হাদীস নং ৩২৬৯
আবদুল আযীয ইব্ন আবদুল্লাহ (রহঃ) ……. আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত কাহ্তান গোত্র থেকে এমন এক ব্যক্তির১ আবির্ভাব না হবে যে মানবজাতিকে তাঁর লাঠি দ্বারা (শক্তিদ্বারা সুশৃংখলভাবে) পরিচালিত করবে।
১. ইয়ামান বাসীদের পূর্বপুরুষ, মাহদী আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর পরে তাঁর আবির্ভাব ঘটবে।
হাদীস নং ৩২৭০
মুহাম্মদ রহ………..জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিচালনায় যুদ্ধে শামিল ছিলাম। এ যুদ্ধে বহু সংখ্যক মুহাজির সাহাবী অংশগ্রহণ করেছিলেন। মুহাজিরদের মধ্যে একজন কৌতুক পুরুষ ছিলেন। তিনি কৌতুকচ্ছলে একজন আনসারীকে আঘাত করলেন। তাতে আনসারী সাহাবী ভীষণ ক্রুদ্ধ হলেন এবং উভয় গোত্রের সহযোগিতার জন্য নিজ নিজ লোকদের ডাকলেন। আনসারী সাহাবী বললেন, হে আনসারীগণ ! মুহাজির সাহাবী বললেন, হে মুহাজিরগণ সাহায্যে এগিয়ে আস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহা শুনে বের হয়ে আসলেন এবং বললেন, জাহেলী যুগের হাঁকডাক কেন? অতঃপর বললেন, তাদের ব্যাপার কি? তাকে ঘটনা জানান হল। মুহাজির সাহাবী আনসারী সাহাবীর কোমরে আঘাত করেছে। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ জাতীয় হাঁকডাক ত্যাগ কর, এ অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। (মুনাফিক নেতা) আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল বলল, তারা আমাদের বিরুদ্ধে ডাক দিয়েছে? আমরা যদি মদীনায় নিরাপদে ফিরে যাই তবে সম্ভ্রান্ত ও সম্মানিত ব্যক্তিগণ অবশ্যই বাহির করে দিবে নিকৃষ্ট ও অপদস্ত ব্যক্তিগণকে (মুহাজিরদেরকে) এতে উমর রা. বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি এই খাবীসকে হত্যা করার অনুমতি দিবেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (এরূপ করলে) লোকজন বলাবলি করবে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গীদেরকে হত্যা করে থাকে।
হাদীস নং ৩২৭১
সাবিত ইবনে মুহাম্মদ রহ…………..আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ঐ ব্যক্তি আমাদের দলভূক্ত নয় যে, (বিপদ কালিন বিলাপরত অবস্থায়) গণ্ডদেশে চপেটাঘাত করে, পরিধেয় বস্ত্র ছিন্নভিন্ন করে থাকে এবং জাহিলীয়াতের যুগের ন্যায় হৈ চৈ করে।
হাদীস নং ৩২৭২
ইসহাক ইবনে ইবরাহীম রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমর ইবনে লুহাই ইবনে কামআ ইবনে খিনদাফ খুযাআ গোত্রের পূর্বপুরুষ ছিল।
হাদীস নং ৩২৭৩
আবুল ইয়ামান রহ…………যুহরী রহ. বলেন, আমি সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যাব রা. বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, বাহীরা বলে দেবতার নামে উৎসর্গীকৃত উটনি যার দুগ্ধ আটকিয়ে রাখা হত এবং কোন লোক তার দুধ দোহন করত না। সাইবা বলা হয় ঐ জন্তুকে যাকে তারা ছেড়ে দিত দেবতার নামে। ইহাকে বোঝা বহন ইত্যাদি কোন কাজ কর্মে ব্যবহার করা হয় না। রাবী বলেন, আবু হুরায়রা রা. বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি আমর ইবনে আমির খুযআইকে তার বেরিয়ে আসা নাড়ী-ভুষি নিয়ে জাহান্নামের আগুনে চলাফেরা করতে দেখেছি। সেই প্রথম ব্যক্তি যে (দেব-দেবীদের নামে) সাইবা উৎসর্গ করার প্রথা প্রচলন করে।
হাদীস নং ৩২৭৪
আবুন নু’মান (রহঃ) ……. ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তুমি যদি আরবদের অজ্ঞতা ও মূর্খতা সম্বন্ধে জ্ঞাত হতে আগ্রহী হও, তবে সূরা আন্’আমের ১৪০ আয়াতের অংশটুকু মনোযোগের সাথে পাঠ করো। (ইরশাদ হয়েছে) “নিশ্চয়ই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যারা অজ্ঞতা ও নির্বুদ্ধিতার কারণে নিজ সন্তানদিগকে (দারিদ্রের ভয়ে) হত্যা করেছে। এবং আল্লাহ্র দেওয়া হালাল বস্তু সমূহকে হারাম করেছে এবং আল্লাহ্র প্রতি জঘন্য মিথ্যা আরোপ করেছে, নিশ্চয়ই তারা পথভ্রষ্ট ও বিপথগামী হয়েছে। তারা সুপথগামী হতে পারে নি।
হাদীস নং ৩২৭৫
উমর ইবনে হাফস রহ………..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ আয়াত “তোমার নিকট আত্মীয়গণকে সতর্ক কর” অবতীর্ণ হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে বনী ফিহর, হে বনী আদি, বিভিন্ন কুরাইশ শাখা গোত্রগুলিকে নাম ধরে ধরে ইসলামের দিকে আহবান করতে লাগলেন। এবং কাবীসা রহ…….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ আয়াত “তোমার আত্মীয়গণকে সতর্ক কর” অবতীর্ণ হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের গোত্র গোত্র করে আহবান করতে লাগলেন।
হাদীস নং ৩২৭৬
আবুল ইয়ামান রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, (উপরোক্ত আয়াতের প্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবদে মানাফের বংশধরগণ, তোমরা (ঈমান ও নেক আমলে দ্বারা) তোমাদের নিজেদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা কর। হে আবদুল মুত্তালিবের বংশধরগণ, তোমরা (ঈমান ও আমলের দ্বারা) তোমাদের নিজেদেরকে হিফাযত কর। হে যুবাইরের মাতা- রাসূলুল্লাহ ফুফু, হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমা। তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে (ঈমান ও আমলের দ্বারা) রক্ষা কর। তোমাদেরকে আযাব থেকে বাঁচানোর সামান্যতম ক্ষমতাও আমার নাই আর আমার ধন-সম্পদ থেকে তোমরা যা ইচ্ছা তা চেয়ে নিয়ে যেতে পার (দেওয়ার ইখতিয়ার আমার আছে)।