হাদীস নং ৩০১৬
হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল রহ…………আবদুল্লাহ ইবনে কায়েস আশআরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (জান্নাতে মুমিনদের জন্য) গুণগত মোতির তাঁবু থাকবে যার উচ্চতার দৈর্ঘ্য ত্রিশ মাইল। এর প্রতিটি কোনে মুমিনদের জন্য এমন স্ত্রী থাকবে যাদেরকে অন্যরা কখনো দেখেনি। আবু আবদুস সামাদ ও হারিস ইবনে উবায়দ আবু ইমরান রহ. থেকে (ত্রিশ মাইলের স্থলে) ষাট মাইল বলে বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ৩০১৭
হাদীস নং ৩০১৮
মুহাম্মদ ইবনে মুকাতিল রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে প্রথম প্রবেশকারী দলের আকৃতি পূর্ণিমা রাতের চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল হবে। তারা সেখানে থুথু ফেলবে না, নাক ঝড়বে না, পায়খানা করবে না। সেখানে তাদের পাত্র হবে স্বর্ণের ; তাদের চিরুনী হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের, তাদের ধুনুচিত থাকবে সুগন্ধ কাঠ। তাদের গায়ের ঘাম মিসকের ন্যায় সুগন্ধযুক্ত হবে। তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দুজন স্ত্রী থাকবে যাদের সৌন্দর্যের ফলে গোশত ভেদ করে পায়ের নলার হাড়ের মজ্জা দেখা যাবে। তাদের মধ্যে কোন মতভেদ থাকবে না; পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের সকলের অন্তর এক অন্তরের মত থাকবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করতে থাকবে।
হাদীস নং ৩০১৯
আবুল ইয়ামান রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা পূর্ণিমা রাতে চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল আকৃতি ধারণ করবে আর তাদের পর যারা প্রবেশ করবে তারা অতি উজ্জ্বল তারকার মত রূপ ধারণ করবে। তাদের অন্তরগুলো এক ব্যক্তির অন্তরের মত হয়ে থাকবে। তাদের মধ্যে কোনরূপ মতভেদ থাকবে না আর পরষ্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের প্রত্যেকের দু’জন করে স্ত্রী থাকবে। সৌন্দর্যের ফলে গোশত ভেদ করে পায়ের নলাস্থিত মজ্জা দেখা যাবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে। তারা অসুস্থ হবে না, নাক ঝাড়বে না, থুথু ফেলবে না। তাদের পাত্রসমূহ হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের আর চিরুনীসমূহ হবে স্বর্ণের। তাদের ধুনুচিতে থাকবে সুগন্ধ কাঠ। আবুল ইয়ামান রহ . বলেন, অর্থাৎ কাঠ। তাদের গায়ের ঘাম মিসকের ন্যায় সুগন্ধযুক্ত হবে। মুজাহিদ রহ. বলেন, البكار অর্থ উষাকালের প্রথম অংশ العشي অর্থ সূর্য ঢলে পড়ার সময় হতে তার অস্তমিত হওয়া পর্যন্ত সময়কাল।
হাদীস নং ৩০২০
মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর মুকাদ্দামী রহ…………সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মাতের সত্তর হাজার লোক অথবা (বলেছেন) সাত লক্ষ লোক একই সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের কেউ আগে পেছনে এভাবে নয় আর তাদের মুখমণ্ডল পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল থাকবে।
হাদীস নং ৩০২১
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ জুফী রহ………..আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি রেশমী জুব্বা হাদীয়া দেয়া হল। অথচ তিনি রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন; লোকেরা (এর সৌন্দর্যের করণে) তা খুব পছন্দ করল। তখন তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম! যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, অবশ্যই জান্নাতে সাদ ইবনে মুআযের রুমাল এর চেয়েও অধিক সুন্দর হবে।
হাদীস নং ৩০২২
মুসাদ্দাদ রহ………..বারা ইবনে আযিব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একখানা রেশমী কাপড় আনা হল। লোকজন এর সৌন্দর্য এবং কমনীয়তার কারণে তা খুব পছন্দ করতে লাগল। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অবশ্যই জান্নাতে সাদ ইবনে মুআযের রুমাল এর চেয়েও অধিক উত্তম হবে।
হাদীস নং ৩০২৩
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ…………সাহল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে চাবুক পরিমাণ সামান্যতম স্থানও দুনিয়া এবং এর মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়েও উত্তম।
হাদীস নং ৩০২৪
রাওহ ইবনে আবদুল মুমিন রহ………….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে, যার ছায়ায় কোন আরোহী একশ বছর পর্যন্ত চললেও তা অতিক্রম করতে পারবে না।
হাদীস নং ৩০২৫
মুহাম্মদ ইবনে সিনান রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে, যার ছায়ায় কোন আরোহী একশ বছর পর্যন্ত চললে পারবে। আর তোমরা ইচ্ছা করলে (কুরআনের এ আয়াত) তিলাওয়াত করতে পার وظل ممدود এবং দীর্ঘ ছায়া। আর জান্নাতে তোমাদের কারও একটি ধনুকের পরিমাণ জায়গাও ঐ জায়গার চেয়ে অনেক উত্তম যেখানে সূর্যোদয় হয় এবং সূর্যাস্ত যায় (অর্থাৎ পৃথিবীর চেয়ে)।
হাদীস নং ৩০২৬
ইবরাহীম ইবনে মুনযির রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা পূর্ণিমা রাতে চাঁদের ন্যায় উজ্জ্বল আকৃতি ধারণ করবে আর তাদের পর যারা প্রবেশ করবে তারা অতি উজ্জ্বল তারকার অধিক হবে। তাদের অন্তরগুলো এক ব্যক্তির অন্তরের মত হয়ে থাকবে। তাদের মধ্যে থাকবে না কোনরূপ বিদ্বেষ আর থাকবে না কোন হিংসা । তাদের প্রত্যেকের জন্য ডাগর ডাগর চোখ বিশিষ্ট দু’জন করে স্ত্রী এমন থাকবে, যাদের পায়ের নলার মজ্জা হাঁড় ও গোশত ভেদ করে দেখা যাবে।