يَا أُخْتَ هَارُونَ مَا كَانَ أَبُوكِ امْرَأَ سَوْءٍ وَمَا كَانَتْ أُمُّكِ بَغِيًّا
Ya okhta haroona ma kana abooki imraa saw-in wama kanat ommuki baghiyyan
YUSUFALI: “O sister of Aaron! Thy father was not a man of evil, nor thy mother a woman unchaste!”
PICKTHAL: O sister of Aaron! Thy father was not a wicked man nor was thy mother a harlot.
SHAKIR: O sister of Haroun! your father was not a bad man, nor, was your mother an unchaste woman.
KHALIFA: “O descendant of Aaron, your father was not a bad man, nor was your mother unchaste.”
২৮। ” হে হারূনের ভগ্নী! ২৪৮১। তোমার পিতা তো অসৎ ব্যক্তি ছিলো না এবং তোমার মাতাও ব্যভিচারিণী ছিলো না ! ”
২৪৮১। মুসার ভাই হারুন ইসরাঈল সম্প্রদায়ের যাজকদের মধ্যে প্রথম ছিলেন। হারুনের বংশকে যাজক বংশরূপে অভিহিত করা হতো। মেরী এবং এলিজাবেথ [ ইয়াহিয়ার মা ] ছিলেন জ্ঞাতি বোন। তারাও যাজক বংশ থেকে আগত। এই যাজক বংশকে হারুনের বংশ বলা হতো। সে কারণে মেরীকে সম্ভোধন করা হয়েছে হারুনের বোন বলে। মেরীর পিতা ইমরান ও মাতা ছিলেন অত্যন্ত পরহেজগার এবং মোমেন বান্দা। শুধু যে তারা মোমেন বান্দা ছিলেন তাই নয় তারা এমন এক সম্মানজনক ও আল্লাহ্র নেয়ামত প্রাপ্ত বংশ থেকে আগত সেখানে মেরীর এরকম তথাকথিত অধঃপতন তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্যও সম্মান হানিকর।
আয়াতঃ 019.029
অতঃপর তিনি হাতে সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করলেন। তারা বললঃ যে কোলের শিশু তার সাথে আমরা কেমন করে কথা বলব?
Then she pointed to him. They said: ”How can we talk to one who is a child in the cradle?”
فَأَشَارَتْ إِلَيْهِ قَالُوا كَيْفَ نُكَلِّمُ مَن كَانَ فِي الْمَهْدِ صَبِيًّا
Faasharat ilayhi qaloo kayfa nukallimu man kana fee almahdi sabiyyan
YUSUFALI: But she pointed to the babe. They said: “How can we talk to one who is a child in the cradle?”
PICKTHAL: Then she pointed to him. They said: How can we talk to one who is in the cradle, a young boy?
SHAKIR: But she pointed to him. They said: How should we speak to one who was a child in the cradle?
KHALIFA: She pointed to him. They said, “How can we talk with an infant in the crib?”
২৯। কিন্তু মারইয়াম শিশুর প্রতি ইঙ্গিত করলো ২৪৮২। তারা বললো, ” কিভাবে আমরা দোলনাতে শায়িত শিশুর সাথে কথা বলবো ? ”
২৪৮২। তাদের এই অভিযোগের উত্তরে মেরী কি বলতে পারতেন ? সমস্ত ঘটনার কি ব্যাখ্যা তিনি দান করতে পারতেন যা ইসরাঈলীদের মনঃপুত হতো ? মেরীর ব্যাখ্যা কি ইহুদীদের আক্রমণাত্মক মনোভাবকে শান্ত করতে পারতো , যুগ ও সমাজের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে এ কথাই বলা যায় যে, মেরী তাদের যে ব্যাখ্যাই দান করুন না কেন তা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতো না। মেরী যা করতে পারতেন , তিনি তাইই করলেন। তিনি জানতেন কোলের শিশুটি সাধারণ শিশু নয়। তাই তিনি নিজে নিঃশ্চুপ থেকে শিশুটির প্রতি অঙ্গুলি প্রদর্শন করেন। কোলের শিশুই তার মাতার উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসে। শিশুটি অলৌকিক ভাবে মাতার পক্ষে কথা বলে ও যুক্তির অবতারণা করে এবং অবিশ্বাসী শ্রোতাদের মাঝে আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা করে।
আয়াতঃ 019.030
সন্তান বললঃ আমি তো আল্লাহর দাস। তিনি আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।
”He [’Iesa (Jesus)] said: Verily! I am a slave of Allâh, He has given me the Scripture and made me a Prophet;”
قَالَ إِنِّي عَبْدُ اللَّهِ آتَانِيَ الْكِتَابَ وَجَعَلَنِي نَبِيًّا
Qala innee AAabdu Allahi ataniya alkitaba wajaAAalanee nabiyyan
YUSUFALI: He said: “I am indeed a servant of Allah: He hath given me revelation and made me a prophet;
PICKTHAL: He spake: Lo! I am the slave of Allah. He hath given me the Scripture and hath appointed me a Prophet,
SHAKIR: He said: Surely I am a servant of Allah; He has given me the Book and made me a prophet;
KHALIFA: (The infant spoke and) said, “I am a servant of GOD. He has given me the scripture, and has appointed me a prophet.
৩০। সে [ শিশুটি ] বলেছিলো, ” প্রকৃতই আমি একজন আল্লাহ্র [ অনুগত ] দাস। তিনি আমাকে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।
৩১। ” এবং আমি যেখানেই থাকি না কেন তিনি আমাকে তাঁর আর্শীবাদ ধন্য করেছেন। এবং আমাকে আদেশ দিয়েছেন যতদিন জীবিত থাকি ততদিন সালাত আদায় করতে এবং দান করতে ২৪৮৩।
২৪৮৩। যীশু খৃষ্ট ও ইয়াহিয়াকে কোরাণ শরীফে দু – একটি ব্যতিক্রম বাদে সমান্তরাল ভাবে তুলনা করা হয়েছে। এসব তুলনা ও ব্যতিক্রম উভয়ই আর্কষণীয়। যেমন যীশু খৃষ্টের জীবনের আরম্ভ সূচিত হয়, এই ঘোষণার মাধ্যমে যে যীশু আল্লাহ্র দাস, আল্লাহ্র ছেলে নন। আল্লাহ্র একান্ত অনুগত দাস হিসেবেই তিনি নিজেকে পরিচিত করেছেন, এখানেই তার মহানুভবতা। ইয়াহিয়ার বৈশিষ্ট্য বা মহৎহৃদয় যা বর্ণনা করা হয়েছে আয়াত [ ১৯:১২ – ১৩ ] , যা যীশুর জন্য প্রযোজ্য নয়। এটা ছিলো যীশু ও ইয়াহিয়ার মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী তুলনা। কিন্তু আয়াত [ ১৯ : ১৩ – ১৫ ] ছিলো ইয়াহিয়ার বর্ণনা যার সমান্তরাল বর্ণনা আছে যীশুর জন্য এই আয়াতে [ ১৯ : ৩১ – ৩৩ ] প্রার্থনায়, আল্লাহ্র একান্ত অনুগত থাকা, সালাত ও যাকাতের [ দান ] প্রযোজ্য হয়েছে যীশুর ক্ষেত্রে ; এবং ইয়াহিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়েছে দয়া, পবিত্রতা এবং আনুগত্যের। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, চরিত্রের বিশেষ গুণাবলী যথা দয়া, পবিত্রতা ও আনুগত্য [ যা ইয়াহিয়ার বৈশিষ্ট্য ] থাকলেই বিশ্বস্ত ও অনুগতভাবে সালাত বা প্রার্থনা ও যাকাত বা দান করা সম্ভব [ যা যীশু খৃষ্টের বৈশিষ্ট্য ] অর্থাৎ দয়া , আত্মার পবিত্রতা ও আনুগত্য হৃদয়ে থাকলেই প্রার্থনা ও জীবে দয়া সম্পূর্ণতা লাভ করে। ঠিক যে ভাবে ইয়াহিয়ার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যীশু খৃষ্টের আগমনের অগ্রগামী পথিক।