আয়াতঃ 019.087
যে দয়াময় আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে, সে ব্যতীত আর কেউ সুপারিশ করার অধিকারী হবে না।
None shall have the power of intercession, but such a one as has received permission (or promise) from the Most Beneficent (Allâh).
لَا يَمْلِكُونَ الشَّفَاعَةَ إِلَّا مَنِ اتَّخَذَ عِندَ الرَّحْمَنِ عَهْدًا
La yamlikoona alshshafaAAata illa mani ittakhatha AAinda alrrahmani AAahdan
YUSUFALI: None shall have the power of intercession, but such a one as has received permission (or promise) from (Allah) Most Gracious.
PICKTHAL: They will have no power of intercession, save him who hath made a covenant with his Lord.
SHAKIR: They shall not control intercession, save he who has made a covenant with the Beneficent Allah.
KHALIFA: No one will possess the power to intercede, except those who conform to the laws of the Most Gracious.
৮৭। পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] অনুমতি [ বা প্রতিশ্রুতি ] ব্যতীত, কারও সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না।
৮৮। তারা বলে, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন !”
৮৯। অবশ্যই তোমরা এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ ২৫২৯;-
২৫২৯। খৃষ্টানেরা বলে যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র সন্তান। আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করেন, একথা তারা প্রচার করে অনুমানের উপরে। এ কথা বিশ্বাস করা এক প্রচন্ড বীভৎস কথাকে বিশ্বাস করা। কারণ এ কথা এক প্রচন্ড ঈশ্বর নিন্দা। সন্তানের জন্মদান এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা পশু প্রবৃত্তিরূপে পরিগণিত। আল্লাহ্র সন্তান গ্রহণের মাধ্যমে তাঁকে সেই পশু প্রবৃত্তির সমকক্ষ রূপে পরিগণিত করা হয়। আল্লাহ্র পবিত্রতা, মহত্ব , শ্রেষ্ঠত্ব এতে খর্ব করা হয়। এর সাথে খৃষ্টানেরা যাজক শ্রেণীর অবতারণা করেছে যারা আল্লাহ্ ও সাধারণ মানুষের মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করে। যারা বলে মানুষের পাপকে যীশুর রক্তের মাধ্যমে শোধ করা হয়। সেইরূপ যাজকেরা মানুষের পাপের জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থী হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মফলের জন্য দায়ী। এই বোধ আমাদের আল্লাহ্র ন্যায় বিচার সম্বন্ধে ধারণা দান করে। সুতারাং মানুষের পাপের ঋণ যীশু রক্তের মাধ্যমে শোধ করেন বা মধ্যবর্তী শ্রেণীর ধারণা করা যারা অন্যের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে , [ এই ধারণা থেকেই যাজক শ্রেণীর উদ্ভব ] মানুষকে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে। ফলে আল্লাহ্ যে ন্যায় বিচারের প্রতীক সে ধারণা এখানে অনুপস্থিত। সুতারাং এও এক ধরণের আল্লাহ্র নিন্দা বৈকি। এই মতবাদ মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার মধ্যে বিপর্যয় সংগঠিত করে। কারণ শুধুমাত্র এক আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমেই আত্মার নৈতিক উন্নতি ঘটে। যেখানেই আল্লাহ্র সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়, সেখানে আত্মার বিকাশের এই ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। সুতারাং যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র পুত্র এই মতবাদকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
আয়াতঃ 019.088
তারা বলেঃ দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন।
And they say: ”The Most Beneficent (Allâh) has begotten a son (or offspring or children) [as the Jews say: ’Uzair (Ezra) is the son of Allâh, and the Christians say that He has begotten a son [’Iesa (Christ) ], and the pagan Arabs say that He has begotten daughters (angels, etc.)].”
وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَنُ وَلَدًا
Waqaloo ittakhatha alrrahmanu waladan
YUSUFALI: They say: “(Allah) Most Gracious has begotten a son!”
PICKTHAL: And they say: The Beneficent hath taken unto Himself a son.
SHAKIR: And they say: The Beneficent Allah has taken (to Himself) a son.
KHALIFA: They said, “The Most Gracious has begotten a son”!
৮৭। পরম করুণাময় [আল্লাহ্র ] অনুমতি [ বা প্রতিশ্রুতি ] ব্যতীত, কারও সুপারিশ করার ক্ষমতা থাকবে না।
৮৮। তারা বলে, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্ ] পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন !”
৮৯। অবশ্যই তোমরা এক বীভৎস বিষয়ের অবতারণা করেছ ২৫২৯;-
২৫২৯। খৃষ্টানেরা বলে যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র সন্তান। আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করেন, একথা তারা প্রচার করে অনুমানের উপরে। এ কথা বিশ্বাস করা এক প্রচন্ড বীভৎস কথাকে বিশ্বাস করা। কারণ এ কথা এক প্রচন্ড ঈশ্বর নিন্দা। সন্তানের জন্মদান এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা পশু প্রবৃত্তিরূপে পরিগণিত। আল্লাহ্র সন্তান গ্রহণের মাধ্যমে তাঁকে সেই পশু প্রবৃত্তির সমকক্ষ রূপে পরিগণিত করা হয়। আল্লাহ্র পবিত্রতা, মহত্ব , শ্রেষ্ঠত্ব এতে খর্ব করা হয়। এর সাথে খৃষ্টানেরা যাজক শ্রেণীর অবতারণা করেছে যারা আল্লাহ্ ও সাধারণ মানুষের মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ করে। যারা বলে মানুষের পাপকে যীশুর রক্তের মাধ্যমে শোধ করা হয়। সেইরূপ যাজকেরা মানুষের পাপের জন্য আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থী হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কর্মফলের জন্য দায়ী। এই বোধ আমাদের আল্লাহ্র ন্যায় বিচার সম্বন্ধে ধারণা দান করে। সুতারাং মানুষের পাপের ঋণ যীশু রক্তের মাধ্যমে শোধ করেন বা মধ্যবর্তী শ্রেণীর ধারণা করা যারা অন্যের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারবে , [ এই ধারণা থেকেই যাজক শ্রেণীর উদ্ভব ] মানুষকে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত করে। ফলে আল্লাহ্ যে ন্যায় বিচারের প্রতীক সে ধারণা এখানে অনুপস্থিত। সুতারাং এও এক ধরণের আল্লাহ্র নিন্দা বৈকি। এই মতবাদ মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলার মধ্যে বিপর্যয় সংগঠিত করে। কারণ শুধুমাত্র এক আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পনের মাধ্যমেই আত্মার নৈতিক উন্নতি ঘটে। যেখানেই আল্লাহ্র সাথে অংশীদারিত্ব করা হয়, সেখানে আত্মার বিকাশের এই ধারাবাহিকতায় বিঘ্ন ঘটে। সুতারাং যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র পুত্র এই মতবাদকে কঠোর ভাষাতে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে।