হাদীস নং ২৬৪৩
ইসহাক ইবনে নাসর রহ………আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় এক দিনও সিয়াম পালন করে, আল্লাহ তার মুখমণ্ডলকে (তাকে) দোযখের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরে সরিয়ে নেন।
হাদীস নং ২৬৪৪
সাদ ইবনে হাফস রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় দুটি করে কোন জিনিস ব্যয় করবে, জান্নাতের প্রত্যেক দরজার প্রহরী তাকে আহবান করবে। (তারা বলবে) হে অমুক! এদিকে আস। আবু বকর রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তাহলে তো তার জন্য কোন ক্ষতি নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আশা করি যে, তুমি তাদের অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
হাদীস নং ২৬৪৫
মুহাম্মদ ইবনে সিনান রহ……..আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে দাঁড়ালেন এবং বললেন, আমি আমার পর তোমাদের জন্য ভয় করি এবং এ ব্যাপারে যে, তোমাদের জন্য দুনিয়ার কল্যাণের দরজা খুলে দেয়া হবে। তারপর তিনি দুনিয়ার নিয়ামতের উল্লেখ করেন এতে তিনি প্রথমে একটির কথঅ বলেন, পরে দ্বিতীয়টির বর্ণনা করেন। এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! কল্যাণও কি অকল্যাণ বয়ে আনবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব রইলেন, আমরা বললাম তাঁর উপর ওহী নাযিল হচ্ছে। সম¯ত লোকও এমনভাবে নীরবতা অবলম্বন করল, যেন তাদের মাথঅর উপর পাখী বসে আছে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখের ঘাম মুছে বললেন, এখনকার সেই প্রশ্নকারী কোথায়? তাকে কল্যাণকর ? তিনি তিনবার এ কথাটি বললেন। কল্যাণ কল্যাণই বনে আনে। কিন্তু যে পশু সেই ঘাস এ পরিমাণ খায় যাতে তার ক্ষুধা মিটে তারপর রোদ পোহায় এবং মলমূত্র ত্যাগ করে, এরপর আবার ঘাস খায়। নিশ্চয়ই এ মাল সবুজ শ্যামল সুস্বাদু। সেই মুসলিমের সম্পদই উত্তম যে ন্যায়ত তা উপার্জন করেছে এবং আল্লাহর পথে, ইয়াতীম ও মিসকীন ও মুসাফির জন্য খরচ করেছে। আর যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে অর্জন করে তার দৃষ্টান্ত এমন ভক্ষণ কারীর ন্যায় যার ক্ষুধা মিটে না এবং তা কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।
হাদীস নং ২৬৪৬
আবু মামার রহ………যায়েদ ইবনে খালিদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ কারীর আসবাবপত্র সরবরাহ করে সে যেন জিহাদ করল। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে কোন জিহাদ কারীর পরিবার-পরিজনকে উত্তমরূপে দেখাশোনা করে, সেও যেন জিহাদ করল।
হাদীস নং ২৬৪৭
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……….আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় উম্মে সুলাইম ব্যতীত কারো ঘরে যাতায়াত করতেন না কিন্ত তার সহধর্মিণীদের কথা ভিন্ন । এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, উম্মে সুলাইম ভাই আমার সাথে জিহাদে শরীক হয়ে সে শহীদ হয়েছে, তাই আমি তার প্রতি সহানুভূতি জানাই।
হাদীস নং ২৬৪৮
আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল ওয়াহহাব রহ………মূসা ইবনে আনাস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি ইয়ামামার যুদ্ধ সম্পর্কে বলেন, তিনি সাবিত ইবনে কায়সের নিকট গিয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি তার উভয় উরু থেকে কাপড় সরিয়ে সুগন্ধি ব্যবহার করছেন। আনাস রা. জিজ্ঞাসা করলেন, হে চাচা! যুদ্ধে যাওয়া থেকে আপনাকে কিসে বিরত রাখল? তিনি বললেন, ভাতিজা, এখনই যাব। এরপরও তিনি সুগন্ধি মালিশ করতে লাগলেন। তারপর তিনি বসলেন এবং যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে লোকদের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, তোমরা আমাদের সম্মুখ থেকে সরে পড়। যাতে আমরা শত্রুর সাথে মুখোমুখি লড়তে পারি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আমরা কখনো এরূপ করিনি। কত খারাপ তা যা তোমারা তোমাদের শত্রুদেরকে অভ্যস্ত করেছ। হাম্মাদ রহ. সাবিত রহ. সূত্রে আনাস রা. থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ২৬৪৯
আবু নুআইম রহ……..জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কে আমাকে শত্রু শিবিরের খবরাখবর এনে দিবে? যুবাইর রা. বললেন, আমি আনব। তিনি আবার বললেন, আমাকে শত্রু শিবিরের খবরাখবর কে এনে দিবে? যুবাইর রা. আবারও বললেন, আমি আনব। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেক নবীরই সাহায্যকারী থাকে আর আমার সাহায্যকারী যুবাইর।
শত্রুদের তথ্য সংগ্রহকারী দলের ফযীলত।
২৬৪৯ আবু নুআইম রহ……..জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কে আমাকে শত্রুশিবিরের খবরাখবর এনে দিবে? যুবাইর রা. বললেন, আমি আনব। তিনি আবার বললেন, আমাকে শত্রুশিবিরের খবরাখবর কে এনে দিবে? যুবাইর রা. আবারও বললেন, আমি আনব। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আইলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্রত্যেক নবীরই সাহায্যকারী থাকে আর আমার সাহায্যকারী যুবাইর।