হাদিস নম্বরঃ ৪৭৫৬ | 4756 | ٤۷۵٦
পরিচ্ছদঃ ২৪৬৩. ওলী বা অভিভাবক নিজেই যদি শাদীর প্রার্থী হয়। মুগীরা ইব্ন শু’বা (রা) এমন এক মহিলার সাথে শাদীর প্রসত্মাব দেন, যার নিকটতম অভিভাবক তিনিই ছিলেন। সুতরাং তিনি অন্য একজনকে তার সাথে শাদী বন্ধনে আদেশ দিলে সে ব্যক্তি তার সঙ্গে শাদী করিয়ে দিলেন। আবদুর রহমান ইব্ন আউফ (রা) উম্মে হাকীম বিন্তে কারিয (রা)-কে বললেন, তুমি কি তোমার শাদীর ব্যাপারে আমাকে দায়িত্ব দেবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আবদুর রহমান (রা) বললেন, আমি তোমাকে শাদী করলাম। আতা (রা) বলেন, অভিভাবক লোকদেরকে সাক্ষী রেখে বলবে, আমি তোমাকে শাদী করলাম, অথবা ঐ মহিলার নিকটতম আত্মীয়দের কাউকে তার কাছে তাকে শাদী দেয়ার জন্য বলবে। সাহল (রা) বলেন, একজন মহিলা এসে নবী (সা)-এর কাছে বলল, আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পন করলাম। এরপর একজন লোক বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! এই মহিলাকে যদি আপনার প্রয়োজন না থাকে তাহলে আমার সাথে শাদী দিয়ে দিন।
৪৭৫৬। আহমদ ইবনু মিকদাম (রহঃ) … সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) বর্ণনা করেন, একদা আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে বসা ছিলাম। এমন সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট একজন মহিলা এসে নিজকে পেশ করল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার আপাদমস্তক সুন্দর করে দেখলেন; কিন্তু তার কথা কোন প্রতি-উত্তর দিলেন না। একজন সাহাবী আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাকে আমার সাথে শাদী দিয়ে দিন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কাছে কিছু আছে কি? লোকটি উত্তর করল, না, আমার কাছে কিছু নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, একটি লোহার আংটিও নেই? লোকটি উত্তর করল, না, একটি লোহার আংটিও নেই। কিন্তু আমি আমার পরিধানের তহবন্দের অর্ধেক তাকে দেব আর অর্ধেক নিজে পরব। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। তোমার কুরআন মজীদের কিছু জানা আছে? সে বলল, হ্যাঁ। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যে পরিমাণ কুরআন জানো, তার পরিবর্তে তাকে তোমার সাথে শাদী দিলাম।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৫৭ | 4757 | ٤۷۵۷
পরিচ্ছদঃ ২৪৬৪. কার জন্য ছোট শিশুদের শাদী দেয়া বৈধ। আল্লাহ্ তা’আলার কালাম ‘‘এবং যারা ঋতুমতী হয়নি’’ -এই আয়াতকে দলীল হিসাবে ধরে নাবালেগার ইদ্দত তিন মাস নির্ধারণ করা হয়েছে
৪৭৫৭। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁকে শাদী করেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৬ বছর এবং নয় বছর বয়সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে বাসর ঘর করেন এবং তিনি তাঁর সান্নিধ্যে নয় বছরকাল ছিলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৫৮ | 4758 | ٤۷۵۸
পরিচ্ছদঃ ২৪৬৫. আপন পিতা কর্তৃক কন্যাকে কোন ইমামের সঙ্গে শাদী দেয়া। উমর (রা) বলেন, নবী (সা) আমার কন্যা-হাফসার সাথে শাদীর প্রস্তাব দিলে আমি তাকে তাঁর সাথে শাদী দেই
৪৭৫৮। মু’আল্লা ইবনু আসাদ (রাঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, যখন তাঁর ছয় বছর বয়স তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে শাদী করেন। তিনি তাঁর সাথে বাসর ঘর করেন নয় বছর বয়সে। হিশাম বলেন, আমি জেনেছি যে, আয়িশা (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নয় বছর ছিলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৫৯ | 4759 | ٤۷۵۹
পরিচ্ছদঃ ২৪৬৬. সুলতানই ওলী বা অভিভাবক (যার কোন ওলী নেই)। এর প্রমাণ নবী (সা)-এর হাদীসঃ আমি তাকে তোমার কাছে জানা কুরআনের বিনিময়ে শাদী দিলাম।
৪৭৫৯। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কোন এক মহিলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, আমি আমার জীবনকে আপনার কাছে পেশ করলাম। এরপর সে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল এরপর একজন লোক দাঁড়িয়ে বলল, আপনার প্রয়োজন না থাকলে, আমার সঙ্গে এর শাদী দিয়ে দিন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে মোহরানা দেয়ার মতো কি কিছু আছে? লোকটি বলল, আমার এ তহবন্দ ছাড়া আর কিছুই নেই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তুমি তহবন্দখানা তাকে দিয়ে দাও, তাহলে তোমার কিছু থাকবে না। সুতরাং তুমি অন্য কিছু তালাশ কর। লোকটি বলল, আমি কোন কিছুই পেলাম না। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তালাশ কর, যদি একটি লোহার আংটিও পাও। সে কিছুই পেল না। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, কুরআন শরীফের কিছু অংশ তোমার জানা আছে? লোকটি বলল, হ্যাঁ! অমুক অমুক সূরা আমার জানা আছে এবং সে সূরাগুলোর নাম একে একে উল্লেখ করল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কুরআনের যে যে অংশ তোমার জানা আছে, তার বিনিময়ে আমি তাকে তোমার নিকট শাদী দিলাম।
হাদিস নম্বরঃ ৪৭৬০ | 4760 | ٤۷٦۰
পরিচ্ছদঃ ২৪৬৭. পিতা বা অভিভাবক কুমারী অথবা বিবাহিতা মেয়েকে তাদের সম্মতি ব্যতীত শাদী দিতে পারে না
৪৭৬০। মু’আয বিন ফদালা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন বিধবা নারীকে তার সম্মতি ছাড়া শাদী দেয়া যাবে না এবং কুমারী মহিলাকে তার অনুমতি ছাড়া শাদী দিতে পারবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! কেমন করে তার অনুমতি নেব। তিনি বললেন, তার চুপ করে থাকাটাই তার অনুমতি।