হাদীস নং ২৫৮৫
ইসহাক রহ………আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদীনায় এলেন তখন মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দিলেন এবং তিনি বললেন, হে বানু নাজ্জার! মূল্য নির্ধারিত করে তোমাদের এ বাগানটি আমার কাছে বিক্রি করে দাও। তারা বলল, এরূপ নয়, আল্লাহর কসম ! একমাত্র আল্লাহর কাছেই আমরা এর মূ্ল্যের আশা রাখি।
হাদীস নং ২৫৮৬
মুসাদ্দাদ রহ………..ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, উমর রা. এক ব্যক্তিকে তার একটি ঘোড়া আল্লাহর রাস্তায় দিয়ে দেন, যেটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আরোহণ করার জন্য দিয়েছিলেন, তিনি এক ব্যক্তিকে তা আরোহণ করার জন্য দিলেন। উমর রা.-কে জানান হল যে, ঘোড়াটি সে ব্যক্তি বিক্রির জন্য রেখে দিয়েছে। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা ক্রয় করার ব্যপারে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, তুমি তা ক্রয় করবে না এবং যা সাদকা করে দিয়েছ তা ফিরিয়ে নিবে না।
হাদীস নং ২৫৮৭
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উত্তরাধিকারী কোন স্বর্ণমুদ্রা এবং রৌপ্যমুদ্রা ভাগাভাগি করবে না, বরং আমি যা কিছু রেখে গেলাম তা থেকে আমার সহধর্মিণীদের খরচ এবং কর্মচারীদের পারিশ্রমিক দেওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকে তা সাদকা।
হাদীস নং ২৫৮৮
কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ……….ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, উমর রা. তাঁর ওয়াকফে এই শর্তারোপ করেন যে, মুতাওয়াল্লী তা থেকে নিজে খেতে পারবে এবং বন্ধু-বান্ধবকেও খাওয়াতে পারবে, তবে সম্পদ সঞ্চয় করতে পারবে না।
হাদীস নং ২৫৮৯
মুসাদ্দাদ রহ……….আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে বানূ নাজ্জার ! তোমাদের বাগানটি মূল্য নির্ধারণ করে আমার কাছে বিক্রি করে দাও। তারা বলল, আমরা এর মূল্য একমাত্র আল্লাহর কাছে আশা রাখি
হাদীস নং ২৫৯০
মুহাম্মদ ইবনে সাবিক রহ. কিংবা ফযল ইবনে ইয়াকুব রহ…………মুহাম্মদ ইবনে সাবিক রহ.-এর মাধ্যমে…….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী রা. থেকে বর্ণিত যে, তার পিতাকে উহুদের যুদ্ধে শহীদ করা হয়। তিনি ছয়টি কন্যা সন্তান রেখে যান আর তাঁর উপর ঋণও রেখে যান। খেজুর কাটার সময় হলে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি জানেন যে, আমার পিতাকে উহুদের যুদ্ধে শহীদ করা হয়েছে আর তিনি অনেক ঋণ রেখে গেছেন।আমার মনে চায় যে, পাওনাদাররা আপনাকে দেখে নিক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি যাও। (খেজুর কেটে) এক এক রকম খেজুর এক এক স্থানে জমা কর। আমি তা-ই করলাম। এরপর তাকে অনুরোধ করে নিয়ে এলাম। লোকেরা যখন তাকে দেখল, তখন তারা আমার কাছে জোর তাগাদা করতে লাগল। তিনি তাদের এরূপ করতে দেখে খেজুরের বড় স্তুপটির চারদিকে তিনবার ঘুরলেন, এরপর তার উপর বসে পড়লেন। তারপর বললেন, তোমার পাওয়ানাদারদের ডাক। তিনি মেপে তাদের পাওনা আদায় করতে লাগলেন এবং শেষ পর্যন্ত আল্লাহ আমার পিতার সমস্ত ঋণ আদায় করে দিলেন। আর আল্লাহর কসম, আমি এতেই সন্তষ্ট যে, আমার পিতার ঋণ আল্লাহ পরিশোধ করে দেন, এবং আমি আমার বোনদের কাছে একটি খেজুরও নিয়ে না ফিরি। কিন্তু আল্লাহর কসম, সমস্ত স্তুপই যেমন ছিল তেমন রয়ে গেল। আমি সেই স্তুপটির দিকে বিশেষভাবে তাকিয়ে ছিলাম, যার উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসে ছিলেন। মনে হল যে, তা থেকে একটি খেজুরও কমেনি। আবু আবদুল্লাহ রহ. বলেন, أغروا بي এর অর্থ হল هيجوا بي অর্থাৎ আমার কাছে জোর তাগাদা করতে লাগল। মহান আল্লাহর বাণী : আমি তাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরুক রেখেছি।(৫:১৪)
জিহাদ অধ্যায় (২৫৯১-২৯৬৩)
হাদীস নং ২৫৯১
হাসান ইবনে সাব্বাহ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা .থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! কোন কাজ সর্বোত্তম ? তিনি বললেন, সময়মত সালাত আদায় করা। আমি বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বলেন, এরপর পিতা-মাতার সঙ্গে সদাচরণ করা। আমি বললাম, তারপর কোনটি ? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে আমি চুপ রইলাম। আমি যদি (কথা) বাড়াতাম, তবে তিনি আরও অধিক বলতেন।
হাদীস নং ২৫৯২
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (মক্কা) বিজয়ের পর আর হিজরত নেই। বরং রয়েছে কেবল জিহাদ ও নিয়্যাত। যদি তোমাদের জিহাদের ডাক দেওয়া হয় , তাহলে বেরিয়ে পড়।
হাদীস নং ২৫৯৩
মুসাদ্দাদ রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমরা জিহাদকে সর্বোত্তম আমল মনে করি, তবে কি আমরা জিহাদ করব না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের জন্য উত্তম জিহাদ হচ্ছে মকবুল হজ্জ।
হাদীস নং ২৫৯৪