হাদীস নং ২৮৯৩
বদল ইবনে মুহব্বার রহ………..আলী রা. থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা রা. আটা পিষার কষ্টের কথা জানান। তখন তাঁর নিকট সংবাদ পৌঁছে যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কয়েকজন বন্দী আনা হয়েছে। ফাতিমা রা. রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে একজন খাদিম চাইলেন। তিনি তাকে পেলেন না। তখন তিনি আয়িশা রা.-এর কাছে তা উল্লেখ করেন। তারপর রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলে আয়িশা রা. তাঁর কাছে বিষয়টি বললেন। (রাবী বলেন) রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে এলেন। তখন আমরা শয্যা গ্রহণ করেছিলাম। আমরা উঠতে হলাম। তিনি বললেন, তোমরা নিজ নিজ জায়গায় থাক। আমি তাঁর পায়ের শীতলতা আমার বুকে অনুভব করলাম। তখন তিনি বললেন, তোমরা যা চেয়েছ, আমি কি তোমাদের তার চাইতে উত্তম বস্তুর সন্ধান দিব না? (তিনি বললেন) যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করবে, তখন চৌত্রিশ বার ‘আল্লাহ আকবার’, তেত্রিশবার ‘আলহামদু লিল্লাহ’ এবং তেত্রিশবার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে, এই তোমাদের জন্য তার চাইতে উত্তম, যা তোমরা চেয়েছ।
হাদীস নং ২৮৯৪
আবুল ওয়ালীদ রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের আনসারীর এক ব্যক্তির একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সে তার নাম মুহাম্মদ রাখার ইচ্ছা করল। মানসুর রহ. সূত্রে বর্ণিত হাদীসে শুবা বলেন, সে আনসারী বলল, আমি তাকে আমার ঘাড়ে তুলে নিয়ে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলাম। আর সুলাইমান রহ. হাদীসে রয়েছে যে, তার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। তখন সে তার নাম মুহাম্মদ রাখার ইচ্ছা করে। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ। কিন্তু আমার কুনীয়াতের অনুরূপ কুনীয়াত রেখ না। আমাকে বণ্টনকারী করা হয়েছে। আমি তোমাদের মাঝে বণ্টন করি। আর হুসাইন রহ. বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি বণ্টনকারী রূপে প্রেরিত হয়েছি। আমি তোমাদের মধ্যে বণ্টন করি। আর আমর রা. জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, সে ব্যক্তি তার সন্তানের নাম কাসিম রাখতে চেয়েছিল, তখন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ, আমার কুনীয়াতের অনুরূপ কুনীয়াত রেখ না।
হাদীস নং ২৮৯৫
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে এক জনের পুত্র সন্তান জন্ম হয়। সে তার নাম রাখল কাসিম। তখন আনসারগণ বললেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনীয়াত ব্যবহার করতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না। সে ব্যক্তি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে। আমি তার নাম রেখেছি কাসিম। তখন আনসারগণ বললেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনীয়াত ব্যবহার করতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আনসারগণ ভালই করেছে। তোমরা আমার নামে নাম রাখ, কিন্তু কিন্তু কুনীয়াত ব্যবহার করো না। কেননা, আমি তো কাসিম (বণ্টনকারী)।
হাদীস নং ২৮৯৬
হিব্বান ইবনে মূসা রহ………মুআবিয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা যার মঙ্গল চান, তাকে দীনের প্রজ্ঞা দান করেন। আল্লাহই দানকারী আর আমি বণ্টনকারী। এ উম্মত সর্বদা তাদের প্রতিপক্ষের উপর বিজয়ী, আল্লাহর আদেশ (কিয়ামত) আসা পর্যন্ত আর তারা থাকবে বিজয়ী।
হাদীস নং ২৮৯৭
মুহাম্মদ ইবনে সিনান রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাদের দানও করি না এবং তোমাদের বঞ্চিত করি না। আমি তো কেবল বণ্টনকারী, যেভাবে আদিষ্ট হই, সেভাবে ব্যয় করি।
হাদীস নং ২৮৯৮
আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ রহ……….খাওলাহ আনসারীয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, কিছু লোক আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদ অন্যায়ভাবে ব্যয় করে, কিয়ামতের দিন তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত।
হাদীস নং ২৮৯৯
মুসাদ্দাদ রহ………..উরওয়া আল-বারেকী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঘোড়ার কপালের উপরিভাগের কেশগুচ্ছে বাঁধা রয়েছে কল্যাণ, সাওয়াব ও গনীমত কিয়ামত পর্যন্ত।
হাদীস নং ২৯০০
আবুল ইয়ামান রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কিসরা ধ্বংস হয়ে যাবে, তারপরে আর কোন কিসরা হবে না। আর যখন কায়সার ধ্বংস হয়ে যাবে, তারপর আর কোন কায়সার হবে না। যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, তোমরা অবশ্যই ব্যয় করবে উভয় সম্রাজ্যের ধন ভাণ্ডার আল্লাহর পথে।
হাদীস নং ২৯০১
ইসহাক রহ……….জাবির ইবনে সামুরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কিসরা ধ্বংস হয়ে যাবে তারপর আর কোন কিসরা হবে না। আর যখন কায়সার ধ্বংস হয়ে যাবে, তারপর আর কোন কায়সার হবে না। যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, তোমরা অবশ্যই ব্যয় করবে উভয় সম্রাজ্যের ধন ভাণ্ডার আল্লাহর পথে।