আয়াতঃ 020.015
কেয়ামত অবশ্যই আসবে, আমি তা গোপন রাখতে চাই; যাতে প্রত্যেকেই তার কর্মানুযায়ী ফল লাভ করে।
”Verily, the Hour is coming and My Will is to keep it hidden that every person may be rewarded for that which he strives.
إِنَّ السَّاعَةَ ءاَتِيَةٌ أَكَادُ أُخْفِيهَا لِتُجْزَى كُلُّ نَفْسٍ بِمَا تَسْعَى
Inna alssaAAata atiyatun akadu okhfeeha litujza kullu nafsin bima tasAAa
YUSUFALI: “Verily the Hour is coming – My design is to keep it hidden – for every soul to receive its reward by the measure of its Endeavour.
PICKTHAL: Lo! the Hour is surely coming. But I will to keep it hidden, that every soul may be rewarded for that which it striveth (to achieve).
SHAKIR: Surely the hour is coming– I am about to make it manifest– so that every soul may be rewarded as it strives:
KHALIFA: “The Hour (end of the world) is surely coming; I will keep it almost hidden, for each soul must be paid for its works.
১৩। ” আমি তোমাকে মনোনীত করেছি; সুতারাং যে ওহী তোমাকে প্রেরণ করা হয় তা শোন।
১৪। “আমিই আল্লাহ্ ; আমা ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। সুতারাং তুমি [ শুধুমাত্র ] আমারই এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নিয়মিত সালাত কায়েম কর।
১৫। “অবশ্যই কিয়ামত সমাগত ২৫৪৫ – আমার পরিকল্পনা হচ্ছে তা গোপন রাখা ২৫৪৬ ; যেনো প্রতিটি আত্মা তার চেষ্টা অনুযায়ী পুরষ্কার লাভ করতে পারে।”
২৫৪৫। আমাদের কর্তব্য কর্ম সম্বন্ধে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের প্রথম এবং প্রধান কর্তব্য এক আল্লাহর এবাদত করা, এবাদত অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করা এবং সালাত কায়েম করা অর্থাৎ নামাজ বা প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য কামনা করা যা পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বলা হয়েছে কেয়ামত বা পরকালে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য। কেয়ামত হলো সেদিন , যেদিন ইহকালের সকল কর্মের হিসাব নিকাশ হবে এবং প্রত্যেককে তার কৃতকর্মের পরিতোষিক প্রদান করা হবে।
২৫৪৬। “Ukfi” এই শব্দটির অর্থ ” গোপন রাখা ” অথবা “স্পষ্ট প্রতীয়মান ” হওয়া। কোন কোন তফসীরকার প্রথমটি,কোন কোন তফসীরকার দ্বিতীয় অর্থটি গ্রহণ করেছেন। যদি প্রথম অর্থটি গ্রহণ করা হয় তবে বাক্যটির অর্থ দাঁড়ায় কেয়ামতের সংবাদ গোপন রাখা মানুষের কাছ থেকে। যদি দ্বিতীয়টির অর্থ গ্রহণ করা হয় তবে এর অর্থ দাঁড়ায় কেয়ামতের সংবাদ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা মানুষের কাছে যেনো তারা সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে। মওলানা ইউসুফ আলী সাহেবের মতে দুটি অর্থই প্রযোজ্য হতে পারে।
আয়াতঃ 020.016
সুতরাং যে ব্যক্তি কেয়ামতে বিশ্বাস রাখে না এবং নিজ খাহেশের অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তা থেকে নিবৃত্ত না করে। নিবৃত্ত হলে তুমি ধবংস হয়ে যাবে।
”Therefore, let not the one who believes not therein (i.e. in the Day of Resurrection, Reckoning, Paradise and Hell, etc.), but follows his own lusts, divert you therefrom, lest you perish.
فَلاَ يَصُدَّنَّكَ عَنْهَا مَنْ لاَ يُؤْمِنُ بِهَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ فَتَرْدَى
Fala yasuddannaka AAanha man la yu/minu biha waittabaAAa hawahu fatarda
YUSUFALI: “Therefore let not such as believe not therein but follow their own lusts, divert thee therefrom, lest thou perish!”..
PICKTHAL: Therefor, let not him turn thee aside from (the thought of) it who believeth not therein but followeth his own desire, lest thou perish.
SHAKIR: Therefore let not him who believes not in it and follows his low desires turn you away from it so that you should perish;
KHALIFA: “Do not be diverted therefrom by those who do not believe in it – those who pursue their own opinions – lest you fall.
১৬। ” সুতারাং যারা তাতে বিশ্বাস করে না , উপরন্তু নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তারা যেনো তা থেকে তোমাকে অন্যমস্ক না করে যাতে তুমি ধ্বংস হয়ে যাও !” ২৫৪৭
২৫৪৭। “যারা তাতে বিশ্বাস করে না ” এ স্থলে ” তাতে” দ্বারা “কেয়ামতে বিশ্বাস ” ও নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ না করাকে বোঝানো হয়েছে। এই সাবধান বাণী আল্লাহ মুসাকে লক্ষ্য করে বলেন। মুসার সামনে যে কর্তব্য কর্ম তার প্রধান অংশে বিরাজ করবে ভয়ংকর বাঁধা উদ্ধত অহংকারীদের দ্বারা। ফেরাউন ও ইজিপ্টবাসীরা অন্ধ অহংকারে হযরত মুসার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধাচারণ করে। পরবর্তীতে মুসাকে তাঁর নিজ সম্প্রদায়ের বিদ্রোহের সম্মুখীন হতে হয়। সুতারাং হযরত মুসা যখন আল্লাহর কাছে থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন, তখন আল্লাহ তাঁকে এ সব উদ্ধত , অহংকারী , একগুয়ে লোকদের সম্বন্ধে সাবধান করে দেন। যদিও সর্তকবাণীটি ছিলো হযরত মুসার প্রতি কিন্তু তা ছিলো সার্বজনীন, সর্বকালের , সর্বসাধারণের জন্য। সাধারণ মানুষ জাগতিক বিষয়ে নিমগ্ন থাকতে ভালোবাসে , আর এভাবেই সে প্রবৃত্তির দাসে পরিণত হয়। আল্লাহর হেদায়েতের পরিবর্তে সে যদি নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, তবে তার ধ্বংস অনিবার্য। হেদায়েতের আলো থেকে বিচ্যুত হওয়ার উপাদান তাঁর চতুর্দ্দিকে ছড়ানো। এদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বিপদজনক যা তারই উল্লেখ এই আয়াতে করা হয়েছে। সবচেয়ে বিপদজনক হচ্ছে আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাস ও নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ। এরা সব সময়ে নিজ স্বার্থ ও নিজ প্রবৃত্তি ব্যতীত অন্য কিছুকে মূল্য দেয় না। এদের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায়ের কোন সীমারেখা নাই।