হাদীস নং ২৭৮৬
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন উঁচুস্থানে আরোহণ করতাম, তখন আল্লাহু আকবার বলতাম আর যখন কোন উপত্যকায় অবতরণ করতাম, তখন সুবহানাল্লাহ বলতাম।
হাদীস নং ২৭৮৭
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হজ্জ কিংবা উমরা থেকে প্রত্যাবর্তন করতেন, বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, নাকি এরূপ বলেছেন যে, যখন জিহাদ থেকে প্রত্যাবর্তন করতেন, তখন তিনি ঘাঁটি অথবা প্রস্তরময় ভূমিতে পৌঁছে তিনবার আল্লাহু আকবার বলতেন। তারপর এ দু’আ পাঠ করতেন, “আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই; তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, কর্তৃত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা তাঁরই; তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। আমরা সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকারী, গুনাহ থেকে তাওবাকারী, ইবাদত পালনকারী, সিজদাকারী, আমাদের প্রতিপালকের প্রশংসাকারী। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন, কাফির সৈন্যদলকে তিনি একাই পরাভূত করেছেন”। সালেহ রহ. বলেন, আমি তাকে বললাম, আবদুল্লাহ কি ইনশাআল্লাহ বলেননি? তিনি বললেন, না।
হাদীস নং ২৭৮৮
মাতার ইবনে ফাযল রহ……..আবু বুরদা ইবনে আবু মূসা রা. থেকে বর্ণিত যে, তিনি এবং ইয়াযিদ ইবনে আবু কাবশা রা. সফরে ছিলেন। আর ইয়াযিদ রা. মুসাফির অবস্থায় রোযা রাখতেন । আবু বুরদা রা. তাকে বললেন, আমি আবু মূসা (আশআরী) রা.-কে একাধিকবার বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন বান্দা রোগাক্রান্ত হয় কিংবা সফর করে, তখন তার জন্য তা-ই লিখিত হয়, যা সে মুকীম অবস্থায় বা সুস্থ অবস্থায় আমল করত।
হাদীস নং ২৭৮৯
হুমাইদী রহ……….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্দকের যুদ্ধের দিন লোকদেরকে আহবান করেন। যুবাইর রা. সে আহবানে সাড়া দিলেন, পুনরায় তিনি লোকদের আহবান করলেন, আবারও যুবাইর রা. সে আহবানে সাড়া দিলেন। পুনরায় তিনি লোকদের আহবান করলেন, এবারও যুবাইর রা. সে আহবানে সাড়া দিলেন। এরূপ তিনবার বললেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেক নবীর জন্য একজন বিশেষ মদদগার থাকে আর বিশেষ মদদগার হচ্ছে যুবাইর। সুফিয়ান রহ. বলেন, হাওয়ারী সাহায্যকারীকে বলা হয়।
হাদীস নং ২৭৯০
আবুল ওয়ালীদ ও আবু নুআইম রহ………..ইবনে উমর রা. সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি লোকেরা একা সফর করতে কি অনিষ্ট রয়েছে তা জানত, যা আমি জানি, তবে কোন আরোহী রাতে একাকী ভ্রমণ করত না।
হাদীস নং ২৭৯১
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ………হিশাম রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, উসামা ইবনে যায়েদ রা.-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিরূপ গতিতে পথ চলেছিলেন। রাবী ইয়াহয়া রহ. বলতেন, উরওয়া রহ. বলেন, আমি শুনতে ছিলাম, তবে আমার বর্ণনায় তা বাদ পড়েছে। উসামা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহজ দ্রুতগতিতে চলতেন আর যখন প্রশস্ত খালি জায়গা পেতেন, তখন দ্রুত চলতেন। নাস হচ্ছে সহজ গতির চাইতে দ্রুত গতিতে চলা।
হাদীস নং ২৭৯২
সাঈদ ইবনে আবু মারয়াম রহ………আসলাম রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মক্কার পথে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-এর সঙ্গে ছিলাম। পথে তাঁর নিকট সাফিয়্যা বিনতে আবু উবাইদ রা.-এর ভীষণ অসুস্থতার সংবাদ পৌঁছে। তখন তিনি দ্রুতগতিতে চলতে থাকেন। এমনকি যখন সূর্যাস্তের পরে লালিমা অদৃশ্য হয়ে গেল, তখন তিনি উট থেকে অবতরণ করে মাগরিব ও এশার সালাত একত্রে আদায় করেন। আর আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা .বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখেছি, যখন তাঁর দ্রুত চলার প্রয়োজন হত, তখন তিনি মাগরিবকে বিলম্বিত করে মাগরিব ও এশার উভয় সালাত পরপর এক সাথে আদায় করতেন।
হাদীস নং ২৭৯৩
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সফর যেন আযাবের একটি অংশ। যা তোমাদেরকে নিদ্রা, আহার ও পান করা থেকে বিরত রাখে। কাজেই তোমাদের কেই যখন সফরে নিজ কাজ সম্পন্ন করে ফেলে, সে যেন তারপর নিজ পরিবার পরিজনের কাছে দ্রুত চলে আসে।
হাদীস নং ২৭৯৪
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, উমর ইবনে খাত্তাব রা. আল্লাহর রাহে আরোহণের জন্য একটি ঘোড়া দান করেন। তারপর তিনি সে ঘোড়াটিকে বিক্রি হতে দেখতে পান। তিনি তা ক্রয় করে নিতে ইচ্ছা করলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তা ক্রয় কর না এবং তোমার দেওয়া সাদকা ফেরত নিও না।
হাদীস নং ২৭৯৫
ইসমাঈল রহ…………উমর ইবনে খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাহে একটি ঘোড়া দান করি। সে তা বিক্রি করতে চেয়েছিল কিংবা যার নিকট সেটা সে তাকে বিনষ্ট করার উপক্রম করেছিল। আমি ঘোড়াটি ক্রয় করতে ইচ্ছা করলাম। আর আমি ধারণা করেছিলাম যে, সে তাকে সস্তায় বিক্রি করে দিবে। আমি এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, তুমি তা ক্রয় কর না, যদিও তা একটি মাত্র দিরহামের বিনিময়ে হয়। কেননা সাদকা দান করত ফেরত গ্রহণকারী এমন কুকুরের তুল্য, যে বমি করে পুনরায় তা খায়।