৪৬। তখন যাদুকরেরা ভক্তিভরে সেজদায় অবনত হলো,
৪৭। এই বলে যে, ” আমরা পৃথিবীর প্রভুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম।
৪৮। ” যিনি মুসা ও হারুনের প্রভু।”
৪৯। [ ফেরাউন ] বলেছিলো , ” কি আমি তোমাদের অনুমতি দেয়ার পূর্বেই তোমরা [ উহাতে ] বিশ্বাস করলে ? নিশ্চয়ই সে তোমাদের নেতা , যে তোমাদের যাদু শিক্ষা দিয়েছে। কিন্তু শীঘ্রই তোমরা [ ইহার পরিণাম ] জানতে পারবে ৩১৬৫।
৩১৬৫। হযরত মুসার অলৌকিক ক্ষমতা দেখার সাথে সাথেই যাদুকরেরা বুঝতে পেরেছিলো যে, তারা কোন প্রতারণামূলক কৌশল দর্শন করছে না, তারা যা দেখছে তা স্বর্গীয় ক্ষমতারই স্বাক্ষর। আল্লাহ্র সর্বময় ক্ষমতা তাদের বিহ্বল করে ফেললো, তাঁরা আল্লাহ্র প্রতি ঈমান আনায়ন করলো। যেহেতু তাদের মিশরে সর্বোচ্চ বুদ্ধিমান সম্মানীয় ব্যক্তিরূপে পরিগণিত করা হতো, তাদের পরিণাম দর্শনে জনসাধারণেরও কিছু অংশ মুসার ক্ষমতায় প্রভাবিত হয়ে পড়ে। সুতারাং এসব দর্শনে ফেরাউন যৎপরনাস্তি ক্রুদ্ধ হয়ে পড়ে। তবে এখান থেকেই ফেরাউনের পরাজয় শুরু হয়।
আয়াতঃ 026.050
তারা বলল, কোন ক্ষতি নেই। আমরা আমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তন করব।
“Be sure I will cut off your hands and your feet on opposite sides, and I will cause you all to die on the cross!”
قَالُوا لَا ضَيْرَ إِنَّا إِلَى رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ
Qaloo la dayra inna ila rabbina munqaliboona
YUSUFALI: They said: “No matter! for us, we shall but return to our Lord!
PICKTHAL: They said: It is no hurt, for lo! unto our Lord we shall return.
SHAKIR: They said: No harm; surely to our Lord we go back;
KHALIFA: They said, “This will not change our decision; to our Lord we will return.
৫০। ” নিশ্চিত থাক আমি বিপরীত দিক থেকে তোমাদের হাত এবং পা কেটে ফেলবো , এবং আমি তোমাদের সকলকে শূলে মৃত্যুবরণ করাবো। ”
৫১। তারা বলেছিলো, ” কোন ক্ষতি নাই ! আমরা তো আমাদের প্রভুর নিকট প্রত্যাবর্তন করব।
৫২। ” আমাদের একমাত্র আকাঙ্খা যে, আমাদের প্রভু আমাদের অপরাধ ক্ষমা করবেন, যেনো আমরা মুমিনদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় হতে পারি।” ৩১৬৬
৩১৬৬। হযরত মুসার কাহিনীর এই অংশের মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের যে সব নৈতিক শিক্ষা দিতে চেয়েছেন , এই আয়াতটিতে তার সারমর্ম সংক্ষেপে প্রকাশ করা হয়েছে। সমগ্র কাহিনীতে আল্লাহ্র হেদায়েত ছিলো নিম্নরূপ :
১) আল্লাহ্ নূরের স্পর্শে হযরত মুসার সমস্ত ভয় দূর হয়ে যায়। তিনি একজন নির্ভিক নেতারূপে রূপান্তরিত হন এবং বিশ্বাসীদের মধ্যে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেন।
উপদেশ : এভাবেই সকল মোমেন বান্দার হৃদয় যখন আল্লাহ্র নূরে আলোকিত হয়, তখন পার্থিব ভয় আর তাকে ভীত করে না।
২) ফেরাউন ও তার পরিষদবর্গের ঘৃণা, বিদ্বেষ, প্রতারণাপূর্ণ কৌশল মুসাকে পরাজিত করার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা সত্বেও শেষ পর্যন্ত তাদের সত্যের কাছে পরাজয় ঘটে।
উপদেশ : এভাবেই পৃথিবীতে শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় ঘটবেই।
৩) পরশ পাথরের স্পর্শে লোহা যেরূপ সোনাতে রূপান্তরিত হওয়ার কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে, ঠিক সেরূপ আল্লাহ্র নূর বা সত্যের আলোর স্পর্শে যাদুকরেরা সম্পূর্ণ নূতন মানুষে রূপান্তরিত হয়ে পড়ে। তাদের মনের অন্ধকার দূর হয়ে যায়। তারা সত্যের আলোকে অন্তরে ধরে রাখার জন্য সকল অত্যাচার এমনকি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতেও দ্বিধাগ্রস্থ হয় না। সত্যের আলোকে উদ্ভাসিত আত্মায় তাদের একমাত্র লক্ষ্য বস্তু হয় বিশ্বাসীদের পুরোধায় নিজেকে স্থাপন করার ইচ্ছা
উপদেশ : সত্যের আলো ও মিথ্যার অন্ধকার সব কিছুরই আবাসস্থল আত্মা। যে ব্যক্তি সত্যকে অনুধাবন করতে পারে , সে হয়ে পড়ে পরিবর্তিত মানুষ। যাদুকরদের উদাহরণের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে এই উপদেশ দেয়া হয়েছে।
আয়াতঃ 026.051
আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্যুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী।
They said: “No matter! for us, we shall but return to our Lord!
إِنَّا نَطْمَعُ أَن يَغْفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَايَانَا أَن كُنَّا أَوَّلَ الْمُؤْمِنِينَ
Inna natmaAAu an yaghfira lana rabbuna khatayana an kunna awwala almu/mineena
YUSUFALI: “Only, our desire is that our Lord will forgive us our faults, that we may become foremost among the believers!”
PICKTHAL: Lo! we ardently hope that our Lord will forgive us our sins because we are the first of the believers.
SHAKIR: Surely we hope that our Lord will forgive us our wrongs because we are the first of the believers.
KHALIFA: “We hope that our Lord will forgive us our sins, especially that we are the first believers.”
৫০। ” নিশ্চিত থাক আমি বিপরীত দিক থেকে তোমাদের হাত এবং পা কেটে ফেলবো , এবং আমি তোমাদের সকলকে শূলে মৃত্যুবরণ করাবো। ”
৫১। তারা বলেছিলো, ” কোন ক্ষতি নাই ! আমরা তো আমাদের প্রভুর নিকট প্রত্যাবর্তন করব।