হাদিস নম্বরঃ ৪৮৩৫ | 4835 | ٤۸۳۵
পরিচ্ছদঃ ২৫২৬. যে ব্যক্তি একই গোসলে একাধিক স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়
৪৮৩৫। আবূল আলা ইবনু হাম্মাদ (রহঃ) … কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, . আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই রাতে সকল বিবির সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। ঐ সময় তাঁর সর্বমোট ন’জন বিবি ছিল।
হাদিস নম্বরঃ ৪৮৩৬ | 4836 | ٤۸۳٦
পরিচ্ছদঃ ২৫২৭. দিবাভাগে স্ত্রীদের নিকট গমন করা
৪৮৩৬। ফারাওয়া (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করতেন, তখন স্বীয় স্ত্রীদের মধ্যে থেকে যে কোন একজনের নিকট গমন করতেন। একদিন তিনি বিবি হাফসা (রাঃ) এর কাছে গেলেন এবং স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় কাটালেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৮৩৭ | 4837 | ٤۸۳۷
পরিচ্ছদঃ ২৫২৮. কোন ব্যক্তি যদি অসুস্থতার সময় স্ত্রীদের অনুমতি নিয়ে এক স্ত্রীর কাছে সেবা-শুশ্রূষার জন্য থাকে এবং তাকে যদি সবাই অনুমতি দেয়
৪৮৩৭। ইসমাঈল (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর যে অসুখে ইন্তেকাল করেছিলেন, সেই অসুখের সময়ে জিজ্ঞেস করতেন, আগামীকাল আমার কার কাছে থাকার পালা? আগামীকাল আমার কার কাছে থাকার পালা? তিনি আয়িশা (রাঃ) এর পালার জন্য এরূপ বলতেন। সুতরাং উম্মাহাতুল মু’মিনীন তাঁকে যার ঘরে ইচ্ছা থাকার অনুমতি দিলেন এবং তিনি ওফাত পর্যন্ত আয়িশা (রাঃ)-এর ঘরেই অবস্থান করেন এবং সেখানে তাঁর স্বাভাবিক পালার দিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমার কাছে থাকার পালার দিনই আল্লাহ তাঁর প্রিয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর নিজের কাছে নিয়ে গেলেন এ অবস্থায় যে, আমার বুক ও গলার মাঝখানে তাঁর বুক ও মাথা ছিল এবং তাঁর মুখের লালা আমার মুখের লালার সঙ্গে মিশেছিল। [১]
[১] আয়িশা (রাঃ) কাঁচা মিসওয়াক চিবিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দিলেন এবং নিজ দন্ত দ্বারা চিবালেন, এমনি করে একজনের মুখের লালা অন্যের মুখে গেল।
হাদিস নম্বরঃ ৪৮৩৮ | 4838 | ٤۸۳۸
পরিচ্ছদঃ ২৫২৯. এক স্ত্রীকে অন্য স্ত্রীর চেয়ে বেশি ভালবাসা
৪৮৩৮। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) উমর (রাঃ) থেকে শুনে বর্ণনা করেছেন যে, . উমর (রাঃ) হাফসা (রাঃ) এর কাছে প্রবেশ করলেন এবং বললেন, হে আমার কন্যা! তার আচরণ-ব্যবহার দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ো না, কারন সে তার সৌন্দর্য ও তার প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভালবাসার কারণে গর্ব অনুভব করে। এ কথার দ্বারা তিনি আয়িশা (রাঃ) কে বুঝিয়েছিলেন। তিনি আরও বললেন, আমি এ ঘটনা আল্লাহর রাসূলের কাছে বললাম। তিনি এ কথা শুনে মুচকি হাসলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৮৩৯ | 4839 | ٤۸۳۹
পরিচ্ছদঃ ২৫৩০. কোন নারী কর্তৃক কৃত্রিম সাজ-সজ্জা করা এবং সতীনের মুকাবিলায় আত্মগরিমা প্রকাশ করা নিষেধ
৪৮৩৯। সুলায়মান ইবনু হারব্ (রহঃ) এবং মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) … আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, কোন একজন মহিলা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সতীন আছে। এখন তাঁকে রাগানোর জন্য যদি আমার স্বামী আমাকে যা দেয়নি তা বাড়িয়ে বলি, তাতে কি কোন দোষ আছে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যা তোমাকে দেয়া হয়নি, তা দেয়া হয়েছে বলা ঐরূপ প্রতারকের কাজ, যে প্রতারনার জন্য দু প্রস্থ মিথ্যার পোশাক পরল।
হাদিস নম্বরঃ ৪৮৪০ | 4840 | ٤۸٤۰
পরিচ্ছদঃ ২৫৩১. আত্মমর্যাদাবোধ । হযরত সা’দ ইব্ন উবাদা (রা) বললেন, আমি যদি অন্য কোন পুরুষকে আমার স্ত্রীর সাথে দেখতে পাই; তাহলে আমি তাকে তরবারির ধারালো দিক দিয়ে আঘাত করব অর্থাৎ হত্যা করব । নবী (সাঃ) তাঁর সাহাবিগণকে বললেন, তোমরা কি সা’দের আত্মমর্যাদাবোধের কারণে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছ ? (আল্লাহ্র কসম!) আমার আত্মমর্যাদাবোধ তাঁর চেয়েও অনেক বেশি এবং আল্লাহ্র আত্মমর্যাদাবোধ আমার চেয়েও অনেক বেশি
৪৮৪০। উমর ইবনু হাফ্স (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর চেয়ে বেশি আত্মমর্যাদাশীল কেউ নয় এবং এ কারণেই তিনি সকল অশ্লীল কাজ হারাম করেছেন আর (আল্লাহর) প্রশংসার চেয়ে আল্লাহর অধিক প্রিয় কিছু নেই।
হাদিস নম্বরঃ ৪৮৪১ | 4841 | ٤۸٤۱
পরিচ্ছদঃ ২৫৩১. আত্মমর্যাদাবোধ । হযরত সা’দ ইব্ন উবাদা (রা) বললেন, আমি যদি অন্য কোন পুরুষকে আমার স্ত্রীর সাথে দেখতে পাই; তাহলে আমি তাকে তরবারির ধারালো দিক দিয়ে আঘাত করব অর্থাৎ হত্যা করব । নবী (সাঃ) তাঁর সাহাবিগণকে বললেন, তোমরা কি সা’দের আত্মমর্যাদাবোধের কারণে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছ ? (আল্লাহ্র কসম!) আমার আত্মমর্যাদাবোধ তাঁর চেয়েও অনেক বেশি এবং আল্লাহ্র আত্মমর্যাদাবোধ আমার চেয়েও অনেক বেশি
৪৮৪১। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে উম্মতে মুহাম্মদী! আল্লাহর চেয়ে বেশি আত্মমর্যাদাবোধ আর কারো নেই। তিনি তাঁর কোন বান্দা নর হোক কি নারী হোক তার ব্যভিচার তিনি দেখতে চান না। হে উম্মতে মুহাম্মদী! যা আমি জানি, তা যদি তোমরা জানতে, তাহলে খুব কম হাসতে এবং বেশি বেশি কাঁদতে।