয়ে দেখে নেয়া
২৪৬০. অনুচ্ছেদঃ আল্লাহর বাণীঃ যদি তোমরা শাদীর ইচ্ছা কর প্রকাশ্যে অথবা অন্তরে গোপন রা, উভয় অবস্থা আল্লাহ্ জানেন। আল্লাহ্ ক্ষমাকারী এবং ধৈর্যশীল। أَكْنَنْتُمْ আরবী অর্থ – তোমরা গোপনে মনে পোষণ কর, প্রত্যেক বস্তু যা তুমি গোপনে রাখ তা হলো ‘মাকনূন’। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবন আব্বাস (রা) বলেনঃ যদি কোন ব্যক্তি ইদ্দত পালনকারী কোন মহিলাকে বলে যে, আমার শাদী করার ইচ্ছ আছে। আমার শাদী করার ইচ্ছা আছে। আমি কোন নেক্কার মহিলাকে পেতে ইচ্ছা পোষণ করি। কাসিম (রহঃ) বলেন, এই আয়াতের ব্যাখ্যা হচ্ছে, যেন কোন ব্যক্তি বলল, তুমি আমার কাছে খুবই সম্মানিতা এবং আমি তোমাকে পছন্দ করি। আল্লাহ্ তোমার জন্য কল্যাণ বর্ষণ করুন। অথবা এই ধরণের উক্তি। আতা (রহঃ) বলেনে, শাদীর ইচ্ছা ইশারায় ব্যক্ত করা উচিত- খোলাখুলি এই ধরণের কোন কথা বলা ঠিক নয়। কেউ এ ধরণের বলতে পারে, আমার এ সকল গুণের প্রয়োজন আছে। আর তোমার জন্য সুখবর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য আপনি পুনঃ শাদীর উপযুক্ত। সে মহিলাও বলতে পারে আপনি যা বলেছেন, তা আমি শুনেছি কিন্তু এর বেশি ওয়াদা করা ঠিক নয়। তার অভিভাবকদেরও তার অজ্ঞাতে কোন প্রকার ওয়াদা দেয়া ঠিক নয়। কিন্তু যদি কেউ ইদ্দতের মাঝে কাউকে শাদীর কোন প্রকার ওয়াদা করে এবং ইদ্দত শেষে সে ব্যক্তি যদি তাকে শাদী করে তবে সেই শাদী বিচ্ছেদ করতে হবে না। হাসান (রহঃ) বলেছেন, (লা তুয়াঈদু হুন্না সিররান) এর অর্থ হলঃ ব্যভিচার। ইবন আব্বাস (রা) এর উদ্ধৃতি দিয়ে এই কথা বলা হয় যে, কিতাবু আজালাহু তানকাদী ইদ্দাতা অর্থ হল- ইদ্দত পূর্ণ হওয়া।
৪৭৪৯। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, আমি তোমাকে স্বপ্নের মধ্যে দেখেছি, একজন ফেরেশতা তোমাকে রেশমী চাঁদরে জড়িয়ে আমার কাছে নিয়ে এসে বলল, এ হচ্ছে আপনার স্ত্রী। এরপর আমি তোমার মুখমন্ডল থেকে চাঁদর খুলে ফেলে তোমাকে দেখতে পেলাম। তখন আমি বললাম, যদি স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তা বাস্তবায়িত হবে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৫০ | 4750 | ٤۷۵۰
পরিচ্ছদঃ ২৪৬১. শাদী করার পূর্বে মেয়ে দেখে নেয়া
৪৭৫০। কুতায়বা (রহঃ) … সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন মহিলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পণ করতে এসেছি। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে দেখলেন এবং অত্যন্ত সতর্কতার সাথে দৃষ্টি দিলেন। আপাদমস্তক দেখা শেষ করে তিনি মাথা নিচু করলেন। যখন মহিলা দেখতে পেল, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে কোন ফায়সালা দিচ্ছেন না, তখন সে বসে পড়ল।
তারপর একজন সাহাবী দাঁড়িয়ে অনুরোধ করলেন। ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আপনার এ মহিলার কোন প্রয়োজন না থাকে, তাহলে আমার সাথে তাকে শাদী দিয়ে দিন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার কাছে কোন সম্পদ আছে কি? সে বলল- না, আল্লাহর কসম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার কাছে কোন সম্পদ নেই। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তোমার পরিবারের কাছে গিয়ে দেখ, কোন কিছু পাও কিনা? তারপর সে চলে গেল, ফিরে এসে বলল, না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কিছুই পেলাম না। তখন তিনি বললেন, দেখ, একটি লোহার আংটি পাও কিনা! এরপর সে চলে গেল, ফিরে এসে বলল, না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কসম, একটি লোহার আংটিও পেলাম না; কিন্তু আমার তদবন্দ আছে।