হাদিস নম্বরঃ ৪৭৯০ | 4790 | ٤۷۹۰
পরিচ্ছদঃ ২৪৯৩. ওয়ালীমা বা বিবাহ-ভোজের ব্যবস্থা করা উচিত, যদিও তা একটি বকরীর দ্বারা হয়
৪৭৯০। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন শাদী করেন, তখন ওয়ালীমা করেন, কিন্তু যয়নাব (রাঃ) এর শাদীর সময় যে পরিমাণ ওয়ালীমার ব্যবস্থা করেছিলেন, তা অন্য কারো বেলায় করেননি। সেই ওয়ালীমা ছিল একটি ছাগল দিয়ে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৯১ | 4791 | ٤۷۹۱
পরিচ্ছদঃ ২৪৯৩. ওয়ালীমা বা বিবাহ-ভোজের ব্যবস্থা করা উচিত, যদিও তা একটি বকরীর দ্বারা হয়
৪৭৯১। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফিয়া (রাঃ) কে আযাদ করে শাদী করেন এবং এই আযাদ করাকেই তাঁর মোহরানা নির্দিষ্ট করেন এবং ‘হাইস’ বা এক প্রকার সুস্বাদু হালুয়ার দ্বারা ওয়ালীমার ব্যবস্থা করেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৯২ | 4792 | ٤۷۹۲
পরিচ্ছদঃ ২৪৯৩. ওয়ালীমা বা বিবাহ-ভোজের ব্যবস্থা করা উচিত, যদিও তা একটি বকরীর দ্বারা হয়
৪৭৯২। মালিক ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এক সহধর্মিণীর সাথে বাসর ঘরের ব্যবস্থা করলেন এবং ওয়ালীমার দাওয়াত দেয়ার জন্য আমাকে পাঠালেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৯৩ | 4793 | ٤۷۹۳
পরিচ্ছদঃ ২৪৯৪. কোন ব্যক্তি কোন স্ত্রীর শাদীর সময় অন্যদের শাদীর সময়কাল ওয়ালীমার চেয়ে বড় ধরণের ওয়ালীমার ব্যবস্থা করা
৪৭৯৩। মুহাম্মদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, যয়নাবের শাদীর আলোচনায় আনাস (রাঃ) উপস্থিত হয়ে তিনি বললেন, যয়নাব বিনতে জাহাশের সাথে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাদীর সময় যে ওয়ালীমার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তার চেয়ে অধিক ওয়ালীমার ব্যবস্থা কারো শাদীর সময় করতে আমি দেখিনি। এই শাদী অনুষ্ঠানে তিনি একটি ছাগল দ্বারা ওয়ালীমা করেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৯৪ | 4794 | ٤۷۹٤
পরিচ্ছদঃ ২৪৯৫. একটি ছাগলের চেয়ে কম কিছুর দ্বারা ওয়ালীমা করা
৪৭৯৪। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … সাফিয়া বিনত শায়বা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন এক স্ত্রীর শাদীতে দুই মুদ (চার সের) পরিমাণ যব দ্বারা ওয়ালীমার ব্যবস্থা করেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৯৫ | 4795 | ٤۷۹۵
পরিচ্ছদঃ ২৪৯৬. ওয়ালীমার দাওয়াত গ্রহণ করা কর্তব্য। যদি কেউ একাধারে সাত দিন অথবা অনুরূপ বেশি দিন ওয়ালীমার ব্যবস্থা করে, কেননা নবী (সা) ওয়ালীমার সময় এক বা দুই দিন ধার্য করেননি
৪৭৯৫। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কাউকে ওয়ালীমার দাওয়াত করলে তা অবশ্যই গ্রহণ করবে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৯৬ | 4796 | ٤۷۹٦
পরিচ্ছদঃ ২৪৯৬. ওয়ালীমার দাওয়াত গ্রহণ করা কর্তব্য। যদি কেউ একাধারে সাত দিন অথবা অনুরূপ বেশি দিন ওয়ালীমার ব্যবস্থা করে, কেননা নবী (সা) ওয়ালীমার সময় এক বা দুই দিন ধার্য করেননি
৪৭৯৬। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বন্দীদেরকে মুক্তি দাও, দাওয়াত কবূল কর এবং রোগীদের সেবা কর।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৯৭ | 4797 | ٤۷۹۷
পরিচ্ছদঃ ২৪৯৬. ওয়ালীমার দাওয়াত গ্রহণ করা কর্তব্য। যদি কেউ একাধারে সাত দিন অথবা অনুরূপ বেশি দিন ওয়ালীমার ব্যবস্থা করে, কেননা নবী (সা) ওয়ালীমার সময় এক বা দুই দিন ধার্য করেননি
৪৭৯৭। হাসান ইবনু রবী (রহঃ) … বারা ইবনু আযিব (রাঃ) বলেছেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সাতটি কাজ করতে বলেছেন এবং সাতটি কাজ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদেরকে রোগীর সেবাযত্ন করা, জানাযায় অংশগ্রহণ করা, হাঁচি দিলে তার জবাব দেয়া, কসম পুরা করায় সহযোগিতা করা, মজলুমকে সাহায্য করা, সালামের বিস্তার করা এবং কেউ দাওয়াত দিলে তা কবূল করা- এইসব করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আমাদের নিষেধ করেছেন স্বর্ণের আংটি পরতে, রূপার পাত্র ব্যবহার করতে, ঘোড়ার পিঠের ওপরে রেশমী গদি ব্যবহার করতে এবং ‘কাসসিয়া’ বা পাতলা রেশমী কাপড় এবং দ্বীবাজ ব্যবহার করতে।
আবূ আওয়ানা এবং শায়বানী আশ্আস সূত্রে সালামের বিস্তারের কথা সমর্থন করে বর্ণনা করেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৯৮ | 4798 | ٤۷۹۸
পরিচ্ছদঃ ২৪৯৬. ওয়ালীমার দাওয়াত গ্রহণ করা কর্তব্য। যদি কেউ একাধারে সাত দিন অথবা অনুরূপ বেশি দিন ওয়ালীমার ব্যবস্থা করে, কেননা নবী (সা) ওয়ালীমার সময় এক বা দুই দিন ধার্য করেননি
৪৭৯৮। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) … সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ উসায়দ আস্ সাঈদী (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তার শাদী উপলক্ষে ওয়ালীমার দাওয়াত করেন। তাঁর নববধু সেদিন খাদ্য পরিবেশন করছিলেন। সাহল বলেন, তোমরা কি জানো, সে দিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কি পানীয় সরবরাহ করা হয়েছিল? সারারাত ধরে কিছু খেজুর পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে তা থেকে তৈরি পানীয়। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খাওয়া শেষ করলেন, তখন তাঁকে ঐ পানীয়ই পান করতে দেয়া হয়।