হাদীস নং ৩০৪৬
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ…………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কারো কাছে শয়তান আসতে পারে এবং সে বলতে পারে, এ বস্তু কে সৃষ্টি করেছে? ঐ বস্তু কে কে সৃষ্টি করেছে? এরূপ প্রশ্ন করতে করতে শেষ পর্যন্ত বলে বসবে, তোমার প্রতিপালক কে কে সৃষ্টি করেছে? যখন বিষয়টি এ পর্যায়ে পৌঁছে যাবে তখন সে যেন অবশ্যই আল্লাহর কাছে পানাহ চায় এবং বিরত হয়ে যায়।
হাদীস নং ৩০৪৭
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ…………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন রমযান মাস আরম্ভ হয়, জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় আর শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করে রাখা হয়।
হাদীস নং ৩০৪৮
হুমাইদী রহ…………উবাই ইবনে কাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, মূসা আ. তাঁর সঙ্গীকে বললেন, আমাদের সকালের খাবার নিয়ে এসো। সে বলল, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন পাথরটির কাছে বিশ্রাম করছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম? শয়তানই এর কথা বলতে ভুলিয়ে দিয়েছিল (১৮:৬২, ৬৩)। আল্লাহ তা’আলা মূসা আ.-কে যে স্থানটি সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সে স্থানটি অতিক্রম করা পর্যন্ত তিনি কোনরূপ ক্লান্তিবোধ করেননি।
হাদীস নং ৩০৪৯
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ…………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি, তিনি পূব দিকে ইশারা করে বলেছেন, সাবধান! ফিতনা এখানেই। সাবধান! ফিতনা এখানেই । যেখান হতে শয়তানের শিং উদিত হবে।
হাদীস নং ৩০৫০
ইয়াহইয়া ইবনে জাফর রহ………..জাবির রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সূর্যাস্তের পরপরই যখন রাত শুরু হয় অথবা বলেছেন, যখন রাতের অন্ধকার নেমে আসে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে ঘরে আটকে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর যখন রাতের কিছু অংশ চলে যাবে তখন তাদের ছেড়ে দিতে পার আর তুমি তোমার ঘরের দরজা বন্ধ করে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমাদের ঘরের বাতি নিভিয়ে দাও এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমার পানি রাখার পাত্রের মুখ বন্ধ রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। তোমার বাসনপত্র ঢেকে রাখ এবং আল্লাহর নাম স্মরণ কর। সামান্য কিছু হলেও তার উপর দিয়ে রেখে দাও।
হাদীস নং ৩০৫১
মুহাম্মদ ইবনে গায়লান রহ………..সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মসজিদে নববীতে) ইতিকাফ অবস্থায় ছিলেন। আমি রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসলাম। এরপর তাঁর সাথে কিছু কথাবার্তা বললাম। তারপর আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালাম। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও আমাকে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমার সাথে উঠে দাঁড়ালেন। আর তাঁর (সাফিয়্যার) বাসস্থান ছিল উসামা ইবনে যায়েদের বাড়ীতে । এ সময় দু’জন আনসারী সে স্থান দিয়ে অতিক্রম করল। তারা যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখল তখন তারা তাড়াতাড়ি চলে যেতে লাগল। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা একটু অপেক্ষা কর। এ মহিলাটি (আমার স্ত্রী) সফিয়্যা বিনতে হুয়াই। তারা বললেন, সুবহানাল্লাহ! ইয়া রাসূলাল্লাহ! (আমরা কি আপনার ব্যঅপারে অন্যরূপ ধারণা করতে পারি?) তিনি বললেন, মানুষের শরীরে রক্তধারায় শয়তান প্রবাহমান থাকে। আমি আশংকা করছিলাম, সে তোমাদের মনে কোন খারাপ ধারণা অথবা বললেন, অন্যকিছু সৃষ্টি করে না কি।
হাদীস নং ৩০৫২
আবদান রহ………..সুলাইমান ইবনে সুরাদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বসা ছিলাম। তখন দু’জন লোক পরস্পর গালমন্দ করছিল। তাদের একজনের চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল এবং তার রগগুলো ফুলে গিয়েছিল। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি এমন একটি দু’আ জানি, যদি এ লোকটি তা পড়ে তবে সে যে রাগ অনুভব করছে তা দূর হয়ে যাবে। (তিনি বললেন) সে যদি পড়ে: ‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তান’- আমি শয়তান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। তবে তার রাগ চলে যাবে। তখন তাকে বলল, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি যেন আল্লাহর কাছে শয়তান হতে আশ্রয় চাও। সে বলল, আমি কি পাগল হয়েছি?
হাদীস নং ৩০৫৩
আদম রহ………..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন তার স্ত্রীর নিকট গমন করে এবং বলে, হে আল্লাহ! আমাকে শয়তান হতে রক্ষা কর আর আমাকে এ দ্বারা যে সন্তান দিবে তাকেও শয়তানের প্রভাব হতে হেফাজত কর। তাহলে যদি তাদের কোন সন্তান জন্মায়, তবে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না এবং তার উপর কোন কর্তৃত্বও চলবে না। আসমা রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
হাদীস নং ৩০৫৪
মাহমুদ রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করলেন। তারপর বলবেন, শয়তান আমার সামনে এসেছিল। সে আমার সালাত নষ্ট করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তার উপর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা দিয়েছিলেন। তারপর পূর্ণাঙ্গ হাদীসটি উল্লেখ করেন।