وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى
Wa-ith qulna lilmala-ikati osjudoo li-adama fasajadoo illa ibleesa aba
YUSUFALI: When We said to the angels, “Prostrate yourselves to Adam”, they prostrated themselves, but not Iblis: he refused.
PICKTHAL: And when We said unto the angels: Fall prostrate before Adam, they fell prostrate (all) save Iblis; he refused.
SHAKIR: And when We said to the angels: Make obeisance to Adam, they made obeisance, but Iblis (did it not); he refused.
KHALIFA: Recall that we said to the angels, “Fall prostrate before Adam.” They fell prostrate, except Satan; he refused.
রুকু – ৭
১১৬। যখন আমি ফেরেশতাদের বলেছিলাম,” আদমকে সেজ্দা কর।” তারা [ সকলেই ] সেজ্দা করলো , কিন্তু ইব্লীস করলো না। সে অস্বীকার করলো।
১১৭। অতঃপর আমি বললাম, ” হে আদম ! অবশ্যই সে তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু। সুতারাং তোমাদের জান্নাত থেকে বের করে দিতে তাকে [ প্রশয় ] দিও না। তাহলে তোমরা দুঃখ কষ্টের মাঝে নিপতিত হবে ২৬৪১।
২৬৪১। উপরের টিকাতে দ্রষ্টব্য। হযরত আদমের কাহিনীর মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক দুর্বলতার প্রতি। সাধারণ মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে খুব সহজেই শয়তানের খপ্পরে নিজেকে সমর্পন করে। যদিও তাঁকে পূর্বে সাবধান করা হয়ে থাকে কিন্তু লোভ-লালসার সর্বগ্রাসী ক্ষুধা তাকে সঠিক পথে চলতে বাঁধার সৃষ্টি করে। সে শয়তানের নিকট আত্মসমর্পন করে।
আয়াতঃ 020.117
অতঃপর আমি বললামঃ হে আদম, এ তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু, সুতরাং সে যেন বের করে না দেয় তোমাদের জান্নাত থেকে। তাহলে তোমরা কষ্টে পতিত হবে।
Then We said: ”O Adam! Verily, this is an enemy to you and to your wife. So let him not get you both out of Paradise, so that you be distressed in misery.
فَقُلْنَا يَا آدَمُ إِنَّ هَذَا عَدُوٌّ لَّكَ وَلِزَوْجِكَ فَلَا يُخْرِجَنَّكُمَا مِنَ الْجَنَّةِ فَتَشْقَى
Faqulna ya adamu inna hatha AAaduwwun laka walizawjika fala yukhrijannakuma mina aljannati fatashqa
YUSUFALI: Then We said: “O Adam! verily, this is an enemy to thee and thy wife: so let him not get you both out of the Garden, so that thou art landed in misery.
PICKTHAL: Therefor we said: O Adam! This is an enemy unto thee and unto thy wife, so let him not drive you both out of the Garden so that thou come to toil.
SHAKIR: So We said: O Adam! This is an enemy to you and to your wife; therefore let him not drive you both forth from the garden so that you should be unhappy;
KHALIFA: We then said, “O Adam, this is an enemy of you and your wife. Do not let him evict you from Paradise, lest you become miserable.
রুকু – ৭
১১৬। যখন আমি ফেরেশতাদের বলেছিলাম,” আদমকে সেজ্দা কর।” তারা [ সকলেই ] সেজ্দা করলো , কিন্তু ইব্লীস করলো না। সে অস্বীকার করলো।
১১৭। অতঃপর আমি বললাম, ” হে আদম ! অবশ্যই সে তোমার ও তোমার স্ত্রীর শত্রু। সুতারাং তোমাদের জান্নাত থেকে বের করে দিতে তাকে [ প্রশয় ] দিও না। তাহলে তোমরা দুঃখ কষ্টের মাঝে নিপতিত হবে ২৬৪১।
২৬৪১। উপরের টিকাতে দ্রষ্টব্য। হযরত আদমের কাহিনীর মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক দুর্বলতার প্রতি। সাধারণ মানুষ লোভের বশবর্তী হয়ে খুব সহজেই শয়তানের খপ্পরে নিজেকে সমর্পন করে। যদিও তাঁকে পূর্বে সাবধান করা হয়ে থাকে কিন্তু লোভ-লালসার সর্বগ্রাসী ক্ষুধা তাকে সঠিক পথে চলতে বাঁধার সৃষ্টি করে। সে শয়তানের নিকট আত্মসমর্পন করে।
আয়াতঃ 020.118
তোমাকে এই দেয়া হল যে, তুমি এতে ক্ষুধার্ত হবে না এবং বস্ত্রহীণ হবে না।
Verily, you have (a promise from Us) that you will never be hungry therein nor naked.
إِنَّ لَكَ أَلَّا تَجُوعَ فِيهَا وَلَا تَعْرَى
Inna laka alla tajooAAa feeha wala taAAra
YUSUFALI: “There is therein (enough provision) for thee not to go hungry nor to go naked,
PICKTHAL: It is (vouchsafed) unto thee that thou hungerest not therein nor art naked,
SHAKIR: Surely it is (ordained) for you that you shall not be hungry therein nor bare of clothing;
KHALIFA: “You are guaranteed never to hunger therein, nor go unsheltered.
১১৮। ” তুমি যাতে ক্ষুধার্ত না হও সে জন্য সেখানে [ প্রচুর খাদ্য সম্ভার ] থাকবে এবং তোমরা [ সেখানে ] নগ্নও থাকবে না ২৬৪২।
১১৯। ” সেখানে তৃষ্ণার্ত হবে না বা রৌদ্র ক্লিষ্টও হবে না। ”
২৬৪২। এই আয়াতের মাধ্যমে মনুষ্য চরিত্রের এক বিশেষ দিককে উম্মোচন করা হয়েছে হযরত আদমের উদাহরণের মাধ্যমে। হযরত আদমকে আল্লাহ্ মানুষের মৌলিক যে চাহিদা, খাদ্য, পানীয়, এবং আরামদায়ক বাসস্থানের সুবন্দোবস্ত করে ছিলেন এবং সেই সাথে সাবধান করে দিলেন যে শয়তান তার আজন্ম শত্রু। তার ফাঁদে যেনো হযরত আদম পা না দেন। কিন্তু হযরত আদম আল্লাহ্র দেয়া সকল নেয়ামত ভোগ করা সত্বেও, জীবন ধারণের জন্য কোন মৌলিক অভাববোধ না থাকা সত্ত্বেও অলীক ও অভূতপূর্ব জিনিষ পাওয়ার আশায় শয়তানের ফাঁদে পা দেন , এখানে শয়তানের ফাঁদ ছিলো ” লোভ”। সমাজে যারা প্রতিষ্ঠিত ও ঐশ্বর্যবান। তাদের আরাম আয়েশের কোনও অভাব নাই। তবুও প্রতি নিয়ত এসব মানব সন্তান লোভের ফাঁদে পা দেয়। স্বার্থপরতা তাকে আরও লোভী করে তোলে। আরও পাওয়ার আশায় সে আকণ্ঠ পাপে ডুবে যায়। এ কথা শুধু বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। এ কথা প্রযোজ্য সকল মনুষ্য সমাজের জন্য। সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে অদ্যাবধি ধনী, গরীব সকলেই শয়তানের লোভের ফাঁদে বন্দী।