হারুন সম্ভবতঃ মুসার বড় বা ছোট ভাই ছিলেন, কারণ এ সম্বন্ধে ধর্মগ্রন্থে কোনও উল্লেখ নাই। তবে মনে হয়, হারুনের জন্ম তখনই হয়, যখন ইসরাঈলীদের নবজাত শিশুর উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিলো না। মুসার সাথে হারুনের কোনও যোগাযোগ ছিলো না। তবুও মুসার তাঁর পরিবারের জন্য প্রচন্ড ভালোবাসা ছিলো এবং হারুনকে তিনি তাঁর কাজের সঙ্গী হিসেবে আল্লাহ্র কাছে যাঞ্চা করে নেন যে কাজ ছিলো তাঁর জীবনের সর্বোচ্চ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
আয়াতঃ 020.042
তুমি ও তোমার ভাই আমার নিদর্শনাবলীসহ যাও এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করো না।
”Go you and your brother with My Ayât (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, etc.), and do not, you both, slacken and become weak in My Remembrance.
اذْهَبْ أَنتَ وَأَخُوكَ بِآيَاتِي وَلَا تَنِيَا فِي ذِكْرِي
Ithhab anta waakhooka bi-ayatee wala taniya fee thikree
YUSUFALI: “Go, thou and thy brother, with My Signs, and slacken not, either of you, in keeping Me in remembrance.
PICKTHAL: Go, thou and thy brother, with My tokens, and be not faint in remembrance of Me.
SHAKIR: Go you and your brother with My communications and be not remiss in remembering Me;
KHALIFA: “Go with your brother, supported by My signs, and do not waver in remembering Me.
৪১। ” এবং আমি তোমাকে আমার নিজের [ কাজের ] জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছি।
৪২। ” তুমি ও তোমার ভ্রাতা আমরা নিদর্শনসহ যাও ২৫৬৫ এবং তোমরা উভয়েই আমার স্মরণে শৈথিল্য প্রদর্শন করো না।
২৫৬৫। আমরা অনুমান করতে পারি যে, হযরত মুসা একাই মাদ্য়াইনাদের দেশে গিয়েছিলেন। সুতারাং তুওয়া উপত্যকাতে তিনি তাঁর পরিবারবর্গের সাথে ছিলেন , সেখানে তার ভাই হারুন ছিলো না। এ ভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে ২৫৪২ টিকাতে। যখন মুসাকে আল্লাহ্ তাঁর বাণী প্রচারের জন্য মনোনীত করে সম্মানীত করেন এবং আল্লাহ্র তাঁর অনুরোধে তাঁর ভাই হারুনকে তুওয়া উপত্যকাতে নিয়ে আসার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সম্ভবতঃ তাঁদের দেখা হয়েছিলো তুওয়া উপত্যকাতে। অর্থাৎ মিশরে প্রবেশের পূর্বে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়। এরপরে তারা প্রার্থনা করেন এবং মিশর অভিমুখে যাত্রা করেন।
হারুন সম্ভবতঃ মুসার বড় বা ছোট ভাই ছিলেন, কারণ এ সম্বন্ধে ধর্মগ্রন্থে কোনও উল্লেখ নাই। তবে মনে হয়, হারুনের জন্ম তখনই হয়, যখন ইসরাঈলীদের নবজাত শিশুর উপরে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিলো না। মুসার সাথে হারুনের কোনও যোগাযোগ ছিলো না। তবুও মুসার তাঁর পরিবারের জন্য প্রচন্ড ভালোবাসা ছিলো এবং হারুনকে তিনি তাঁর কাজের সঙ্গী হিসেবে আল্লাহ্র কাছে যাঞ্চা করে নেন যে কাজ ছিলো তাঁর জীবনের সর্বোচ্চ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
আয়াতঃ 020.043
তোমরা উভয়ে ফেরআউনের কাছে যাও সে খুব উদ্ধত হয়ে গেছে।
”Go, both of you, to Fir’aun (Pharaoh), verily, he has transgressed (all bounds in disbelief and disobedience and behaved as an arrogant and as a tyrant).
اذْهَبَا إِلَى فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَى
Ithhaba ila firAAawna innahu tagha
YUSUFALI: “Go, both of you, to Pharaoh, for he has indeed transgressed all bounds;
PICKTHAL: Go, both of you, unto Pharaoh. Lo! he hath transgressed (the bounds).
SHAKIR: Go both to Firon, surely he has become inordinate;
KHALIFA: “Go to Pharaoh, for he transgressed.
৪৩। ” তোমরা উভয়েই ফেরাউনের কাছে যাও ২৫৬৬, অবশ্যই সে সকল সীমা লংঘন করেছে ২৫৬৭।
২৫৬৬। মুসার কর্তব্য কর্মের প্রথম ধাপ ছিলো ফেরাউন ও মিশরবাসীদের নিকট গমন করা এবং তার পরে ইসরাঈলীদের মিশর থেকে বের করে নিয়ে আসা।
২৫৬৭। এই আয়াতটি [ ২০ : ২৪ ] আয়াতের অনুরূপ। মুসার রসুল হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পূর্বে তাঁর জীবনকে সংক্ষেপে বর্ণনা করে তাঁর আসল কাজের সূচনার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। মুসার পূর্ব জীবনের বর্ণনা এখানেই শেষ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে ফেরাউনের আচরণের কথা। উদ্ধত অহংকারে ফেরাউন ভুলে গিয়েছিলো , আল্লাহ্র নিকট সে কত ক্ষুদ্র , কত নগণ্য।
উপদেশ : অহংকার একটি খারাপ রীপু যা মানুষের সকল গুণাবলী নষ্ট করে দেয় । ফলে সে অন্যের গুণাবলী প্রত্যক্ষ করতে অক্ষম হয়। যেরূপ চোখের সামনে ধরা মুষ্ঠিবদ্ধ হাত দূরের হিমালয়কে ঢেকে দেয়।
আয়াতঃ 020.044
অতঃপর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে।
”And speak to him mildly, perhaps he may accept admonition or fear Allâh.”
فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَى
Faqoola lahu qawlan layyinan laAAallahu yatathakkaru aw yakhsha
YUSUFALI: “But speak to him mildly; perchance he may take warning or fear (Allah).”
PICKTHAL: And speak unto him a gentle word, that peradventure he may heed or fear.
SHAKIR: Then speak to him a gentle word haply he may mind or fear.
KHALIFA: “Speak to him nicely; he may take heed, or become reverent.”