১৯০। নিশ্চয়ই এতে রয়েছে নিদর্শন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বিশ্বাস করে না।
১৯১। নিশ্চয়ই তোমার প্রভু শক্তিতে পরাক্রমশালী , পরম করুণাময় ৩২২২।
৩২২২। দেখুন আয়াত [ ২৬ : ১২১ – ১২২] এবং টিকা ৩১৯৩।
আয়াতঃ 026.192
এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ।
Verily this is a Revelation from the Lord of the Worlds:
وَإِنَّهُ لَتَنزِيلُ رَبِّ الْعَالَمِينَ
Wa-innahu latanzeelu rabbi alAAalameena
YUSUFALI: Verily this is a Revelation from the Lord of the Worlds:
PICKTHAL: And lo! it is a revelation of the Lord of the Worlds,
SHAKIR: And most surely this is a revelation from the Lord of the worlds.
KHALIFA: This is a revelation from the Lord of the universe.
রুকু – ১১
১৯২। অবশ্যই এটা [ আল্-কুরআন ] জগত সমূহের প্রভুর নিকট থেকে অবতীর্ণ প্রত্যাদেশ ৩২২৩।
৩২২৩। যুগে যুগে আল্লাহ্র নবীদের প্রতিরোধ ও নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমাদের মহানবী হযরত মুহম্মদ [ সা ] ও এরূপ নির্যাতন ও প্রতিরোধ থেকে রেহাই পান নাই। এই আয়াতে এরই প্রেক্ষাপটে কোরাণের বৈশিষ্ট্য সমূহকে তুলে ধরা হয়েছে : ১) কোরাণ সত্যসহ অবতীর্ণ এবং ২) মক্কার মোশরেকদের কোরাণের শিক্ষাকে প্রত্যাখান করার ইতিহাস পূর্ববর্তী নবী রসুলদের শিক্ষাকে প্রত্যাখান ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যুগে যুগে নবী রসুলদের শিক্ষাকে প্রত্যাখনের কারণ সব যুগেই এক আর তা হচ্ছে প্রতিরোধকারীদের কায়েমী স্বার্থোন্বেষীদের স্বার্থে আঘাত হানে। সুতারাং তারা সত্যকে প্রতিরোধ করে। কিন্তু সত্য সব সময়েই অপ্রতিরোধ্য।
আয়াতঃ 026.193
বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে।
With it came down the spirit of Faith and Truth-
نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ
Nazala bihi alrroohu al-ameenu
YUSUFALI: With it came down the spirit of Faith and Truth-
PICKTHAL: Which the True Spirit hath brought down
SHAKIR: The Faithful Spirit has descended with it,
KHALIFA: The Honest Spirit (Gabriel) came down with it.
১৯৩। বিশ্বস্ত আত্মা [ জিব্রাইল ] তা পৌঁছিয়ে দিয়েছে ৩২২৪, –
৩২২৪। “Ruh-ul-amin” এই উপাধিটি জিব্রাইল ফেরেশতা সম্বন্ধে প্রযোজ্য তবে এই শব্দটির সঠিক এবং উপযুক্ত অনুবাদ একটি মাত্র শব্দে করা অসম্ভব। আয়াত [ ২৬ : ১০৭ ] এবং টিকা ৩১৮৭ এ ‘Amin’ শব্দটির বিভিন্ন রূপকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ‘Amin’ শব্দটি নবী করিম হযরত মুহম্মদের [ সা] উপাধির সাথে সংযুক্ত ছিলো। জিব্রাইল ফেরেশতাকে ধরা হয় আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ বহনকারী দূত হিসেবে। প্রকৃত বিশ্বাস ও সত্যের প্রতিভূ এখানে জিব্রাইলের স্বরূপ অপরপক্ষে বিভ্রান্তি ও প্রতারণা হচ্ছে মিথ্যার প্রতিভূ এবং স্বরূপ। মওলানা ইউসুফ আলী মনে করেন ” ঈমান ও সত্যের প্রতিভূ ” হওয়া উচিত “Ruh-ul-amin” শব্দটির অনুবাদ যা হবে জিব্রাইলের উপাধি।
আয়াতঃ 026.194
আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন,
To thy heart and mind, that thou mayest admonish.
عَلَى قَلْبِكَ لِتَكُونَ مِنَ الْمُنذِرِينَ
AAala qalbika litakoona mina almunthireena
YUSUFALI: To thy heart and mind, that thou mayest admonish.
PICKTHAL: Upon thy heart, that thou mayst be (one) of the warners,
SHAKIR: Upon your heart that you may be of the warners
KHALIFA: To reveal it into your heart, that you may be one of the warners.
১৯৪। তোমার হৃদয়ে , যাতে তুমি সর্তককারী হতে পার ৩২২৫।
১৯৫। ইহাকে প্রকাশ করা হয়েছে সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
৩২২৫। ‘Qalb’ [ হৃদয় ] সাধারণত হৃদয় শব্দটি দ্বারা ভালোবাসার উৎপত্তিস্থলকে বোঝানো হয়ে থাকে। এখানে হৃদয় শব্দটি দ্বারা স্মরণশক্তি ও অনুধাবন ক্ষমতার উৎপত্তিস্থলকেও বোঝানো হয়েছে। প্রত্যাদেশ অবতীর্ণ হওয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে : আল্লাহ্র বাণী প্রথমে নবীর হৃদয়, মন, স্মরণশক্তি ও অনুধাবন ক্ষমতাতে স্বর্গীয় প্রভাবে অনুপ্রাণীত করে। তারপরে সেই বাণী মানুষের ভাষাতে পৃথিবীর বুকে প্রচারিত হয়। এ ক্ষেত্রে আরবীকে মানুষের ভাষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ নবী হযরত মুহম্মদ [সা ] যাদের মাঝে জন্মগ্রহণ করেন তারা ছিলেন আরবী ভাষা-ভাষী এবং তারা যাতে আল্লাহ্র বাণীকে বুঝতে পারে ও অনুধাবন করতে পারে এবং পরবর্তীতে তাদের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে সে বাণী প্রচার লাভ করে, সে কারণেই আল্লাহ্র বাণীর প্রথমে আরবীতে প্রকাশ ঘটে। ভাষা হিসেবে আরবীতে কোনও বিশেষ মাহাত্ম্য এখানে নাই। পরের আয়াতে আজামী শব্দটির দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে আরবী ভাষায় যারা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না।
আয়াতঃ 026.195
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
In the perspicuous Arabic tongue.
بِلِسَانٍ عَرَبِيٍّ مُّبِينٍ
Bilisanin AAarabiyyin mubeenin
YUSUFALI: In the perspicuous Arabic tongue.
PICKTHAL: In plain Arabic speech.
SHAKIR: In plain Arabic language.
KHALIFA: In a perfect Arabic tongue.