হাদীস নং ২৬৫০
সাদকা রহ……….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের আহবান জানালেন। সাদাকা রহ. বলেন, আমার মনে হয় এটি খন্দকের যুদ্ধের সময়ের ঘটনা। যুবাইর রা. তার আহবানে সাড়া দিলেন। তিনি আবার লোকদের আহবান করলেন, এবারও কেবল যুবাইর রা. সাড়া দিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেক নবীরই সাহায্যকারী থাকে আর আমার সাহায্যকারী যুবাইর ইবনে আওয়াম রা.।
হাদীস নং ২৬৫১
আহমদ ইবনে ইউনুস রহ……….মালিক ইবনে হুয়ায়রিস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম –এর কাছ থেকে ফিরে এলাম। তিনি আমাকে ও আমার একজন সঙ্গীকে বললেন, তোমরা আযান দিবে ও ইকামত দিব এবং তোমাদের মধ্যে যে বয়সে বড় সে ইমামতি করবে।
হাদীস নং ২৬৫২
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঘোড়ার কপালের কেশ গুচ্ছে কল্যাণ রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত।
হাদীস নং ২৬৫৩
হাফস ইবনে উমর রহ………উরওয়া ইবসে জাদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঘোড়ার ক লের কেশগুচ্ছে কিয়ামত পর্যন্ত কল্যাণ রয়েছে। সুলাইমান রহ. শুবা রহ. সূত্রে উরওয়া ইবনে আবুল জাদ রহ. থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদীস বর্ণনায় সুলাইমান রহ. এর অনুসরণ করেছেন মুসাদ্দাদ রহ……উরওয়া ইবনে আবুল জাদ থেকে।
হাদীস নং ২৬৫৪
মুসাদ্দাদ রহ……..আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেরন ঘোড়ার কপালের কেশগুচ্ছে বরকত রয়েছেন।
হাদীস নং ২৬৫৫
আবু নুআইম রহ………উরওয়া বারিকী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঘোড়ার কপালের কেশগুচ্ছে কল্যাণ রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত। অর্থাৎ (আখিরাতের) পুরস্কার এবং গনীমতের মাল।
হাদীস নং ২৬৫৬
আলী ইবনে হাফস রহ…….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ঈমান তাঁর যত প্রতিশ্রুতির বিশ্বাস রাখে আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য ঘোড়া প্রস্তুত রাখে কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির পাল্লায় ঘোড়ার খাদ্য, পানীয়, গোবর ও পেশাব ওজন করা হবে।
হাদীস নং ২৬৫৭
মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর রহ………আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বের হন। কিন্তু তিনি কয়েকজন সঙ্গী সহ পেছনে পড়ে গেলেন। আবু কাতাদা রা. ব্যতীত তার সঙ্গীরা সকলেই ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। আবু কাতাদা রা. দেখার পূর্বে তার সঙ্গীর একটি বন্য গাধা দেখতে পান এবং তাকে চলে যেতে দেন; আবু কাতাদা রা. গাধাটি দেখা মাত্রই জারাদা নামক তার ঘোড়ার পিঠে আরোহণ করেন এবং ঘোড়ার চাবুকটি তুলে নেন এবং গাধাটি শিকার করে সঙ্গীদের নিয়ে এর গোশত আহার করেন। এতে তারা লজ্জিত হন। তারপর তারা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌঁছলেন তখন তিনি বলেন, গাধাটির কোন অংশ তোমাদের কাছে অবশিষ্ট আছে কি? তারা বললেন, আমাদের সাথে একটি পায়া আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিয়ে আহার করলেন।
হাদীস নং ২৬৫৮
আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে জাফর রহ………সাহল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের বাগানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি ঘোড়া থাকত, যাকে লুহাইফ বলা হত। আর কেউ কেউ বলেছেন লুখাইফ খা আমর দিয়ে।
হাদীস নং ২৬৫৯
ইসহাক ইবনে ইবরাহীম রহ……….মুআয রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উফারই নামক একটি গাধার পিঠে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে আরোহী ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, হে মুআয, তুমি কি জান বান্দার উপর আল্লাহর হক কি? এবং আল্লাহর উপর বান্দার হক কি? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক হল, বান্দা তাঁর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক হল, তাঁর ইবাদতে কাউকে শরীক না করলে আল্লাহ তাকে শাস্তি দিবেন না। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমি কি লোকদের এ সুসংবাদ দিব না? তিনি বললেন, তুমি তাদের সুসংবাদটি দিও না, তাহলে লোকেরা (এর উপর) নির্ভর করবে।
হাদীস নং ২৬৬০
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত যে, এক সময় মদীনায় ভীতি ছড়িয়ে পড়লে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মানদূব নামক ঘোড়াটি চেয়ে নিলেন। পরে তিনি বললেন, ভীতির কোন কারণ তো আমি দেখতে পেলাম না। আমি ঘোড়াটিকে সমুদ সেচাতের ন্যায় পেয়েছি।
হাদীস নং ২৬৬১
আবুল ইয়ামান রহ……..আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, তিনটি জিনিসে অকল্যাণ রয়েছে : ঘোড়া, নারী ও বাড়ীতে।
হাদীস নং ২৬৬২
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ………সাহল ইবনে সাদ সাঈদী রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি কোন কিছুতে অকল্যাণ থাকে, তবে তা নারী, ঘোড়া ও বাড়ীতে।