০৭। [ তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর হয়েছিলো ] ” হে যাকারিয়া! আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিতেছি। তার নাম হবে ইয়াহিয়া। এই নামে পূর্বে আমি কারও নামকরণ করি নাই ২৪৬১।
২৪৬১। ইয়াহিয়া হচ্ছেন “John the Baptist” , যাকে যীশু খৃষ্টের আগমনের অগ্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁর পিতার প্রার্থনার সাথে তাঁর কাজের সমন্বয় ঘটেছিলো। সে সময়ে ইহুদীরা আল্লাহ্র বাণীকে বিকৃত করে ফেলেছিলো। যীশুর আগমনের অগ্রদূত ইয়াহিয়া ও যীশু খৃষ্ট আল্লাহ্র বাণীকে পুণঃ প্রতিষ্ঠা করেন।
আরবীতে ইয়াহিয়া অর্থ ‘ জীবন’। হিব্রু ভাষাতে ইয়াহিয়াকে বলা হয় Johanan যার অর্থ “জোহাবার অনুগ্রহশীল। ইহুদীরা আল্লাহ্র পরিবর্তে ‘ জোহাবা ‘ শব্দটি ব্যবহার করে।
আয়াতঃ 019.008
সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা কেমন করে আমার পুত্র হবে অথচ আমার স্ত্রী যে বন্ধ্যা, আর আমিও যে বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে উপনীত।
He said: ”My Lord! How can I have a son, when my wife is barren, and I have reached the extreme old age.”
قَالَ رَبِّ أَنَّى يَكُونُ لِي غُلَامٌ وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا وَقَدْ بَلَغْتُ مِنَ الْكِبَرِ عِتِيًّا
Qala rabbi anna yakoonu lee ghulamun wakanati imraatee AAaqiran waqad balaghtu mina alkibari AAitiyyan
YUSUFALI: He said: “O my Lord! How shall I have a son, when my wife is barren and I have grown quite decrepit from old age?”
PICKTHAL: He said: My Lord! How can I have a son when my wife is barren and I have reached infirm old age?
SHAKIR: He said: O my Lord! when shall I have a son, and my wife is barren, and I myself have reached indeed the extreme degree of old age?
KHALIFA: He said, “My Lord, will I have a son despite my wife’s sterility, and despite my old age?”
০৮। সে বলেছিলো, “হে আমার প্রভু ! কি ভাবে আমার পুত্র হবে, যখন আমার স্ত্রী বন্ধ্যা ও আমি বার্দ্ধক্যের শেষ সীমাতে উপণীত হয়েছি?
০৯। তিনি বললেন, ” এরূপে [ তা হবে ] ” ২৪৬২। তোমার প্রভু বলেছিলেন, ” এটা আমার জন্য সহজ। আমি তো তোমাকে পূর্বে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।” ২৪৬৩
২৪৬২। “তিনি বললেন” – এই বাক্যটির “তিনি” বলতে কাক বোঝানো হয়েছে ? এখানে অধিকাংশ তফসীরকারের মত অনুসরণ করা হয়েছে। এখানে ” তিনি ” হচ্ছেন দেবদূত যিনি আল্লাহ্র বার্তা জাকারিয়ার কাছে বহন করে আনেন। দেখুন নীচের আয়াত [ ১৯: ২১ ]। কোন কোন তফসীরকারের মতে এই ” তিনি ” শব্দটি জাকারিয়ার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে। মানুষ অত্যাধিক আশ্চর্য হয়ে গেলে ” সত্যিই তাই হবে ” এরূপ বাক্য ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ জাকারিয়া আশ্চর্যান্বিত ভাবে উপরোক্ত বাক্য উচ্চারণ করেন যার অর্থ হবে ” সত্যিই কি এরূপ ঘটবে যে বৃদ্ধ বয়েসে আমার সন্তান লাভ ঘটবে। ” পরের লাইনে বলা হয়েছে যে “তোমার প্রতিপালক বলিলেন ইত্যাদি। সে ক্ষেত্রে হবে দেবদূতের বার্তা।
আয়াতঃ 019.009
তিনি বললেনঃ এমনিতেই হবে। তোমার পালনকর্তা বলে দিয়েছেনঃ এটা আমার পক্ষে সহজ। আমি তো পুর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি এবং তুমি কিছুই ছিলে না।
He said: ”So (it will be). Your Lord says; It is easy for Me. Certainly I have created you before, when you had been nothing!”
قَالَ كَذَلِكَ قَالَ رَبُّكَ هُوَ عَلَيَّ هَيِّنٌ وَقَدْ خَلَقْتُكَ مِن قَبْلُ وَلَمْ تَكُ شَيْئً
Qala kathalika qala rabbuka huwa AAalayya hayyinun waqad khalaqtuka min qablu walam taku shay-an
YUSUFALI: He said: “So (it will be) thy Lord saith, ‘that is easy for Me: I did indeed create thee before, when thou hadst been nothing!’”
PICKTHAL: He said: So (it will be). Thy Lord saith: It is easy for Me, even as I created thee before, when thou wast naught.
SHAKIR: He said: So shall it be, your Lord says: It is easy to Me, and indeed I created you before, when you were nothing.
KHALIFA: He said, “Thus said your Lord: `It is easy for Me to do. I created you before that, and you were nothing.’ ”
০৯। তিনি বললেন, ” এরূপে [ তা হবে ] ” ২৪৬২। তোমার প্রভু বলেছিলেন, ” এটা আমার জন্য সহজ। আমি তো তোমাকে পূর্বে সৃষ্টি করেছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।” ২৪৬৩
২৪৬৩। এই পৃথিবীতে জন্মের পূর্বে মানুষের কোনও অস্তিত্বই ছিলো না। তাঁর সত্তা বা আত্মার অস্তিত্ব ছিলো শুধুমাত্র আল্লাহ্র নিকট। যদিও মানুষের জন্ম ঘটে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী। সৃষ্টির নিয়ম অনুযায়ী জীবের দেহের গঠন প্রকৃতি গঠিত হয়। তবুও সকল সৃষ্টির পিছনে কাজ করে আল্লাহ্র শক্তি। এই সাধারণ অর্থ ব্যতীতও এই আয়াটিতে পরোক্ষভাবে অন্য আর এক বিশেষ ভাবের অবতারণা করেছে। জন বা ইয়াহিয়া ছিলেন যীশুর আগমনের বার্তাবাহী অগ্রদূত। তিনি যীশুর আগমনের পথ প্রশস্ত করেন। ” যখন তুমি কিছুই ছিলে না ” বাক্যটি দ্বারা পরোক্ষভাবে যীশুর অত্যাচার্য জন্ম ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। দেখুন আয়াত [ ১৯ : ২১ ]। আল্লাহ্র পক্ষে সবই সম্ভব তিনি সর্বশক্তিমান।