হাদীস নং ২৬৩২
আদম রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনকালে আবু তালহা রা. জিহাদের কারণে সিয়াম পালন করতেন না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তেকালের পর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ব্যতীত তাকে আর কখনো সিয়াম ছেড়ে দিতে দেখিনি।
হাদীস নং ২৬৩৩
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : পাঁচ প্রকার মৃত ব্যক্তি শহীদ : মহামারীতে মৃত ব্যক্তি, পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি, পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি, ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি এবং যে আল্লাহর পথে শহীদ হল, সে ব্যক্তি।
হাদীস নং ২৬৩৪
বিশর ইবনে মুহাম্মদ রহ……….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মহামারীতে মৃত্যু হওয়া প্রত্যেক মুসলিমের জন্য শাহাদত।
হাদীস নং ২৬৩৫
আবুল ওয়ালীদ রহ……..বারা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, لايستوى القاعدون من المؤمنين আয়াতটি নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়েদ রা.-কে ডেকে আনলেন। তিনি কোন জন্তুর একটি চওড়া হাঁড় নিয়ে আসনে এবং তাতে উক্ত আয়াতটি লিখে রাখেন। ইবনে উম্মে মাকতুম জিহাদে অংশ গ্রহণের ব্যাপারে তাঁর অক্ষমতা প্রকাশ করলে لايستوى القاعدون من المؤمنين غير أولى الضرر আয়াতটি নাযিল হয়।
হাদীস নং ২৬৩৬
আবদুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ রহ………..সাহল ইবনে সাদ সাঈদী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আমি মারওয়ান ইবনে হাকামকে মসজিদে বসা অবস্থায় দেখলাম। তারপর আমি তাঁর দিকে এগিয়ে গেলাম এবং তাঁর পাশে গিয়ে বসলাম। তিনি আমাকে বর্ণনা করেন যে, যায়েদ ইবনে সাবিত রা. তাকে জানিয়েছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উপর অবতীর্ণ আয়াত, لا يستوى القاعدون من المؤمنين والمجاهدون في سبيل الله যখন তাকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন, ঠিক সে সময় অন্ধ ইবনে উম্মে মাকতুম রা. সেখানে উপস্থিত হয়ে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমি যদি জিহাদে যেতে সক্ষম হতাম, তবে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতাম। সে সময় আল্লাহ তা’আলা তাঁর রাসূলের উপর ওহী নাযিল করেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উরু আমার উরুর উপর রাখা ছিল এবং তা আমার কাছে এতই ভারী মনে হচ্ছিল যে, আমি আমার উরু ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা করছিলাম। এরপর ওহী অবতীর্ণ হওয়ার অবস্থা কেটে গেল, এ সময় الضرر غير أولى আয়াতটি নাযিল হয়।
হাদীস নং ২৬৩৭
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ………সালিম আবু নাযর রহ. থেকে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা রা. লিখে পাঠালেন, আর আমি এতে পড়লাম যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা তাদের মুখোমুখি হবে তখন ধৈর্যধারণ করবে।
হাদীস নং ২৬৩৮
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ………..আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্দকের দিকে বের হলেন, হীম শীতল সকালে আনসার ও মুহাজিররা পরীখা খনন করছেন, আর তাদের এ কাজ করার জন্য তাদের কোন গোলাম ছিল না। যখন তিনি তাদের দেখতে পেলেন যে, তারা কষ্ট এবং ক্ষুধায় আক্রান্ত, তখন বললেন, হে আল্লাহ ! সুখের জীবন আখিরাতের জীবন। তুমি আনসার ও মুহাজিরদের ক্ষমা করে দাও। প্রত্যুত্তরে তারা বলে উঠেন: আমরা সেই লোক যারা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতে জিহাদের বায়আত গ্রহণ করেছি, যতদিন আমরা বেঁচে আছি।
হাদীস নং ২৬৩৯
আবু মামার রহ……….আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনসার ও মুহাজিরগণ মদীনার পাশে পরীখা খনন করেছিলেন এবং তারা পিঠে করে মাটি বহন করছিলেন। আর তারা এই কবিতা আবৃত্তি করতেছিলেন: আমরা ইসলামের উপর মুহাম্মদের হাতে বায়আত নিয়েছি, ততদিন পর্যন্ত যতদিন আমরা বেঁচে থাকি। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উত্তরে বলেছিলেন: হে আল্লাহ ! আখিরাতের কল্যাণ ছাড়া কোন কল্যাণ নেই। তাই আনসার ও মুহাজিরদের প্রতি বরকত নাযিল করুন।
হাদীস নং ২৬৪০
আবু ওয়ালীদ রহ……….বারা রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাটি উঠাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, যদি আপনি না হতেন তাহলে আমরা হিদায়েত পেতাম না।
হাদীস নং ২৬৪১
হাফস ইবনে উমর রহ……….বারা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আহযাবের দিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি যে, তিনি মাটি বহন করছেন। আর তাঁর পেটের শুভ্রতা মাটি ঢেকে ফেলেছে। সে সময় তিনি আবৃত্তি করছিলেন, (ইয়া আল্লাহ) আপনি না হলে আমরা হিদায়েত পেতাম না; সাদকা দিতাম না এবং সালাত আদায় করতাম না। তাই আমাদের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করুন। যখন আমরা শত্রু সম্মুখীন হই তখন আমাদের পা সুদৃঢ় করুন। ওরা (মুশরিকরা) আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। তারা যখনই কোন ফিতনা সৃষ্টি করতে চায় তখনই আমরা তা থেকে বিরত থাকি।
হাদীস নং ২৬৪২
আহমদ ইবনে ইউনুস ও সুলাইমান ইবনে হারব রহ………আনাস রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক যুদ্ধে ছিলেন, তখন তিনি বললেন, কিছু লোক মদীনায় আমাদের পেছনে রয়েছে। আমরা কোন ঘাটি বা কোন উপত্যকায় চলিনি, কিন্তু তারাও এতে আমাদের সঙ্গে আছে। ওযরই তাদের বাঁধা দিয়েছে। মূসা রহ………আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। আবু আবদুল্লাহ রহ. বলেন, প্রথম সনদটি আমার নিকট অধিক সহীহ।