হাদীস নং ৩০৬৫
ইবরাহীম ইবনে হামযা রহ………..আবু হুরায়রা রা. সূত্রে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন নিদ্রা থেকে উঠল এবং উযু করল তখন তার নাক তিনবার ঝেড়ে ফেলা উচিত। কেননা, শয়তান তার নাকের ছিদ্রে রাত যাপন করেছে।
হাদীস নং ৩০৬৬
কুতাইবা রহ…………আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমান রহ.-কে বলেছেন, আমি তোমাকে দেখছি তুমি ছাগপাল ও মরুভূমি পছন্দ করছ। অতএব, তুমি যখন তোমার ছাগপালসহ মরুভূমিতে অবস্থান করবে, সালাতের সময় হলে আযান দিবে, তখন তুমি উচ্চস্বরে আযান দিবে। কেননা মুআযযিনের কণ্ঠস্বর জ্বিন, মানুষ ও যে কোন বস্তু শুনে, তারা কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। আবু সাঈদ রা. বলেন, আমি এ হাদীসটি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি।
হাদীস নং ৩০৬৭
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ…………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারের উপর ভাষণ দানকালে বলতে শুনেছেন, সাপ মেরে ফেল। বিশেষ করে মেরে ফেল ঐ সাপ, যার মাথার উপর দু’টো সাদা রেখা আছে এবং লেজ কাটা সাপ। কেননা, এ দু’ প্রকারের সাপ চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয় ও গর্ভপাত ঘটায়। আবদুল্লাহ রা. বললেন, একদিন আমি একটি সাপ মারার জন্য তার পেছনে ধাওয়া করছিলাম। এমন সময় আবু লুবাবা রা. আমাকে ডেকে বললেন, সাপটি মেরো না। তখন আমি বললাম, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাপ মারার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তিনি বললেন, এরপরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সাপ ঘরে বাস করে যাকে ‘আওয়ামিন’ বলা হয় এমন সাপ মারতে নিষেধ করেছেন। আবদুর রাজ্জাক রহ. মামার রহ. সূত্রে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, আমাকে দেখেছেন আবু লুবাবা অথবা ইবনে খাত্তাব রা. আর অনুসরণ করেছেন মামার রহ.-কে ইউনুস ইবনে উয়াইনা, ইসহাক কালবী ও যুবাইদী রহ. এবং সালিহ, ইবনে আবু হাফসা ও ইবনে মুজাম্মি রহ………ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, আমাকে দেখেছেন আবু লুবাবা ও যায়েদ ইবনে খাত্তাব রা.।
হাদীস নং ৩০৬৮
ইসমাঈল রহ…………আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে সময় অতি নিকটে যখন একজন মুসলিমের সর্বোত্তম সম্পদ হবে ছাগপাল। যা নিয়ে সে পাহাড়ের চূড়ায় এবং বৃষ্টির এলাকায় চলে যাবে ; সে ফিতনা থেকে স্বীয় দীন রক্ষার্থে পলায়ন করবে।
হাদীস নং ৩০৬৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুফরীর মূল পূর্বদিকে, গর্ব এবং অহংকার ঘোড়া এবং উটের মালিকদের মধ্যে এবং গ্রাম্য কৃষকদের মাঝে, আর শান্তি ছাগপালের মালিকদের মাঝে।
হাদীস নং ৩০৭০
মুসাদ্দাদ রহ………..উকবা ইবনে আমর আবু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় হাতের দ্বারা ইয়ামানের দিকে ইশারা করে বললেন, ঈমান এদিকে। দেখ কঠোরতা এবং অন্তরের কাঠিন্য ঐসব কৃষকদের মধ্যে যারা উটের লেজের কাছে থেকে চিৎকার করে, যেখান থেকে শয়তানের শিং দুটি উদয় হবে অর্থাৎ রাবীয়া ও মুযার গোত্র দ্বয়ের মধ্যে।
হাদীস নং ৩০৭১
কুতাইবা রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে তখন তোমরা আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ চেয়ে দু’আ কর। কেননা এ মোরগ ফেরেশতাদের দেখে আর যখন গাধার আওয়াজ শুনবে তখন শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে, কেননা এ গাধাটি শয়তান দেখেছে।
হাদীস নং ৩০৭২
ইসহাক রহ………..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে অথবা বলেছেন, যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে (ঘরে) আটকিয়ে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়ে যাবে তখন তাদেরকে ছেড়ে দিতে পার। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করবে এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারেনা। ইবনে জুরাইজ রহ. বলেন, হাদীসটি আমর ইবনে দীনার রহ……..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ থেকে আতা রহ.-এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি “আল্লাহর নাম স্মরণ কর” বলেননি।
হাদীস নং ৩০৭৩
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বনী ইসরাঈলের একদল লোক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। কেউ জানেনা তাদের কি হল আর আমি তাদেরকে ইঁদুর বলেই মনে করি। কেননা তাদের সামনে যখন উটের দুধ রাখা হয়, তারা তা পান করেনা, আর তাদের সামনে ছাগলের দুধ রাখ হয় তারা তা পান করে (আবু হুরায়রা রা. বলেন) আমি এ হাদীসটি কাবের নিকট বললাম, তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি এটা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর তিনি কয়েকবার আমাকে একথাটি জিজ্ঞাসা করলেন। তখন আমি বললাম, আমি কি তাওরাত কিতাব পড়ছি?
হাদীস নং ৩০৭৪