فَقَرَأَهُ عَلَيْهِم مَّا كَانُوا بِهِ مُؤْمِنِينَ
Faqaraahu AAalayhim ma kanoo bihi mu/mineena
YUSUFALI: And had he recited it to them, they would not have believed in it.
PICKTHAL: And he had read it unto them, they would not have believed in it.
SHAKIR: So that he should have recited it to them, they would not have believed therein.
KHALIFA: And had him recite it (in Arabic), they could not possibly believe in it.
১৯৮। আমি যদি ইহা কোন অ-আরবী ভাষীর প্রতি অবতীর্ণ করতাম,
১৯৯। এবং সে তা তাদের নিকট আবৃত্তি করতো, তবুও তারা তা বিশ্বাস করতো না ৩২২৮।
৩২২৮। পূর্বেই ভবিষ্যত বাণী করা হয়েছিলো যে, আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ গ্রহণের অধিকার আরবেরাও একদিন লাভ করবে পর্যায়ক্রমে। সেক্ষেত্রে এ কথা স্বতঃসিদ্ধভাবে ধরে নেয়া যায় যে, তা আরবী ভাষাতে এবং একজন আরবের মুখ থেকে প্রচারিত হবে। তা না হলে প্রচারিত আল্লাহ্র বাণী যদি একজন অ-আরবীর মুখ থেকে প্রচারিত হতো, তবে তার আবেদন আরবদের কাছে যথাযথ হতো না। ফলে আরব বাসীরা ঈমান আনতো না এবং পরবর্তীতে আরবী ভাষা ধর্ম প্রচারের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হতো না।
উপদেশ : এই আয়াত থেকে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, কোরাণ পাঠের উদ্দেশ্য হচ্ছে তা বুঝতে হবে এবং সে অনুযায়ী জীবন যাপনের মাধ্যমে ঈমানের ভিত্তিকে মজবুত করা।
আয়াতঃ 026.200
এমনিভাবে আমি গোনাহগারদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি।
Thus have We caused it to enter the hearts of the sinners.
كَذَلِكَ سَلَكْنَاهُ فِي قُلُوبِ الْمُجْرِمِينَ
Kathalika salaknahu fee quloobi almujrimeena
YUSUFALI: Thus have We caused it to enter the hearts of the sinners.
PICKTHAL: Thus do We make it traverse the hearts of the guilty.
SHAKIR: Thus have We caused it to enter into the hearts of the guilty.
KHALIFA: We thus render it (like a foreign language) in the hearts of the guilty.
২০০। এ ভাবেই আমি পাপীদের অন্তরে অবিশ্বাস প্রবেশ করাই ৩২২৯।
৩২২৯। ‘এই ভাবে ‘ শব্দটি দ্বারা যে ভাব প্রকাশ করা হয়েছে তা হচ্ছে : ” আরবী ভাষার মাধ্যমে এবং আরব সম্প্রদায়ের দ্বারা।” কোরাণ অবতীর্ণ হয় আরবে আরবী ভাষী লোকদের মাঝে। তাদের বোধগম্যতার জন্যই তা আরবী ভাষাতে অবতীর্ণ হয় , যেনো কোরাণের মর্মবাণী তাদের হৃদয়ে খুব সহজেই অনুপ্রবেশ ঘটে এবং হৃদয়কে গভীরভাবে অভিভূত করে। কোরাণকে আরবী ভাষাতে অবতীর্ণ করার মূল উদ্দেশ্য এখানেই নিহিত।
মাতৃভাষাতে কোরাণের বাণীর মূল সৌন্দর্য্য , নৈতিক উপদেশ, ধ্বনির মাধুর্য্য ইত্যাদি উপলব্ধি আরবদের হৃদয়ে , যত সহজে ঐ বাণীর মর্মবাণী হৃদয়ে প্রবেশ লাভ করে; আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের এত বড় উপায় মাতৃভাষাতে ব্যতীত সম্ভব নয়। আরবী ব্যতীত অন্য ভাষাতে কোরাণ যদি আরবে অবতীর্ণ হতো, তবে না বুঝে কোরাণ পাঠের ফলে হৃদয়ে আল্লাহ্র বাণীর যে আবেদন তা নিষ্ফল হতো। মাতৃভাষার মাধ্যমে আবেদন বা উপদেশ হৃদয়ের অভ্যন্তরে স্থিতিলাভ করে। এর পরেও কোনও কঠিন হৃদয়ে যদি এই বাণীর আবেদন না পৌঁছে তবে সে কঠিন হৃদয়ের জন্য শাস্তি অবধারিত , কত দুঃখজনক সে পরিণতি। পরবর্তী আয়াত দেখুন।
আয়াতঃ 026.201
তারা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে না, যে পর্যন্ত প্রত্যক্ষ না করে মর্মন্তুদ আযাব।
They will not believe in it until they see the grievous Penalty;
لَا يُؤْمِنُونَ بِهِ حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ
La yu/minoona bihi hatta yarawoo alAAathaba al-aleema
YUSUFALI: They will not believe in it until they see the grievous Penalty;
PICKTHAL: They will not believe in it till they behold the painful doom,
SHAKIR: They will not believe in it until they see the painful punishment.
KHALIFA: Thus, they cannot believe in it; not until they see the painful retribution.
২০১। তারা [ কিছুতেই ] উহা বিশ্বাস করবে না, যতক্ষণ না তারা ভয়াবহ শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে।
২০২। কিন্তু [ শাস্তি ] হঠাৎ করেই তাদের নিকট এসে পড়বে, তারা কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই ;
২০৩। তখন তারা বলবে, ” আমরা কি অবকাশ পেতে পারি না ? ”
২০৪। তারপরেও কি তারা আমার শাস্তিকে ত্বরান্বিত করতে চাইবে ? ৩২৩০
৩২৩০। পাপীরা আল্লাহ্র হেদায়েতের প্রতি অবহেলার দরুণ অনুতাপ থেকে বিরত থাকে, প্রকৃত শাস্তি প্রত্যক্ষ করার পূর্বে তারা বুঝতে অক্ষম তাদের পাপের পরিমাণ। আবার অনেক পাপী আছে যারা আল্লাহ্কে প্রতিদ্বন্দীতায় আহ্বান পূর্বক ঘোষণা করে যে শেষ বিচারের দিন নাই , সুতারাং যদি থাকে তবে তা যত শীঘ্র সম্ভব উপস্থিত করা হোক। তারা এতবড় কথা বলার সাহস রাখে কারণ তারা আল্লাহ্র এবং আল্লাহ্র ক্ষমতায় বিশ্বাসী নয়। তাদের প্রতীদ্বন্দীতার উত্তর হচ্ছে ” ইহা শীঘ্রই আসবে , তখন তাদের মনে হবে যে ইহা অতি শীঘ্র ঘটেছে।”
আয়াতঃ 026.202
অতঃপর তা আকস্মিকভাবে তাদের কাছে এসে পড়বে, তারা তা বুঝতে ও পারবে না।
But the (Penalty) will come to them of a sudden, while they perceive it not;