হাদীস নং ২৫৩২
মুসাদ্দাদ রহ………জারীর ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বায়আত গ্রহণ করেছি, সালাত কায়েম করার, যাকাত প্রদান করার এবং প্রত্যেক মুসলিমের জন্য কল্যাণ কামনা করার ব্যাপারে।
হাদীস নং ২৫৩৩
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ তাবীর করার পর খেজুর গাছ বিক্রি করলে বিক্রেতা তার ফল পাবে, অবশ্য ক্রেতা শর্তারোপ করলে ভিন্ন কথা অর্থাৎ সে পাবে।
হাদীস নং ২৫৩৪
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বারীরা রা. একবার তাঁর কাছে এসে তার চুক্তি পত্রের ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করল, তখন পর্যন্ত সে চুক্তির অর্থ কিছুই আদায় করেনি। আয়িশা রা. তাকে বললেন, তুমি তোমার মালিকের কাছে ফিরে যাও। তারা যদি ইহা পছন্দ করে যে, আমি তোমার পক্ষ থেকে তোমার চুক্তিপত্রের প্রাপ্য পরিশোধ করে দিব, আর তোমার ওয়ালা আমার জন্য থাকবে, তাহলে আমি তাই করব। বারীরা রা. তার মালিককে সে কথা জানালে তারা অস্বীকার করল এবং বলল, তিনি যদি তোমাকে দিয়ে সাওয়াব হাসিল করতে চান তবে করুন, তোমার ওয়ালা কিন্তু আমাদেরই থাকবে। আয়িশা রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সে কথা জানালে তিনি তাকে বললেন, তুমি তাকে খরিদ কর এবং আযাদ করে দাও। ওয়ালা সেই পাবে যে আযাদ করবে।
হাদীস নং ২৫৩৫
আবু নুআইম রহ………জাবির রা. থেকে বর্ণিত যে, তিনি তাঁর এক উটের উপর সওয়ার হয়ে ভ্রমণ করছিলেন, সেটি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং উটটাকে (চলার জন্য) আঘাত করে সেটির জন্য দুআ করলেন। ফলে উটটি এত দ্রুত অতিক্রম লাগল যে, কখনো তেমন দ্রুত চলেনি। তারপর তিনি বললেন, এক উকিয়ার বিনিময়ে এটি আমার কাছে বিক্রি কর। আমি বললাম, না। তিনি বললেন, এটি আমার জন্য এক উকিয়ার বিনিময়ে বিক্রি কর। তখন আমি সেটি বিক্রি করলাম। কিন্তু আমার স্বজনের কাছে পৌঁছা পর্যন্ত সওয়ার হওয়ার অধিকার রেখে দিলাম। তারপর উট নিয়ে আমি তাঁর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে এর নগদ মূল্য দিলেন। তারপর আমি চলে গেলাম। তখন আমার পেছনে লোক পাঠালেন। পরে বললেন, তোমার উট নেওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না। তোমার এ উট তুমি নিয়ে যাও এটি তোমারই মাল। শুবা রহ. জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটটির পেছনে মদীনা পর্যন্ত আমাকে সওয়ার হতে দিলেন। ইসহাক রহ. জারীর রহ. সূত্রে মুগীরা রহ. থেকে বর্ণনা করেন, আমি সেটি এ শর্তে বিক্রি করলাম যে, মদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত তার পিঠে সওয়ার হওয়ার অধিকার আমার থাকবে। আতা রহ .প্রমুখ বলেন, মদীনা পর্যন্ত তোমার তাঁতে সওয়ার হওয়ার অধিকার থাকবে। ইবনে মুনকাদির রহ. জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মদীনা পর্যন্ত এর পিঠে সওয়ার হওয়ার শর্ত করেছেন। যায়েদ ইবনে আসলাম রহ. জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, তোমার প্রত্যাবর্তন করা পর্যন্ত এর পিঠে সওয়ার হতে পারবে। আবু যুবাইর রহ. জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, তোমাকে মদীনা পর্যন্ত এর পিঠে সওয়ার হতে দিলাম। আমাশ রহ .সালিম রহ. সূত্রে জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেন, এর উপর সওয়ার হয়ে তুমি পরিজনের কাছে পৌঁছবে। উবাইদুল্লাহ ও ইবনে ইসহাক রহ. ওয়াহাব রহ. সূত্রে জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক উকিয়ার বিনিময়ে সেটি খরিদ করেছিলেন। তবে শাবী রহ. কর্তৃক বর্ণিত, এক উকিয়াই অধিক বর্ণিত। আবু আবদুল্লাহ রহ. বলেন, (রিওয়ায়াতে বিভিন্ন রকমের হলেও) শর্তারোপ কৃত রিওয়ায়েতই অধিক সূত্রে বর্ণিত এবং আমার মতে এটাই অধিক সহীহ।
হাদীস নং ২৫৩৬
আবুল ইয়ামান রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনসারগণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, আমাদের ও আমাদের (মুহাজির) ভাইদের মাঝে খেজুর গাছ ভাগ করে দিন। তিনি বললেন, না। তখন তাঁর বললেন, তোমরা আমাদের শ্রমে সাহায্য করবে আর তোমাদের আমরা ফলের অংশ দিব । তারা (মুহাজিরগণ) বললেন, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম।
হাদীস নং ২৫৩৭
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ………আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার (এর-ভূমি) ইয়াহুদীদেরকে দিলেন এ শর্তে যে, তারা তাঁতে কাজ করবে এবং তাঁতে ফসল ফলাবে, তাঁতে যা উৎপন্ন হবে তারা অর্ধেক পাবে।
হাদীস নং ২৫৩৮
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….উকবা ইবনে আমির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : শর্তাবলীর মধ্যে যা পূরণ করার অধিক দাবী রাখে তা হল সেই শর্ত যার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের হালাল করেছ।
হাদীস নং ২৫৩৯
মালিক ইবনে ইসমাঈল রহ……..রাফি ইবনে খাদিজ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনসারদের মধ্যে আমরা অধিক শষ্য ক্ষেতের মালিক ছিলাম। তাই আমরা ক্ষেত বর্গা দিতাম। কখনো এ অংশে ফসল হত, আর ঐ অংশে ফসল হত না। তখন আমাদের তা করতে নিষেধ করে দেওয়া হল। কিন্তু অর্থের বিনিমিয়ে চাষ করতে দিতে নিষেধ করা হয়নি।