সাঈদ ইবনে উফাইর রহ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গিরগিট বা রক্তচোষা টিকটিকিকে নিকৃষ্টতম ফাসিক বলে অভিহিত করেছেন। আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একে হত্যা করার আদেশ দিতে শুনেছি। আর সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একে হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন।
হাদীস নং ৩০৭৫
সাদাকা ইবনে ফাযল রহ………..সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যা রহ. থেকে বর্ণিত যে, উম্মে শারীক রহ. তাকে খবর দিয়েছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে গিরগিট বা রক্তচোষা জাতীয় টিকটিকি হত্যার করার আদেশ দিয়েছেন।
হাদীস নং ৩০৭৬
উবাইদা ইবনে ইসমাঈল রহ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিঠে দুটি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপকে মেরে ফেল। কেননা এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তিকে নষ্ট করে আর গর্ভপাত ঘটায়।
হাদীস নং ৩০৭৭
মুসাদ্দাদ রহ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লেজকাটা সাপকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন, আর বলেছেন, এ জাতীয় সাপ দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়।
হাদীস নং ৩০৭৮
আমর ইবনে আলী রহ……….ইবনে আবু মুলাইকা রহ. থেকে বর্ণিত যে, ইবনে উমর রা. প্রথমে সাপ মেরে ফেলতেন। পরে মারতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার তাঁর একটি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেন। তাঁতে তিনি সাপের খোলস দেখতে পান। তখন তিনি বললেন, দেখ ! কোথায় সাপ আছে? লোকেরা দেখল (এবং তাকে জানাল) তিনি বললেন, একে মেরে ফেল। এ কারণে আমি সাপ মেরে ফেলতাম। এরপর আবু লুবাবার সাথে আমার দেখা হল। তিনি আমাকে জানালেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পিঠের উপর দুটি রেখা বিশিষ্ট এবং লেজকাটা সাপ ব্যতীত অন্য কোন সাপকে তোমরা মেরো না। কেননা এগুলো গর্ভপাত ঘটায় এবং চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয়। তাই এ জাতীয় সাপ মেরে ফেল।
হাদীস নং ৩০৭৯
মালিক ইবনে ইসমাঈল রহ………..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি সাপ মেরে ফেলতেন। এরপর আবু লুবাবা রা. তাকে একটি হাদীস শুনালেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে বসবাসকারী সাপ মারতে নিষেধ করেছেন। ফলে তিনি সাপ মারা বন্ধ করে দেন।
হাদীস নং ৩০৮০
মুসাদ্দাদ রহ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, পাঁচ প্রকার প্রাণী অনিষ্টকারী। এদেরকে হারাম শরীফেও হত্যা করা যায়। এগুলো হল: বিচ্ছু, ইঁদুর, চিল, কাক ও পাগলা কুকুর।
হাদীস নং ৩০৮১
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাঁচ প্রকার প্রাণী অনিষ্টকারী প্রাণী যাদেরকে কেউ ইহরাম অবস্থায়ও যদি মেরে ফেলে, তাহলে তার কোন গুনাহ নেই। এগুলো হল: বিচ্ছু, ইঁদুর, পাগলা কুকুর, কাক ও চিল।
হাদীস নং ৩০৮২
মুসাদ্দাদ রহ…………জাবির রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, পান-পাত্রগুলো বন্ধ করে রেখো, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখো আর সাঁঝের বেলায় তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকিয়ে রেখো। কেননা, এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোন কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। আর নিদ্রা কালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা, অনেক সময় ছোট ছোট অনিষ্টকারী ইঁদুর প্রজ্বলিত সলতে যুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গ্রহবাসীকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ইবনে জুরাইজ এবং হাবীব রহ. আতা রহ. থেকে “কেননা এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে” এর পরিবর্তে “শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে” বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ৩০৮৩
আবদা ইবনে আবদুল্লাহ রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক গুহায় ছিলাম। তখন “আল-মুরসালাতি উরফা” সূরাটি অবতীর্ণ হয়। আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখ থেকে সূরাটি শিখে নিচ্ছিলাম। এমনি সময় একটি সাপ বেরিয়ে আসল তার গর্ত থেকে। আমরা তাকে মারার জন্য দৌড়ে যাই। কিন্তু সে আমাদের আগেই ভেগে গিয়ে গর্তে ঢুকে পড়ে। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে তোমাদের অনিষ্ট থেকে যেমন রক্ষা পেয়েছে, তোমরাও তেমন তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা পেয়েছে। ইসরাঈল রহ. আমাশ, ইবরাহীম, আলকামা রহ.-ও আবদুল্লাহ রা. থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। রাবী আবদুল্লাহ রা. বলেছেন, আমরা সূরাটি তাঁর মুখ থেকে বের হবার সাথে সাথে শিখে নিচ্ছিলাম। আবু আওয়ানা মুগীরা রা. থেকে অনুরূপই বর্ণনা করেছেন।আর হাফস, আবু মুআবিয়া ও সুলাইমান ইবনে কারম, আমাশ, ইবরাহীম, আসওয়াদ রহ.-ও আবদুল্লাহ রা. থেকে অনুরূপই বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ৩০৮৪
নাসর ইবনে আলী রহ………..ইবনে উমর রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একজন মহিলা একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে না তাকে খাবার দিয়েছিল, না তাকে ছেড়ে দিয়েছিল, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবু হুরায়রা রা. সূত্রেও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।