মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে ইসমাঈল রহ……….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মনে করবে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবকে দেখেছেন, সে ব্যক্তি বিরাট ভুল করবে। বরং তিনি জিবরাঈল আ.-কে তাঁর আসল আকৃতি এবং অবয়বে দেখেছেন। তিনি আকাশের দিগন্ত জুড়ে অবস্থান করছিলেন।
হাদীস নং ৩০০৮
মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ রহ……….মাসরূক রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা রা.কে আল্লাহর বাণী : “এরপর তিনি তার নিকটবর্তী হলেন, অতি নিকটবর্তী। ফলে তাদের মধ্যে দু’ধনুকের ব্যবধান অথবা তার চেয়েও কম”-এর মর্মার্থ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, তিনি জিবরাঈল আ. ছিলেন। তিনি স্বভাবত মানুষের আকৃতিতে তাঁর কাছে আসতেন। কিন্তু এবার তিনি কাছে এসেছিলেন তাঁর মূল আকৃতি ধারণ করে। তখন তিনি আকাশের সম্পূর্ণ দিগন্ত ঢেকেছিলেন।
হাদীস নং ৩০০৯
মূসা রহ……….সামুরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আজ রাতে আমি দেখেছি, দু’ব্যক্তি আমার কাছে এসেছে। তারা বলল, যে অগ্নি প্রজ্ব্বলিত করছিল সে হল, দোযখের দারোগা মালিক আর আমি হলাম জিবরাঈল এবং ইনি হলেন মীকাঈল।
হাদীস নং ৩০১০
মুসাদ্দাদ রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি স্বীয় স্ত্রীকে নিজ বিছানায় আসতে ডাকেন আর সে অস্বীকার করে এবং সে ব্যক্তি স্ত্রীর উপর ক্ষোভ নিয়ে রাত যাপন করে, তবে ফেরেশতাগণ এমন স্ত্রীর উপর ভোর পর্যন্ত লানত দিতে থাকে। শুবা, আবু হামযা, ইবনে দাউদ ও আবু মুআবিয়া রহ. আমাশ রহ থেকে হাদীস বর্ণনায় আবু আওয়ানা রহ.-এর অনুসরণ করেছেন।
হাদীস নং ৩০১১
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ…………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি (হেরা গুহায় ওহী নাযিলের পর) আমার থেকে কিছু দিনের জন্য ওহী বন্ধ হয়ে গেল। (একদিন) আমি পথ চলতে ছিলাম। এরই মধ্যে আকাশ থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেলাম। তখন আমি আকাশের প্রতি দৃষ্টি উঠাইলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম, হেরা পর্বতের গুহায় আমার কাছে যে ফেরেশতা এসেছিলেন, তিনি আকাশ ও যমীনের মাঝখানে একটি কুরসীর উপর বসে আছেন। আমি তাতে ভয় পেয়ে গেলাম, এমনকি মাটিতে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলাম। তারপর আমি পরিবার-পরিজনের কাছে আসলাম এবং বললাম, আমাকে কম্বল দ্বারা আবৃত কর, আমাকে কম্বল দ্বারা আবৃত কর। তখন মহান আল্লাহর তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেন : يا أيها المدثر “হে বস্ত্রাচ্ছাদিত। উঠ, সতর্কবাণী প্রচার কর………অপবিত্রতা থেকে দূরে থাক। (৭৪: ১-৫) আবু সালামা রা. বলেন, অত্র আয়াতে الرجز দ্বারা প্রতিমা বুঝানো হয়েছে।
হাদীস নং ৩০১২
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার ও খলীফা রহ……… নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচাতো ভাই ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মিরাজের রাত্রিতে আমি মূসা আ.-কে দেখেছি। তিনি গোধুম বর্ণের পুরুষ ছিলেন ; দেহের গঠন ছিল লম্বা। মাথার চুল ছিল কুঞ্চিত। যেন তিনি শানূআ গোত্রের একজন লোক। আমি ঈসা আ.-কে দেখতে পাই। তিনি ছিলেন মধ্যম গঠনের লোক। তাঁর দেহবর্ণ ছিল সাদা লালে মিশ্রিত। তিনি ছিলেন মধ্যম অবয়ব বিশিষ্ট। মাথার চুল ছিল অকুঞ্চিত। জাহান্নামের খাজাঞ্চি মালিক এবং দাজ্জালকেও আমি দেখেছি। (সে রাতে) আল্লাহ তা’আলা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিশেষ করে যে সকল নিদর্শনাবলি দেখিয়েছেন তন্মধ্যে এগুলোও ছিল। সুতরাং তাঁর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে তুমি সন্দেহ পোষণ করবে না। আনাস এবং আবু বকরা রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, ফেরেশতাগণ মদীনাকে দাজ্জাল থেকে পাহারা দিয়ে রাখবেন।
হাদীস নং ৩০১৩
আহমদ ইবনে ইউনুস রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মারা যায় তখন সকাল-সন্ধ্যায় তার পরকালের আবাসস্থল তার কাছে পেশ করা হয়। সে যদি জান্নাতবাসী হয় তবে তাকে জান্নাতবাসীর আবাসস্থল আর যদি সে জাহান্নামবাসী হয় তবে তাকে জাহান্নামবাসীর আবাসস্থল দেখানো হয়।
হাদীস নং ৩০১৪
আবুল ওয়ালীদ রহ……….ইমরান ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি জান্নাতের অধিবাসী সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। আমি জানতে পারলাম, জান্নাতে অধিকাংশ অধিবাসী হবে গরীব লোক। জাহান্নামীদের সম্পর্কে অবহিত হয়েছি, আমি জানতে পারলাম, এর অধিকাংশ অধিবাসী মহিলা।
হাদীস নং ৩০১৫
সাঈদ ইবনে আবু মারয়াম রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিদ্রিত ছিলাম। দেখলাম আমি জান্নাতে অবস্থিত। হঠাৎ দেখলাম এক মহিলা একটি প্রাসাদের পাশে উযু করছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ প্রাসাদটি কার? তারা উত্তরে বললেন, উমরের। তখন তাঁর (উমরের) আত্মমর্যাদাবোধের কথা আমার স্মরণ হল। আমি পেছনের দিকে ফিরে চলে আসলাম। একথা শুনে উমর রা. কেঁদে ফেললেন এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার সম্মুখে কি আমার মর্যাদাবোধ থাকতে পারে?