ইবরাহীম ইবনে মুনযির রহ………..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত তখন আদায় করতেন, যখন সূর্যের আলো তার আঙ্গিনা থেকে বেরিয়ে যায়নি।
হাদীস নং ২৮৮৫
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ………আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিতে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় তিনি আয়িশা রা.-এর ঘরের দিকে ইঙ্গিত করে তিনবার বললেন, এ দিক থেকেই ফিতনা, যে দিক থেকে সূর্য উদয়ের সময় শয়তান দাঁড়িয়ে থাকে।
হাদীস নং ২৮৮৬
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………..আমরা বিনতে আবদুর রাহমান রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়িশা রা. বর্ণনা করেন যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা তাঁর নিকট ছিলেন। তখন আয়িশা রা. আওয়াজ শুনতে পেলেন যে, জনৈক ব্যক্তি হাফসা রা.-এর ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ ব্যক্তি আপনার ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাচ্ছে। তখন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার মনে হয়, সে অমুক, হাফসা রা.-এর দুধ চাচা। (নবীজী বললেন) দুধপান তা-ই হারাম করে, যা জন্মগত সম্পর্কের কারণে হারাম হয়।
হাদীস নং ২৮৮৭
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী রহ……….আনাস রা. থেকে বর্ণিত, যখন আবু বকর রা. খলীফা হন, তখন তিনি তাকে বাহরাইনে প্রেরণ করেন এবং তাঁর এ বিষয়ে একটি নিয়োগপত্র লিখে দেন। আর তাতে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুহর দ্বারা মোহরাঙ্কিত করে দেন। উক্ত মোহরে তিনটি লাইন খোদিত ছিল। এক লাইনে মুহাম্মদ, এক লাইনে রাসূল ও এক লাইনে আল্লাহ।
হাদীস নং ২৮৮৮
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ……..ঈসা ইবনে তাহমান রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনাস রা. দুটি পশম বিহীন পুরাতন চপ্পল বের করলেন, যাতে দুটি ফিতা লাগানো ছিল। সাবিত বুনানী রহ. পরে আনাস রা. থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, এ দুটি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাদুকা (মুবারক) ছিল।
হাদীস নং ২৮৮৯
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ……..আবু বুরদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আয়িশা রা. একটি মোটা তালী বিশিষ্ট কম্বল বের করলেন আর বললেন, এ কম্বল জড়ানো অবস্থায়ই রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর ওফাত হয়েছে। আর সুলাইমান রহ. হুমাইদ রহ. সূত্রে আবু বুরদা রা. থেকে বাড়িয়ে বর্ণনা করেছেন যে, আয়িশা রা. ইয়ামানে তৈরী একটি মোটা তহবন্দ এবং কম্বল যাকে তোমরা জোড়া লাগানো বলে থাক, আমাদের কাছে বের করেন।
হাদীস নং ২৮৯০
আবদান রহ……….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেয়ালা ভেঙ্গে যায়। তখন তিনি ভাঙ্গার স্থানে রূপার পাত দিয়ে জোড়া লাগালেন। আসিম রহ. বলেন, আমি সে পেয়ালাটা দেখেছি এবং তাঁতে আমি পান করেছি।
হাদীস নং ২৮৯১
সাঈদ ইবনে মুহাম্মদ জারমী রহ…………আলী ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, যখন তাঁরা ইয়াযীদ ইবনে মুআবিয়ার নিকট থেকে হুসাইন রা.-এর শাহাদাতের পর মদীনায় আসলেন, তখন তাঁর সঙ্গে মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রা. মিলিত হলেন এবং বললেন, আপনার কি আমার কাছে কোন প্রয়োজন আছে? তবে তা বলুন। তখন আমি তাকে বললাম, না। তখন মিসওয়ার রা. বললেন, আপনি কি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারীটি দিবেন? আমার আশংকা হয়, লোকেরা আপনাকে কাবু করে তা ছিনিয়ে নিবে। আল্লাহর কসম! আপনি যদি আমাকে এটি দেন, তবে আমার জীবন থাকা পর্যন্ত কেউ আমার নিকট থেকে তা নিতে পারবে না। একবার আলী ইবনে আবু তালিব রা ফাতিমা রা. থাকা অবস্থায় আবু জাহেল কন্যাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। আমি তখন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর মিম্বারে দাঁড়িয়ে লোকদের এ খুতবা দিতে শুনেছি, আর তখন আমি সাবালক। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উক্ত ভাষণে) বললেন, ফাতিমা আমার থেকে (অতি আদরের)। আমি আশংকা করছি সে দীনের ব্যাপারে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে পড়ে। তারপর রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানু আবদে শামস গোত্রের এক জামাতার প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি তাঁর জামাতা সম্পর্কে প্রশংসা করেন এবং বলেন, সে আমার সঙ্গে যা বলেছে, তা সত্য বলেছে, আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছে, তা পূরণ করেছে। আমি হালালকে হারামকারী নই এবং হারামকে হালালকারী নই। কিন্তু আল্লাহর কসম! আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর শত্রুর কন্যা একত্রিত হতে পারে না।
হাদীস নং ২৮৯২
কুতাইবা রহ…………ইবনে হানাফিয়্যা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন ,আলী রা. যাদি উসমান রা.-এর সমালোচনা করতেন, তবে সেদিনই করতেন, যেদিন তাঁর নিকট কিছু লোক এসে উসমান রা. কর্তৃক নিযুক্ত যাকাত উসূলকারী কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল। আলী রা. আমাকে জানিয়েছেন, উসমান রা.-এর নিকট যাও এবং তাকে সংবাদ দাও যে, এটি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফরমান। কাজেই আপনার কর্মচারীদের কাজ করার আদেশ দিন। তারা যেন সে অনুসারে কাজ করে। তা নিয়ে আমি তাঁর কাছে গেলাম। তখন তিনি বললেন, আমার এটির দরকার নেই । তারপর আমি তা নিয়ে আলী রা.-এর নিকট ফিরে এসে তাকে এ সম্পর্কে অবহিত করি। তখন তিনি বললেন, এটি যেখান থেকে নিয়েছ সেখানে রেখে দাও। হুমাইদী রহ……….ইবনে হানাফিয়্যাহ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা আমাকে বলেন, আমাকে পাঠিয়ে বলেন, এ ফরমানটি নাও এটি উসমান রা.-এর নিয়ে যাও, এতে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদকা (যাকাত) সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছেন।