YUSUFALI: (The angels say:) “We descend not but by command of thy Lord: to Him belongeth what is before us and what is behind us, and what is between: and thy Lord never doth forget,-
PICKTHAL: We (angels) come not down save by commandment of thy Lord. Unto Him belongeth all that is before us and all that is behind us and all that is between those two, and thy Lord was never forgetful –
SHAKIR: And we do not descend but by the command of your Lord; to Him belongs whatever is before us and whatever is behind us and whatever is between these, and your Lord is not forgetful.
KHALIFA: We do not come down except by the command of your Lord. To Him belongs our past, our future, and everything between them. Your Lord is never forgetful.
৬৩। এই সেই বেহেশত্, আমার বান্দাদের মধ্যে আমি তাদের এর উত্তরাধিকার করবো যারা মন্দ থেকে নিজেকে বিরত রাখে।
৬৪। [ ফেরেশতারা বলবে ] ২৫১৪, ” আপনার প্রভুর আদেশ ব্যতীত আমরা অবতরণ করি না। আমাদের সম্মুখে যা আছে, পশ্চাতে যা আছে এবং দুই এর মধ্যবর্তী যা আছে সবই আল্লাহ্র অধিকারে এবং আপনার প্রভু কখনও ভুলে যান না ; –
২৫১৪। এই বাক্যটি জিব্রাঈলের (আঃ) কথা। কিছুকালের জন্য ওহী প্রেরণ বন্ধ ছিলো। ইহাতে রাসুর (সা) অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে জিব্রাঈল উপস্থিত হলে রাসুল (সা) তাঁকে বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। তদুত্তরে জিব্রাঈল যা বলেন তাই এখানে বিবৃত করা হয়েছে। বিনয় প্রকাশের জন্য জিব্রাঈল ” আমরা ” শব্দটি ব্যবহার করেছেন। সার্বজনীন উপদেশ হচ্ছে : আমরা অনেক সময়েই আমাদের চারিপার্শ্বে অসৎ ও পাপীদের প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে অধৈর্য্য হয়ে পড়ি। আমাদের সাধ্য অনুযায়ী আল্লাহ্র রাস্তায় কাজ করার পরেও অনেক সময়ে তার কোনও প্রতিদান না পেলে আমরা অস্থির হয়ে পড়ি। সাধারণ মানুষের জ্ঞান ও দূরদৃষ্টি সীমাবদ্ধ সে কারণেই আমরা অনেক সময়ে প্রকৃত মঙ্গল বুঝতে না পেরে অভিযোগ করে থাকি। আল্লাহ্র অনুগ্রহ বহনকারী ফেরেশতার আগমন কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। তাঁর আগমন ঘটে শুধুমাত্র আল্লাহ্র হুকুমে নির্দ্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য। সুতারাং কোনও কারণেই আমাদের অধৈর্য্য হওয়া উচিত নয়। কারণ আল্লাহ্ কিছুই ভোলেন না। আমাদের কল্যাণের জন্য যখন যেমন প্রয়োজন সেই অনুযায়ী আল্লাহ্র অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। তাঁর দূরদর্শিতা , বিচক্ষণতা, সূদূর প্রসারী ও সকলের জন্য। আমাদের সে জন্য অধৈর্য্য হওয়ার প্রয়োজন নাই। আমাদের যা কর্তব্য তা হচ্ছে ধৈর্য্য ধারণ করে আল্লাহ্র রাস্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া।
আয়াতঃ 019.065
তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডলে এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবার পালনকর্তা। সুতরাং তাঁরই বন্দেগী করুন এবং তাতে দৃঢ় থাকুন আপনি কি তাঁর সমনাম কাউকে জানেন?
Lord of the heavens and the earth, and all that is between them, so worship Him (Alone) and be constant and patient in His worship. Do you know of any who is similar to Him? (of course none is similar or coequal or comparable to Him, and He has none as partner with Him). [There is nothing like unto Him and He is the All-Hearer, the All-Seer].
رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا فَاعْبُدْهُ وَاصْطَبِرْ لِعِبَادَتِهِ هَلْ تَعْلَمُ لَهُ سَمِيًّا
Rabbu alssamawati waal-ardi wama baynahuma faoAAbudhu waistabir liAAibadatihi hal taAAlamu lahu samiyyan
YUSUFALI: “Lord of the heavens and of the earth, and of all that is between them; so worship Him, and be constant and patient in His worship: knowest thou of any who is worthy of the same Name as He?”
PICKTHAL: Lord of the heavens and the earth and all that is between them! Therefor, worship thou Him and be thou steadfast in His service. Knowest thou one that can be named along with Him?
SHAKIR: The Lord of the heavens and the earth and what is between them, so serve Him and be patient in His service. Do you know any one equal to Him?
KHALIFA: The Lord of the heavens and the earth, and everything between them; you shall worship Him and steadfastly persevere in worshiping Him. Do you know of anyone who equals Him?
৬৫। “আকাশমন্ডলী , পৃথিবী এবং এই দুই এর মধ্যবর্তী সকল কিছুর প্রভু তিনি। সুতারাং তাঁর এবাদত কর এবং এবাদতে দৃঢ় ও ধৈর্যশীল থাক। তুমি কি আল্লাহ্র নামের সমগুণ সম্পন্ন কাউকে জান ? ২৫১৫ ”
২৫১৫। সত্যকে অনুধাবনের মাধ্যমে , জীবনের রহস্যকে উপলব্ধির মাধ্যমে, মানুষের জ্ঞানচক্ষু উম্মীলিত হয়। যত আমাদের এই অনুধাবন ও উপলব্ধির অনুভূতি প্রগাঢ় হবে তত আমাদের এই বোধোদয় ঘটবে যে আল্লাহ্র সমকক্ষ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আর কিছু নাই। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। সমস্ত সৌন্দর্য, সমস্ত গুণের আঁধার এক আল্লাহ্। মানুষের মাঝে যে সব গূণাবলী দেখে আমরা মুগ্ধ হই, প্রকৃতির মাঝে যে সৌন্দর্য আমাদের অভিভূত করে সবই আল্লাহ্র গুণাবলীর ক্ষুদ্র প্রকাশ মাত্র। বিশ্ব-প্রকৃতির রূপ, রস, বর্ণ, গন্ধ, সৃষ্টি জগতের নানা বৈচিত্র সবই সেই এক স্রষ্টার নিজস্ব গুণাবলীর প্রকাশ মাত্র। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ স্রষ্টা, সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পী, সর্বশ্রেষ্ঠ করুণাময়। তাঁর গুণাবলী সারা বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডময় অণু পরমাণুতে ছড়িয়ে আছে। তাঁর করুণা তাঁর সর্ব সৃষ্টিতে বিদ্যমান। পৃথিবীব্যপী তাঁর সৃষ্টি বৈচিত্রের সাথে তুলনা করার ক্ষমতা আর কেউ রাখে না। তিনিই একমাত্র প্রশংসনীয়।