হাদীস নং ২৯৯০
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ……….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, হে আয়িশা! এই যে জিবরাঈল আ. তোমাকে সালাম দিচ্ছেন। তখন তিনি বললেন, তাঁর প্রতি সালাম আল্লাহর রহমত এবং তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আপনি তো এমন কিছু দেখেন যা আমি দেখতে পাই না।
হাদীস নং ২৯৯১
আবু নুআইম রহ. ও ইয়াহইয়া ইবনে জাফর রহ………..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরাঈল আ.-কে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি আমার নিকট যতবার আসেন তার চেয়ে বেশী আমার সাথে কেন দেখা করেন না? রাবী বলেন, তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় : আর আমরা আপনার রবের নির্দেশ ব্যতীত আসতে পারি না। আমাদের সামনে এবং আমাদের পেছনে যা কিছু আছে সবই তাঁর নিয়ন্ত্রণে।
হাদীস নং ২৯৯২
ইসমাঈল রহ…………ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জিবরাঈল আ. আমাকে এক আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন পাঠ করে শুনিয়েছেন। কিন্তু আমি সর্বদা তাঁর নিকট অধিক ভাষায় পাঠ করে শুনাতে চাইতাম। অবশেষে তা সাতটি আঞ্চলিক ভাষায় সমাপ্ত হয়।
হাদীস নং ২৯৯৩
মুহাম্মদ ইবনে মুকাতিল রহ…………..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা দানশীল ছিলেন আর রমযান মাসে যখন জিবরাঈল আ. তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন তখন তিনি আরো বেশী দানশীল হয়ে যেতেন। জিবরাঈল আ. রমযানের প্রত্যেক রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কুরআন পাঠ করে শুনাতেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে যখন জিবরাঈল আ. দেখা করতেন, তখন তিনি মানুষের কল্যাণে প্রেরিত বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল হতেন। আবদুল্লাহ রহ. হতে বর্ণিত। মামার রহ. এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন আর আবু হুরায়রা রা. এবং ফাতিমা রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে فيدارسه القرآن এর স্থলে أن جبريل كان يعارضه القرآن বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ২৯৯৪
কুতাইবা রহ……….ইবনে শিহাব রহ. থেকে বর্ণিত, একবার উমর ইবনে আবদুল আযীয রহ. আসরের সালাত কিছুটা দেরী করে আদায় করলেন। তখন তাকে উরওয়া রা. বললেন, একবার জিবরাঈল আ. আসলেন এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইমাম হয়ে সালাত আদায় করলেন। তা শুনে উমর ইবনে আবদুল আযীয রহ. বললেন, হে উরওয়া ! কি বলছ, চিন্তা কর। উত্তরে তিনি বললেন, আমি বশীর ইবনে আবু মাসউদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, একবার জিবরাঈল আ. আসলেন, এরপর তিনি আমার ইমামতী করলেন এবং তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম। এরপর আমি তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম। তারপরও আমি তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম। তারপরও আমি তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করলাম। এ সময় তিনি তাঁর আঙ্গুলে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত গুনছিলেন।
হাদীস নং ২৯৯৫
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ………..আবু যার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একবার জিবরাঈল আ. আমাকে বললেন, আপনার উম্মাত থেকে যদি এমন ব্যক্তি মারা যায়, যে আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করে নাই, তবে সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে কিংবা তিনি বলেছেন, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদিও সে যিনা করে এবং চুরি করে। জিবরাঈল আ. বললেন, যদিও (সে যিনা করে ও চুরি করে তবুও)।
হাদীস নং ২৯৯৬
আবুল ইয়ামান রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফেরেশতাগণ একদলের পেছনে আর একদল আগমন করেন। একদল ফেরেশতা রাতে আসেন আর একদল ফেরেশতা দিনে আগমন করেন। তাঁরা ফজর ও আসর সালাতে একত্রিত হয়ে থাকেন। তারপর যারা তোমাদের কাছে রাত্রি যাপন করেছিল তারা আল্লাহর কাছে উর্ধ্বে চলে যান। তখন তিনি তাদেরকে মানুষের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। অথচ তিনি তাদের চেয়ে এ সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী অবহিত আছেন। তখন তিনি বলেন, তোমরা আমার বান্দাদেরকে কি অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? উত্তরে তাঁরা বলেন, আমরা তাদের সালাতের অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। আর আমরা তাদের কাছে সালাতের অবস্থাতেই পৌঁছেছিলাম।
হাদীস নং ২৯৯৭
মুহাম্মদ রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য প্রাণীর ছবিযুক্ত মাঝখানে দাঁড়ালেন এবং তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কি অপরাধ হয়েছে? তিনি বললেন, এ বালিশটি কেন? আমি বললাম, এ বালিশটি আপনি এর উপর ঠেস দিয়ে বসতে পারেন আমি সে জন্য তৈরী করেছি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (হে আয়িশা রা.) তুমি কি জাননা? যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে সেখানে (রহমতের) ফেরেশতা প্রবেশ করেন না? আর যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি আঁকে তাকে কিয়ামতের দিন শাস্তি দেয়া হবে? তাকে (আল্লাহ) বলবেন, তুমি যে প্রাণীর ছবি বানিয়েছ, এখন তাকে প্রাণ দান কর।