হাদিস নম্বরঃ ৪৩৫৫ | 4355 | ٤۳۵۵
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ قل ادعوا الذين زعمتم من دونه فلا يملكون كشف الضر عنكم ولا تحويلا “বল, তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর যাদের ইলাহ মনে কর, তাদের আহবান কর; তমদের দুঃখ দৈন্য দূর করার অথবা পরিবর্তন করার শক্তি ওদের নেই”।
৪৩৫৫। আমর ইবনু আলি (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত , إِلَى رَبِّهِمِ الْوَسِيلَةَ তিনি আয়াতটি সম্পর্কে বলেন, কিছু মানুষ কিছু জ্বীনকে ইবাদত করত। সেই জ্বীনেরা তো ইসলাম গ্রহন করে ফেলল। আর ঐ লোকজন তাদের (বাতিল) ধর্ম আঁকড়িয়ে রইল। আশজায়ী সুফয়ান সূত্রে আমাশ (রহঃ) থেকে قُلِ ادْعُوا الَّذِينَ زَعَمْتُمْ আয়াতটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৫৬ | 4356 | ٤۳۵٦
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ أولئك الذين يدعون يبتغون إلى ربهم الوسيلة “তারা যাদের আহবান করে, তারাই তো তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে”।
৪৩৫৬। বিশর ইবনু খালিদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) الَّذِينَ يَدْعُونَ يَبْتَغُونَ إِلَى رَبِّهِمِ الْوَسِيلَةَ এ আয়াতটি সম্পর্কে বলেন, কিছু লোক জ্বীনের পূজা করত। পরে জ্বীনগুলো ইসলাম ধর্ম গ্রহন করল। তাদের সম্পর্কে এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৫৭ | 4357 | ٤۳۵۷
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ وما جعلنا الرؤيا التي أريناك إلا فتنة للناس (হে রাসুল!) “আমি যে দৃশ্য আপনাকে দেখিয়েছি, তা কেবলমাত্র মানুষের পরীক্ষার জন্য”।
৪৩৫৭। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلاَّ فِتْنَةً لِلنَّاسِ এ আয়াত সম্পর্কে বলেন, এ আয়াতে رُؤْيَا (স্বপ্নে দেখা নয়, বরং) চোখ দ্বারা প্রত্যক্ষ ভাবে দেখা বোঝানো হয়েছে, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিরাজের রাতে প্রত্যক্ষ ভাবে দেখানো হয়েছিল। আর এখানে الشَّجَرَةَ الْمَلْعُونَةَ (অভিশপ্ত বৃক্ষ) বলতে যাক্কুম বৃক্ষ কে বোঝানো হয়েছে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৫৮ | 4358 | ٤۳۵۸
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণী, إن قرآن الفجر كان مشهودا “ফজরের সালাতে কুরআন পাঠ পরিলক্ষিত হয় বিশেষ ভাবে”। মুজাহিদ (র) বলেন, الفجر দ্বারা এখানে সালাতে ফজর বুঝানো হয়েছে।
৪৩৫৮। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বরনিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জামাতের সাথে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করার ফজিলত একাকী পড়ার চেয়ে পঁচিশ গুন বেশি। আর প্রাতঃকালের সালাত (নামায/নামাজ) রাতের ফেরেশতারা এবং দিনের ফেরেশতারা সমবেত হয় (এ প্রসঙ্গে) আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, তোমরা ইচ্ছা করলে এ আয়াতটি পড়ে নিতে পার – وَقُرْآنَ الْفَجْرِ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا (কায়েম করবে) “ফজরের সালাত (নামায/নামাজ), ফজরের সালাত (নামায/নামাজ)” পরিলক্ষিত হয় বিশেষ ভাবে”।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৫৯ | 4359 | ٤۳۵۹
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ عسى أن يبعثك ربك مقاما محمودا “আশা করা যায় তমার রব তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদে” ।
৪৩৫৯। ইসমাইল ইবনু আবান (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন লোকেরা ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে। প্রত্যেক নাবীর উম্মত নিজ নিজ নাবীর অনুসরন করবে। তারা বলবে, হে অমুক (নাবী)! আপনি সুপারিশ করুন। হে অমুক (নাবী)! আপনি সুপারিশ করুন। তারা কেউ সুপারিশ করতে রাজী হবেন না। শেষ পর্যন্ত সুপারিশের দায়িত্ব নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর বর্তাবে। আর এ দিনেই আল্লাহ তা’আলা তাকে প্রশংসিত স্থানে* (মাকামে মাহমুদে) প্রতিষ্ঠিত করবেন।
* মাকামে মাহমুদ অর্থ প্রশংসিত স্থান। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেই সর্বপ্রথম “শাফায়াতকারির” মর্যাদা দান করে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৬০ | 4360 | ٤۳٦۰
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ عسى أن يبعثك ربك مقاما محمودا “আশা করা যায় তমার রব তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদে” ।
৪৩৬০। আলি ইবনু আইয়াশ (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি আজান শোনার পর এ দোয়া পড়বে , “হে আল্লাহ! এ পরিপূর্ণ আহবানের এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতে এর প্রতিপালক, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ওসিলা ও শ্রেষ্ঠত্ব দান কর। প্রতিষ্ঠিত কর তাকে মাকামে মাহমুদে, যার ওয়াদা তুমি করেছ”। কিয়ামতের দিন তার জন্য আমার শাফায়াত অনিবার্য হয়ে যাবে। এ হাদিসটি হামযা ইবনু আবদুল্লাহ তার পিতার থেকে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৬১ | 4361 | ٤۳٦۱
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বানীঃ وقل جاء الحق وزهق الباطل إن الباطل كان زهوقا “এবং বল, সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। মিথ্যা ত বিলুপ্ত হওয়ারই”। يزهق ধ্বংস হবে।
৪৩৬১। হুমায়দি (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। (মক্কা বিজয়ের দিন) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় প্রবেশ করলেন। তখন কা’বা ঘরের চারপাশে তিনশ ষাট টি মূর্তি ছিল। তাঁর হাতের ছড়ি দিয়ে তিনি এগুলোকে ঠোকা দিতে লাগলেন এবং বলছিলেন, “সত্য এসেছে আর মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই” (৩৪ঃ ৪৯) “বল সত্য এসেছে আর অসত্য না পারে নতুন কিছু সৃষ্টি করতে এবং না পারে পুনরাবৃত্তি করতে”।