৪৭৩৪ হুমায়দী (রহঃ) … উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি আবূ সুফিয়ানের কন্যার ব্যাপারে আগ্রহী? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন, তাকে দিয়ে আমার কি হবে? আমি বললাম, তাকে আপনি শাদী করবেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কি তা পছন্দ করবে? আমি বললাম, হাঁ। এখন তো আমি একাই আপনার স্ত্রী নই। সুতরাং আমি চাই, আমার বোনও আমার সাথে কল্যাণে অংশীদার হোক। তিনি বললেন, তাকে শাদী করা আমার জন্য হালাল নয়। আমি বললাম, আমরা শুনেছি যে, আপনি আবূ সালামার কন্যা-দুররাকে শাদী করার জন্য পয়গাম পাঠিয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করলেন, উম্মে সালামার কন্যা? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, সে যদি আমার প্রতিপালিতা সৎ কন্যা যদি নাও হতো তবুও তাকে শাদী করা আমার জন্য হালাল হতো না। কেননা সুয়াইবিয়া আমাকে ও তার পিতাকে দুধ পান করিয়েছিল। সুতরাং শাদীর জন্য তোমাদের কন্যা বা বোন কাউকে পেশ করো না। লাইছ বলেন, হিশাম দুররা বিনত আবী সালামার নাম বলেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৩৫ | 4735 | ٤۷۳۵
পরিচ্ছদঃ ২৪৫২. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ দুই বোনকে একত্রে শাদী করা (হালাল নয়) তবে অতীতে যা হয়ে গেছে
৪৭৩৫। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … উম্মে হাবীবা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি আমার বোন আবূ সুফিয়ানের কন্যাকে শাদী করুন। তিনি বলেন, তুমি কি তা পছন্দ কর? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি তো আপনার একমাত্র স্ত্রী নই এবং আমি যাকে সবচেয়ে ভালবাসি, তার সাথে আমার বোনকেও অংশীদার বানাতে চাই। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটা আমার জন্য হালাল নয়। আমি বললাম, আল্লাহ্র কসম! আমরা শুনেছি যে আপনি আবু সালামার কন্যা দুররাকে শাদী করতে চান। তিনি বললেন, তুমি কি উম্মে সালামার কন্যার কথা বলেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহর কসম, যদি সে আমার সৎ কন্যা নাও হতো তবুও তাকে শাদী করা আমার জন্য হালাল হতো না। কারণ সে হচ্ছে আমার দুধ সম্পর্কীয় ভাইয়ের কন্যা। সুওয়াইবা আমাকে এবং তার পিতা আবূ সালমাকে দুধ পান করিয়েছিলেন। সুতরাং তোমাদের কন্যা বা বোনদের শাদীর পয়গাম আমার কাছে পেশ করো না।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৩৬ | 4736 | ٤۷۳٦
পরিচ্ছদঃ ২৪৫৩. আপন ফুফু যদি কোন পুরুষের স্ত্রী হয়, তবে যেন কোন মহিলা উক্ত পুরুষকে শাদী না করে
৪৭৩৬। আবদান (রহঃ) … জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যাক্তি যেন তার স্ত্রীর ভাইয়ের মেয়ে এবং ভাগ্নীকে শাদী না করে। অপর এক সূত্রে এই হাদীসখানা আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৩৭ | 4737 | ٤۷۳۷
পরিচ্ছদঃ ২৪৫৩. আপন ফুফু যদি কোন পুরুষের স্ত্রী হয়, তবে যেন কোন মহিলা উক্ত পুরুষকে শাদী না করে
৪৭৩৭। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যেন ফুফু ও তার ভাতিজীকে এবং খালা ও তার বোনঝিকে একত্রে শাদী না করে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৩৮ | 4738 | ٤۷۳۸
পরিচ্ছদঃ ২৪৫৩. আপন ফুফু যদি কোন পুরুষের স্ত্রী হয়, তবে যেন কোন মহিলা উক্ত পুরুষকে শাদী না করে
৪৭৩৮। আবদান (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে একসাথে ফুফু ও ভ্রতুষ্পুত্রী এবং খালা ও তার বোনের মেয়েকে বিবাহ করতে নিষেধ করেছেন। অধস্তন রাবী যুহরী বলেছেন, আমার স্ত্রীর পিতার খালার ব্যাপারেও এ নির্দেশ জানি, কেননা উরওয়া আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, রক্তের সম্পর্কের কারণে যা হারাম, দুধ পানের কারণেও এসব তোমরা হারাম মনে করো।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৩৯ | 4739 | ٤۷۳۹
পরিচ্ছদঃ ২৪৫৪. আশ্-শিগার বা বদল বিবাহ
৪৭৩৯। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশ্-শিগার নিষিদ্ধ করেছেন। ‘আশ্-শিগার’ হলঃ কোন ব্যাক্তি নিজের কন্যাকে অন্য এক ব্যাক্তির পুত্রের সাথে বিবাহ দিবে এবং তার কন্যা নিজের পুত্রের জন্য আনবে এবং এক্ষেত্রে কোন কনেই মোহর পাবে না।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৪০ | 4740 | ٤۷٤۰
পরিচ্ছদঃ ২৪৫৫. কোন মহিলা কোন পুরুষের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে পারে কিনা ?
৪৭৪০। মুহাম্মাদ ইবনু সালাম (রহঃ) … হিশামের পিতা উরওয়া থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, যে সব মহিলা নিজেদেরকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট সমর্পণ করেছিলেন, খাওলা বিনতে হাকীম তাদেরই একজন ছিলেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, মহিলাদের কি লজ্জা হয় না যে, নিজেদের পুরপুরুষের কাছে সমর্পণ করছে? কিন্তু যখন কুরআন ের এ আয়াত অবর্তীর্ণ হল- “হে মুহাম্মাদ! তোমাকে অধিকার দেয়া হল যে নিজ স্ত্রীগণের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা আলাদা রাখতে পার।” আয়িশা (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মনে হয়, আপনার রব আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার ত্বড়িৎ ব্যবস্থা নিচ্ছেন। উক্ত হাদীসটি আবূ সাঈদ মুয়াদ্দিব, মুহাম্মাদ ইবনু বিশর এবং আবদাহ্ হিশাম থেকে আর হিশাম তার পিতা হতে একে অপরের চেয়ে কিছু বেশী-কমসহ আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।