হাদীস নং ২৬২২
মুহাম্মদ ইবনে বাশ্শার রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : জান্নাতে প্রবেশের পর একমাত্র শহীদ ছাড়া আর কেউ দুনিয়ায় ফিরে আসার আকাঙ্খা পোষণ করবে না, যদিও দুনিয়ার সকল জিনিস তার কাছে বিদ্যমান থাকবে। সে দুনিয়ায় ফিরে আসার আকাঙ্খা করবে যেন দশবার শহীদ হয়। কেননা সে শাহাদাতের মর্যাদা দেখেছে।
হাদীস নং ২৬২৩
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ……..উমর ইবনে উবায়দুল্লাহ রা. এর আযাদকৃত গোলাম তার কাতিব সালিম আবুন নাযর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা রা. তাকে লিখেছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমারা জেনে রাখ, তরবারীর ছায়ায় নীচেই জান্নাত। উয়াইসী রহ. ইবনে আবুয যিনাদ রহ.-এর মাধ্যমে মূসা ইবনে উকবা রহ. থেকে হাদীস বর্ণনায় মুআবিয়া ইবনে আমর রহ. আবু ইসহাক রহ.-এর মাধ্যমে মূসা ইবনে উকবা রহ. থেকে বর্ণিত, হাদীসের অনুসরণ করেছেন।
হাদীস নং ২৬২৪
আহমদ ইবনে আবদুল মালেক রহ………আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বাপেক্ষা সুশ্রী, সাহসী ও দানশীল ছিলেন। মদীনাবাসীগণ একবার ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোড়ায় চড়ে সবার আগে আগে অগ্রসর হয়ে বললেন, আমরা একটি সমুদ্রের ন্যায় দ্রুত-সম্পন্ন পেয়েছি।
হাদীস নং ২৬২৫
আবুল ইয়ামান রহ……….যুবাইর ইবনে মুতঈম রা. থেকে বর্ণিত, হুনাইন থেকে ফেরার পথে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে চলছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরো অনেক সাহাবী ছিলেন। এমন সময় কিছু গ্রাম্য লোক এসে তাকে জড়িয়ে ধরল এবং তাদের কিছু দেওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি শুরু করল। এমনকি তারা তাকে একটি গাছের কাছে নিয়ে গেল এবং তাঁর চাদর আটকে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বললেন, আমার চাদরটি ফিরিয়ে দাও। আমার কাছে যদি এই সব কাঁটাযুক্ত গাছের সমপরিমাণ বকরী থাকত, তাহলে এর সবই তোমাদের ভাগ করে দিতেন। আর তোমরা আমাকে কৃপণ, মিথ্যাবাদী ও কাপুরুষ দেখতে পেতে না।
হাদীস নং ২৬২৬
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……..আমর ইবনে মায়মূন আউদী রহ. থেকে বর্ণিত, শিক্ষক যেমন ছাত্রদের লেখা শিক্ষা দেন, সাদ রা. তেমনি তাঁর সন্তানদের এ বাক্যগুলো শিক্ষা দিতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের পর এগুলো থেকে পানাহ চাইতেন, হে আল্লাহ! আমি ভীরুতা, অতি বার্ধক্য, দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে আপনার নিকট পানাহ চাই। রাবী বলেন, আমি মুসআব রা.-এর নিকট হাদীসটি বর্ণনা করলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন।
হাদীস নং ২৬২৭
মুসাদ্দাদ রহ……….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দু’আ করতেন, হে আল্লাহ! আমি অক্ষমতা, ভীরুতা ও বার্ধক্য থেকে আপনার নিকট পানাহ চাচ্ছি এবং জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং কবরের আযাব থেকে আপনার নিকট পানাহ চাচ্ছি।
হাদীস নং ২৬২৮
কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ………সায়িব ইবনে ইয়াযীদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ সাদ, মিকদাদ ইবনে আসওয়াদ এবং আবদুর রাহমান ইবনে আওফা রা.-এর সঙ্গ লাভ করেছি। আমি তাদের কাউকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করতে শুনিনি। তবে তালহা রা.-কে উহুদ যুদ্ধের ঘটনাবলী বর্ণনা করতে শুনেছি।
হাদীস নং ২৬২৯
আমর ইবনে আলী রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন বলেছিলেন, এই বিজয়ের পর আর হিজরতের প্রয়োজন নেই। এখন কেবল জিহাদ ও নিয়্যাত। যখনই তোমাদের বের হওয়ার আহবান জানানো হবে, তখনই তোমরা বেরিয়ে পড়বে।
হাদীস নং ২৬৩০
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: দু’ব্যক্তির প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকবেন। তারা একে অপরকে হত্যা করে উভয়েই জান্নাতবাসী হবে। একজন তো এ কারণে জান্নাতবাসী হবে যে, সে আল্লাহর পথে জিহাদ করে শহীদ হয়েছে। তারপর আল্লাহ তা’আলা হত্যাকারীর তাওবা কবুল করেছেন। ফলে সেও আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়েছে।
হাদীস নং ২৬৩১
হুমাইদী রহ………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খায়বার বিজয়ের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সেখানে অবস্থানকালেই আমি তাঁর কাছে গিয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমাকেও (গনীমতের) অংশ দিন। তখন সাঈদ ইবনে আসের কোন এক পুত্র বলে উঠল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! তাকে অংশ দিবেন না।আবু হুরায়রা রা. বললেন, সে তো ইবনে কাউকালের হত্যাকারী। তা শুনে সাঈদ ইবনে আসের পুত্র বললেন, দান পাহাড়ের পাদদেশ থেকে আমাদের কাছে আগত বিড়াল মাশি জন্তুটি, (সেই ব্যক্তির) কথায় আশ্চর্যবোধ করছি, সে আমাকে এমন একজন মুসলিমকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে যাকে আল্লাহ তা’আলা আমার হাতে সম্মানিত করেছেন এবং যার দ্বারা আমাকে লাঞ্চিত করেননি। আব্বাস রা. বলেন ,পরে তাকে অংশ দিয়েছেন কি দেননি, তা আমাদের জানা নেই। সুফাইয়ান রহ. বলেন, আমাকে সাঈদী রহ. তার দাদার মাধ্যমে আবু হুরায়রা রা. থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) রহ. বলেন, সাঈদী হলেন, আমর ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ ইবনে আমর ইবনে সাঈদ ইবনে আস।