হাদীস নং ৩০২৭
হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল রহ……….বারা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এর ছেলে) ইবরাহীম রা. ইন্তিকাল করেন, তখন তিনি বলেন, জান্নাতে এর জন্য একজন ধাত্রী রয়েছে।
হাদীস নং ৩০২৮
আবদুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অবশ্যই জান্নাতবাসীগণ তাদের উপরের বালাখানার অধিবাসীদের এমনভাবে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আকাশের পূর্ব অথবা পশ্চিম দিগন্তে উজ্জ্বল দীপ্তমান তারকা দেখতে পাও। এটা হবে তাদের মধ্যে মর্যাদার ব্যবধানের কারণে। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ তো নবীগণের জায়গা। তাদের ছাড়া অন্যরা তথায় পৌঁছতে পারবে না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ, যেসব লোক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে এবং রাসূলগণকে সত্য বলে স্বীকার করবে (তারা সেখানে পৌঁছতে পারবে)।
হাদীস নং ৩০২৯
সাঈদ ইবনে আবু মারয়াম রহ………..সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, জান্নাতে আটটি দরজা থাকবে। তন্মধ্যে একটি দরজার নাম হবে রাইয়্যান। একমাত্র রোযাদারগণই এ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবেন।
হাদীস নং ৩০৩০
আবুল ওয়ালীদ রহ………..আবু যার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সফরে ছিলেন, তখন (যুহরের সালাতের ওয়াক্ত হল) তিনি বললেন, ঠাণ্ডা হতে দাও। পুনরায় বললেন, টিলাগুলোর ছায়া নীচে নেমে আসা পর্যন্ত ঠাণ্ডা হতে দাও। আবার বললেন, (যুহরের) সালাত ঠাণ্ডা হলে পরে আদায় করবে। কেননা, গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়ে থাকে।
হাদীস নং ৩০৩১
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ………….আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, সালাত (রৌদ্রের উত্তাপ) ঠাণ্ডা হলে পরে আদায় করবে। কেননা, গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়ে থাকে।
হাদীস নং ৩০৩১
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ………….আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, সালাত (রৌদ্রের উত্তাপ) ঠাণ্ডা হলে পরে আদায় করবে। কেননা, গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপ থেকে হয়ে থাকে।
হাদীস নং ৩০৩২
আবুল ইয়ামান রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জাহান্নাম তার রবের নিকট অভিযোগ করে বলেছে, হে রব! আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে। তখন তিনি তাকে দুটি নিঃশ্বাস ছাড়ার অনুমতি প্রদান করেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে আর একটি নিঃশ্বাস গ্রীষ্মকালে। অতএব তোমরা যে শীতের তীব্রতা পেয়ে থাক। (তা নিঃশ্বাসের প্রভাব)।
হাদীস নং ৩০৩৩
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ………….আবু জামরা যুবায়ী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কায় ইবনে আব্বাস রা.-এর কাছে বসতাম। একবার আমি জ্বরে আক্রান্ত হই। তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি তোমার গায়ের জ্বর যমযমের পানি দ্বারা শীতল কর। কেননা, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটা দোযখের উত্তাপ হতেই হয়ে থাকে। অতএব তোমরা তা পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর অথবা বলেছেন, যমযমের পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর। (এর কোনটা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন) এ বিষয়ে বর্ণনাকারী হাম্মাম সন্দেহ পোষণ করেছেন।
হাদীস নং ৩০৩৪
আমর ইবনে আব্বাস রহ………..রাফি ইবনে খাদিজ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের প্রচণ্ড উত্তাপ হতে । অতএব তোমাদের গায়ের সে তাপ পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর।
হাদীস নং ৩০৩৫
মালিক ইবনে ইসমাঈল রহ………….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের প্রচণ্ড উত্তাপ হতে । অতএব তোমাদের গায়ের সে তাপ পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর।
হাদীস নং ৩০৩৬
মুসাদ্দাদ রহ………….ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জ্বরের উৎপত্তি জাহান্নামের প্রচণ্ড উত্তাপ হতে । অতএব তোমাদের গায়ের সে তাপ পানি দ্বারা ঠাণ্ডা কর।
হাদীস নং ৩০৩৭
ইসমাঈল রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র। বলা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! জাহান্নামের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ট ছিল। তিনি বললেন, দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো ঊনসত্তর গুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে।
হাদীস নং ৩০৩৮
কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ…………ইয়ালা রা. থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারে আরোহণ করে তিলাওয়াত করতে শুনেছেন, “আর তারা ডাকবে, হে মালিক”। (মালিক জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়কের নাম)।
হাদীস নং ৩০৩৯
আলী রহ………….আবু ওয়াইল রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উসামা রা.-কে বলঅ হল, কত ভাল হত ! যদি আপনি ঐ ব্যক্তির (উসমান রা.-এর কাছে যেতেন এবং তাঁর সঙ্গে (বিদ্রোহ দমনের বিষয়ে) আলোচনা করতেন। উত্তরে তিনি বললেন, আপনারা মনে করছেন যে, আমি তাঁর সঙ্গে (বিদ্রোহ দমনের ব্যাপারে) আপনাদেরকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলব। অথচ আমি তাঁর সাথে (দাঙ্গা দমনের ব্যাপারে) গোপনে আলোচনা করছি, যেন আমি একটি দ্বার খুল না বসি। (এ বিদ্রোহের) আমি দ্বার উন্মক্ত কারীর প্রথম ব্যক্তি হতে চাইনা। আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কিছু শুনেছি, যার পরে আমি কোন ব্যক্তিকে যিনি আমাদের আমীর নির্বাচিত হয়েছেন সেজন্য তিনি আমাদের সর্বোত্তম ব্যক্তি এ কথা বলতে পারি না। লোকেরা তাকে বলল, আপনি তাকে কি বলতে শুনেছেন? উসামা রা. বললেন, আমি তাকে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন এক ব্যাক্তিকে আনয়ন করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে ফেলে দেয়া হবে। তখন আগুনে পুড়ে তার নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবে। এ সময় সে এমনভাবে ঘুরতে থাকবে যেমন গাধা তার চাকা নিয়ে তার চারপাশে ঘুরতে থাকে। তখন জাহান্নামবাসীর তার কাছে একত্রিত হয়ে তাকে বলবে, হে অমুক ব্যক্তি ! তোমার এ অবস্থা কেন? তুমি না আমাদিগকে সৎকাজের আদেশ করতে আর অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতে? সে বলবে, আমি তোমাদেরকে সৎকাজে আদেশ করতাম বটে, কিন্তু আমি তা করতাম না আর আমি তোমাদেরকে অন্যায় কাজ হতে নিষেধ করতাম, অথচ আমিই তা করতাম। এ হাদীসটি গুনদার রহ. শুবা রহ. সূত্রে আমাশ রহ. থেকে বর্ণনা করেছেন।