হাদীস নং ২৭৬৮
মুহাম্মদ ইবনে আলা রহ………..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি যুবাইর রা.কে বলেছিলেন, এখানেই কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে পতাকা পুঁতে রাখতে আদেশ করেছিলেন?
হাদীস নং ২৭৬৯
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অল্প শব্দে ব্যাপক অর্থবোধক বাক্য বলার শক্তি সহ আমি প্রেরিত হয়েছি এবং শত্রুর মনে ভীতির সঞ্চারের মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। একবার আমি নিদ্রায় ছিলাম, এমতাবস্থায় পৃথিবীর ধনভাণ্ডার সমূহের চাবি আমার হাতে অর্পণ করা হয়। আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো চলে গেছেন আর তোমরা তা বের করছ।
হাদীস নং ২৭৭০
আবুল ইয়ামান রহ………..ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তাকে আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, (রোম সম্রাট) হিরাকল আমাকে ডেকে পাঠান। তখন তিনি ইলিয়া (বর্তমান ফিলিস্তিন) নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন। তারপর সম্রাট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পত্রখানি আনতে আদেশ করেন, যখন পত্র পাঠ সমাপ্ত হল, তখন বেশ হৈ চৈ ও শোরগোল পড়ে গেল। এরপর আমাদেরকে (দরবার হতে) বাইরে নিয়ে আসা হল। তখন আমি আমার সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে করে বললাম, যখন আমরা বহিষ্কৃত হচ্ছিলাম, আবু কাবশার পুত্রের বিষয়ের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেল। রোমের বাদশাও তাকে ভয় করে।
হাদীস নং ২৭৭১
উবাইদ ইবনে ইসমাঈল রহ……….আসমা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু বকর রা.-এর গৃহে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাথেয় গুছিয়ে দিয়েছিলাম, যখন তিনি মদীনায় হিজরত করার সংকল্প করেছিলেন। আসমা রা. বলেন, আমি তখন মালপত্র কিংবা পানির মশক বাঁধার জন্য কিছুই পাচ্ছিলাম না। তখন আবু বকর রা.-কে বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি আমার কোমর বন্ধনী ব্যতীত বাঁধার কিছুই পাচ্ছি না। আবু বকর রা. বললেন, একে দ্বিখণ্ডিত কর। এক খণ্ড দ্বারা মশক এবং অপর খণ্ড দ্বারা মালপত্র বেধে দাও। আমি তাই করলাম। এজন্যই আমাকে বলা হত দু’ কোমর বন্ধনীর অধিকারিণী।
হাদীস নং ২৭৭২
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ……….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগের কুরবানীর গোশত মদীনা পর্যন্ত পাথেয় রূপে গ্রহণ করতাম।
হাদীস নং ২৭৭৩
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ……….সুয়াইদ ইবনে নুমান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, খায়বার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে তিনি জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা যখন খায়বারের উপকণ্ঠে অবস্থিত খাবার নিয়ে আসতে বললেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যবের ছাতু ব্যতীত কিছুই উপস্থিত করা হয়নি। আমরা তা পানির সাথে মিশিয়ে আহার করলাম ও পান করলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে দাঁড়ালেন এবং কুলি করলেন, আমরাও কুলি করলাম ও সালাত আদায় করলাম।
হাদীস নং ২৭৭৪
বিশর ইবনে মারহুম রহ………..সালাম (ইবনে আকওয়া) রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে লোকদের পাথেয় কমে যায় এবং তারা অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তখন তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাজির হয়ে তাদের উট যবেহ করার অনুমতি চাইলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে অনুমতি দিলেন। সে সময় উমর রা.-এর সাথে তাদের সাক্ষাত হল। তারা তাকে বিষয়টি অবহিত করল। তিনি বললেন, উট যবেহ করে তারপর তোমরা কিরূপে টিকে থাকবে? উমর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ সকল লোক উট যবেহ করে খেয়ে ফেলার পর কিরূপে বাঁচবে? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিজ নিজ অবশিষ্ট পাথেয় নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাদের মধ্যে ঘোষণা দাও। তারপর রাসুলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খবারের জন্য বরকতের দু’আ করলেন। তারপর তাদেরকে নিজ নিজ পাত্র নিয়ে উপস্থিত হতে আদেশ করলেন। তারা তাদের পাত্র ভরে নিতে লাগল অবশেষে সকলই নিয়ে নিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আর আমি আল্লাহর রাসূল।
হাদীস নং ২৭৭৫
সাদকা ইবনে ফাযল রহ………..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা এক জিহাদে বের হলাম এবং আমরা সংখ্যায় তিনশত ছিলাম। প্রত্যেকে নিজ নিজ পাথেয় নিজেদের কাঁধে বহন করছিলাম। পথে আমাদের পাথেয় নিঃশেষ হয়ে গেল। এমনকি আমরা দৈনিক একটি মাত্র খেজুর খেতে থাকলাম। এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, হে আবু আবদুল্লাহ ! একটি মাত্র খেজুর একজন লোকের কি করে যথেষ্ট হত? তিনি বললেন, যখন আমরা তাও হারালাম তখন এর হারানোটা অনুভব করলাম। অবশেষে আমরা সমুদ্র তীরে এসে উপস্থিত হলাম। হঠাৎ সমুদ্র একটি বিরাট মাছ তীরে নিক্ষেপ করল। আমরা সে মাছটি তৃপ্তি সহকারে আঠার দিন পর্যন্ত খেলাম।
হাদীস নং ২৭৭৬
আমর ইবনে আলী রহ……….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সাহাবীগণ তো হজ্জ ও উমরার সাওয়াব নিয়ে প্রত্যাবর্তন করছেন, আর আমি তো হজ্জ থেকে অতিরিক্ত কিছুই করতে পারলাম না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি যাও, আবদুর রাহমান তোমাকে তার পেছনে সাওয়ারীতে বসিয়ে নিবে। তিনি আবদুর রাহমানকে আদেশ করলেন, তাকে তানয়ীম থেকে উমরার ইহরাম করিয়ে আনতে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় উচু ভূমিতে তাঁর জন্য অপেক্ষায় থাকলেন।