৭। ঐ সব ব্যক্তিবর্গের পথে চালাও যাদেরকে তুমি অনুগ্রহ দান করেছ ২৩। সেইসব লোকের পথে নয় যারা তোমার অভিশাপগ্রস্ত এবং [তাদের পথেও] নয় যারা পথভ্রষ্ট ২৪।
২৩। লক্ষ করুন ”Grace” শব্দটি, যার বাংলা অনুবাদ হতে পারে ”করুণা” বা ”অনুগ্রহ” যা শুধুমাত্র আল্লাহ্র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু Wrath- ”ক্রোধ” বা ”রোষ” শব্দটি হচ্ছে নৈর্ব্যক্তিক। যে কারও জন্য প্রযোজ্য। ”Grace” বা করুণা যা আমাদের সর্ব অবয়ব আমাদের সর্বসত্তাকে আচ্ছন্ন ও আবৃত্ত করে রাখে। অপরপক্ষে Wrath বা ”ক্রোধ” আমাদের কৃতকর্মেরই ফল। এটি ততটুকু যন্ত্রণাদায়ক যতটুকু আমাদের কৃতকর্ম। ”Grace” মানুষকে দেয় অপার শান্তি, জীবনকে ভরিয়ে তোলে শান্তির ঐক্যতানে [Peace and harmony]।
২৪। এখানে দু”ধরণের বিপথগামী লোকের কথা বলা হয়েছে। প্রথম দল যারা আল্লাহ্র রোষে পতিত কারণ তারা ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ্র আইন অমান্য করে। ফলে এরা অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হয় অর্থাৎ তাদের আত্মা অন্ধকারে আবৃত হয়, বঞ্চিত হয় অন্তর্দৃষ্টি থেকে। দ্বিতীয় দল বিপথগামী কারণ আল্লাহ্র বাণীর প্রতি তাদের অবহেলা ও অমনোযোগ ইচ্ছাকৃত নয় বরং চিন্তাহীনতার জন্য। প্রত্যেক দলই তাদের নিজেদের কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে। এই দু”দলের বিপরীত আর এক দল লোকের কথা বলা হয়েছে-যারা আল্লাহ্র করুণা ধারায় সঞ্জীবিত। যাদের পথ আল্লাহ্র নূরে আলোকিত। এই দলের লোকেরা আল্লাহ্র ইচ্ছার কাছে সমর্পিত। ফলে তাদের চলার পথের ভুল-ভ্রান্তি থেকে আল্লাহ তাদের রক্ষা করেন। চলার পথের নানা প্রলোভনকে তারা জয় করতে সক্ষম হন। এখানে অন্ধকারময় জগৎটা কোন জীবনের পথ বলে অনুবাদ করা ঠিক নয়; বরং বলা উচিত যে, জীবনে চলার পথে উপরে উল্লেখিত দু”রকমের বিপদজনক অবস্থায় আমরা পড়তে পারি। সেই বিপদ সঙ্কুল অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং সঠিক পথে চলার শক্তির জন্যই আমাদের আকুল আবেদন।