হাদীস নং ২৯৯৮
ইবনে মুকাতিল রহ………আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ঘরে কুকুর থাকে আর প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না।
হাদীস নং ২৯৯৯
আহমদ রহ……….আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সে ঘরে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না। বুসুর রহ. বলেন, এরপর যায়েদ ইবনে খালিদ রা. অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা তাঁর শুশ্রূষার জন্য গেলাম। তখন আমরা তাঁর ঘরে একটি পর্দায় কিছু ছবি দেখতে পেলাম। তখন আমি (বুসুর) ওবায়দুল্লাহ খাওলানী রহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইনি কি আমাদের নিকট ছবি সম্পর্কীয় হাদীস বর্ণনা করেননি? তখন তিনি বললেন, তিনি বলেছেন, প্রাণীর (ছবি নিষিদ্ধ) তবে কাপড়ের মধ্যে কিছু অংকন করা নিষিদ্ধ নয়, তুমি কি তা শুননি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি তা বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ৩০০০
ইয়াহইয়া ইবনে সুলাইমান রহ……….সালিম রা. তাঁর পিতার নিকট হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, জিবরাঈল আ. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (সাক্ষাতের) ওয়াদা দিয়েছিলেন। (কিন্তু তিনি সময় মত আসেননি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন, আমরা ঐ ঘরে প্রবেশ করি না, যে ঘরে ছবি এবং কুকুর থাকে।
হাদীস নং ৩০০১
ইসমাঈল রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইমাম যখন ‘সামিআল্লাহু লিমান হামীদা’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদু’। কেননা, যার এ উক্তি ফেরেশতাগণের উক্তির অনুরূপ হবে, তাঁর পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেয় হবে।
হাদীস নং ৩০০২
ইবরাহীম ইবনে মুনযির রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের কেউ যতক্ষণ পর্যন্ত সালাতে রত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতাগণ এ বলে দু’আ করতে থাকে, হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করে দিন ; হে আল্লাহ! তার প্রতি রহম করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত লোকটি সালাত ছেড়ে না দাঁড়াবে অথবা তার উযু ভঙ্গ না হবে।
হাদীস নং ৩০০৩
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………..সাফওয়ান ইবনে ইয়ালা রা. তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারে উঠে এ আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনেছি “আর তারা ডাকল, হে মালিক!) (মালিক জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতার নাম) সুফিয়ান রহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা.-এর نادوا مالك ক্বিরাআতে স্থলে نادوا يا مال রয়েছে।
হাদীস নং ৩০০৪
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, একবার তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলেন, উহুদের দিনে চাইতে কঠিন কোন দিন কি আপনার উপর এসেছিল? তিনি বললেন, আমি তোমার কওম থেকে যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছি, তা তো হয়েছি। তাদের থেকে সবচেয়ে বেশী কঠিন বিপদের সম্মুখীন হয়েছি, আকাবার দিন আম নিজেকে ইবনে আবদে ইয়ালীল ইবনে আবদের কলালের নিকট পেশ করেছিলাম। আমি যা চেয়েছিলাম, সে তার জবাব দেয়নি। তখন আমি এমনভাবে বিষণ্ন চেহারা নিয়ে ফিরে এলাম যে, কারনুস সাআলিবে পৌঁছা পর্যন্ত আমার চিন্তা লাঘব হয়নি। তখন আমি মাথা উপরে উঠাইলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম এক টুকরো মেঘ আমাকে ছায়া দিচ্ছে। আমি সে দিকে দৃষ্টি দিলাম। তার মধ্যে ছিলেন জিবরাঈল আ.। তিনি আমাকে ডেকে বললেন, আপনার কওম আপনাকে যা বলেছে এবং তারা প্রতি উত্তরে যা বলেছে তা সবই আল্লাহ শুনছেন। তিনি আপনার কাছে পাহাড়ের ফেরেশতাকে পাঠিয়েছেন। এদের সম্পর্ক আপনার যা ইচ্ছে আপনি তাকে হুকুম দিতে পারেন। তখন পাহাড়ের ফেরেশতা আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে সালাম দিলেন। তারপর বললেন, হে মুহাম্মদ! এসব ব্যাপার আপনার ইচ্ছাধীন। আপনি যদি চান, তাহলে আমি তাদের উপর আখশাবাইনক চাপিয়ে দিব। উত্তরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বরং আমি আশা করি মহান আল্লাহ তাদের বংশ থেকে এমন সন্তান জন্ম দেবেন যে, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে আর তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না।
হাদীস নং ৩০০৫
কুতাইবা রহ……….আবু ইসহাক শায়বানী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যির ইবনে হুবাইস রা.-কে মহান আল্লাহর এ বাণী : “ফলে তাদের মধ্যে দু’ধনুকের পরিমাণ বা তার চেয়েও কম ব্যবধান রইল। তখন আল্লাহ তার বান্দার প্রতি যা ওহী করার তা ওহী করলেন”। এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, ইবনে মাসউদ রা. আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরাঈল আ.-কে দেখেছেন। তাঁর ছয়শটি ডানা ছিল।
হাদীস নং ৩০০৬
হাফস ইবনে উমর রহ………..আবদুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) রা. থেকে বর্ণিত, তিনি এ আয়াত : “নিশ্চয়ই তিনি তাঁর রবের মহান নিদর্শনাবলি দেখেছেন” এর মর্মার্থে বলেন, তিনি সবুজ বর্ণের রফরফ দেখেছেন, যা আকাশের দিগন্তকে ঢেকে রেখেছিল।
হাদীস নং ৩০০৭