হাদীস নং ২৭৭৭
আবদুল্লাহ রহ…………আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর সিদ্দীক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা রা. কে আমার পেছনে বসিয়ে তানয়ীম থেকে উমরার ইহরাম করিয়ে আনতে আমাকে আদেশ দিয়েছিলেন।
হাদীস নং ২৭৭৮
কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ……….আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু তালহা রা.-এর পেছনে একই সাওয়ারীতে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন লোকেরা হজ্জ ও উমরা পালনার্থে লাব্বাইক ধ্বনি উচ্চারণ করছিল।
হাদীস নং ২৭৭৯
কুতাইবা রহ……….উসামা ইবনে যায়েদ রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাধার পিঠে পালান লাগিয়ে তার উপর চাদর বিছিয়ে তাঁতে আরোহণ করেন। আর উসামা-রা.কে তাঁর পেছনে বসালেন।
হাদীস নং ২৭৮০
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ……….আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন আপন সাওয়ারীর পিঠে নিজের পেছনে উসামা ইবনে যায়েদ রা.-কে বসিয়ে মক্কার উচু ভূমির দিক থেকে আগমন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিলাল রা. এবং চাবি সংরক্ষক উসমান ইবনে তালহা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের পার্শ্বে উটটিকে বসালেন। তারপর উসমান রা.-কে কাবা গৃহের চাবি নিয়ে আসতে আদেশ করলেন। কাবার (দ্বার) খুলে হল এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভিতরে প্রবেশ করলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উসামা, বিলাল ও উসমান রা.। দিনের দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করলেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন। এ সময়ে লোকেরা প্রবেশ করার জন্য দৌঁড়িয়ে আসল। সকলের আগে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. ভিতরে প্রবেশ করলেন এবং বিলাল রা.-কে দরজার পেছনে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেলেন। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন স্থানে সালাত আদায় করেছিলেন? আবদুল্লাহ রা. বলেন, আমি তাকে একথা জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গিয়েছিলাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত রাকআত সালাত আদায় করেছিলেন?
হাদীস নং ২৭৮১
ইসহাক রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, প্রত্যেক দিন যাতে সূর্য উদিত হয়, তাঁতে মানুষের দেহের প্রতিটি জোড়া হতে একটি মানুষের প্রত্যেক জোড়ার প্রতি সদকা রয়েছে। প্রতি দিন যাতে সূর্য উদিত হয়। দুজন লোকের মধ্যে সুবিচার করাও সাদকা। কাউকে সাহায্য করে সাওয়ারীতে আরোহণ করিয়ে দেওয়া বা তার উপর তার মালপত্র তুলে দেওয়াও সাদকা। ভাল কথাও সাদকা। সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে পথে চলায় প্রতিটি কদমেও সাদকা। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করাও সাদকা।
হাদীস নং ২৭৮২
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন সঙ্গে নিয়ে শত্রুর ভূখণ্ডে সফর করতে নিষেধ করেছেন।
হাদীস নং ২৭৮৩
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ………..আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতি প্রত্যুষে খায়বার প্রান্তরে প্রবেশ করেন। সে সময় ইয়াহুদীগণ কাঁধে কোদাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। তারা যখন তাকে দেখতে পেল, তখন বলতে লাগল, মুহাম্মদ সেনাদল সহ আগমন করেছে, মুহাম্মদ সেনাদল সহ আগমন করেছে। ফলে তারা দুর্গে ঢুকে পড়ল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উভয় হাত তুলে বললেন, আল্লাহু আকবার, খায়বার ধ্বংস হোক। আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের অঞ্চলে অবতরণ করি, তখন ভয় প্রদর্শিতদের সকাল মন্দ হয় এবং আমরা সেখানে কিছু গাধা পেয়ে গেলাম। তারপর আমরা এগুলোর (গোশত) রান্না করলাম। এর মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পক্ষ হতে ঘোষণা দানকারী ঘোষণা দিল, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদেরকে গাধার গোশত (আহার করা) হতে নিষেধ করেছেন। (এতদশ্রবণে) ডেকগুলো উল্টিয়ে দেওয়া হল তাঁতে যা ছিল তা সহ। আলী রা. সুফিয়ান রা. সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দু’হাত উপরে উঠান বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ.-এর অনুসরণ করেছেন।
হাদীস নং ২৭৮৪
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ……….আবু মূসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা যখন কোন উপত্যকায় আরোহণ করতাম, তখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এবং আকবার বলতাম। আর আমাদের আওয়াজ অতি উচু হয়ে যেত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বললেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের উপর রহম কর। কেননা, তোমরা তো বধির বা দূরবর্তী সত্তাকে ডাকছ না। বরং তিনি তো তোমাদের সঙ্গেই আছেন, তিনি তো শ্রবণকারী ও নিকটবর্তী।
হাদীস নং ২৭৮৫
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ………জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন কোন উচু স্থানে আরোহণ করতাম, তখন আল্লাহু আকবার বলতাম আর যখন কোন উপত্যকায় অবতরণ করতাম, তখন সুবহানাল্লাহ বলতাম।